খালি হাতেই ফিরল বসুন্ধরা কিংস

Printed Edition

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম দুই ম্যাচে হেরেই আশা শেষ। তাই পরশু গ্রুপের শেষ ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন। অধিনায়ক তপু বর্মণকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে মাঠে নামানো গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে। অনেকদিন পর বসুন্ধরা কিংসের প্রথম একাদশে নেমেই পান নেতৃত্ব জিকো। তবে তাতেও দলের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। বরং আগের দুই ম্যাচের মতোই হার। পরশু কুয়েত সিটিতে স্বাগতিক আল কুয়েতের কাছে তাদের ০-২ গোলে হার। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গোল হজমের জন্য দায়ী জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক জিকো। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ধরতে পারেননি বল। ফলে ফাঁকা পোস্টে নাসেরের হেড জালে। প্রধমার্ধে আরো এক গোল হজম বাংলাদেশী ক্লাবটির। বিরতির পর উজ্জীবিত ফুটবল খেলে কিংস সেনারা। গোলের সুযোগ পায়। একেবারে শেষ দিকে স্ট্রাইকার ডরিয়েলটন গোমেজ ঠিকমতো হেড নিতে না পারায় ব্যবধান কমেনি। তার হেড বাম দিকে শরীর ফেলে ধরে ফেলেন বিপক্ষ কিপার। পরশু অবশ্য ম্যাচ খেলতে স্টেডিয়ামে যাওয়ার সময় বসুন্ধরা কিংসের বহকারী বাসের চাকা ফেটে যায় মহাসড়কে।

প্রথম এএফসি কাপ। পরে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে-অফ। এরপর টানা দুইবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্ব। কোনো আসরেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। এএফসি কাপ এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই উঠা হতো নক আউট পর্বে। এবারতো গ্রুপ রানার্সআপ হলেও সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে যেতে পারত কোয়ার্টার ফাইনালে। কিন্তু ডিফেন্ডার, গোলরক্ষক এবং ফরোয়ার্ড লাইনের ভুল আর ব্যর্থতায় খালি হাতে ফেরা। অথচ আসরে ওমানের আল শিব, লেবাননের আল আনসার এবং আল কুয়েত এফসির খেলা দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশী ক্লাবটি সঠিকভাবে পারফর করতে পারলে অনায়াসেই নক আউটে উঠতে পারব। আর্জেন্টিনার কোচ দিয়েও কিন্তু পারল না গত ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়নরা। অথচ দলটি এই চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ পর্বে সিরিয়ার আল কারামাহ ক্লাবের বাধা ডিঙ্গিয়েছিল কাতারের মাঠে ১-০তে জয় দিয়ে। তখন কোচ ছিলেন স্থানীয় সৈয়দ গোলাম জিলানী ও মাহাবুব হোসেন রক্সি।

আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজের অধীনে বসুন্ধরা কিংস চলতি মৌসুমের প্রথম আসর চ্যালেঞ্জ কাপে মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় হলেও লিগের প্রথম ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে পিডব্লিউডির সাথে। আর ফেডারেশন কাপের প্রথম খেলায় ১-১ এ আটকা পড়ে ফর্টিস এফসির কাছে। যদিও লিগে তাদেরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তপু বর্মণরা।

আর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বসুন্ধরা কিংস প্রথম ম্যাচে ওমানের আল শিবের কাছে ২-৩ গোলে হারের পর ০-৩ গোলে পরাজিত হয় আল আনসারের কাছে। আর শেষটা আল কুয়েতের কাছে ০-২ গোলে হার। অর্থাৎ আর্জেন্টিনার এই কোচের অধীনে বসুন্ধরা কিংস সাত ম্যাচের দু’টিতে জিতেছে। ড্র দুই ম্যাচে। আর হার তিন খেলায়।

গোমেজের অধীনে চ্যালেঞ্জ লিগে বসুন্ধরা কিংস চার দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। তিন ম্যাচে ৮ গোল খেয়ে দিতে পেরেছে দুই গোল। এই গ্রুপ থেকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আল কুয়েত। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে শেষ আটে উঠেছে আল আনসার। পরশু অপর ম্যাচে আল শিবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আল আনসার।