বিশেষ সংবাদদাতা
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এটি দুই ধাপে পাবেন তারা। ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। আর বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর হবে আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে।
গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে গত ১৬ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনকে বাতিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নতুন বাড়িভাড়া পেতে হলে কয়েকটি শর্ত মানার কথাও বলা হয়েছে।
এর আগে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল সরকারের নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। সচিবালয়ে এই সিদ্ধান্তের পর শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। একই সাথে শিক্ষকরা জানিয়েছেন গত কয়েক দিনে আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে আগামী কয়েক শনিবারেও তারা ক্লাস নেবেন।
এ দিকে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে অর্থ বিভাগের সম্মতি’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা কয়েকটি শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে আগামী ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে (সর্বনি¤œ ২ হাজার টাকা) এবং আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে অতিরিক্ত আরো ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে অর্থাৎ মূল বেতনের সর্বমোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনি¤œ ২ হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে পরবর্তী বেতন স্কেলে প্রদেয় অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করা। বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত সংশোধিত)’ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করা। এ ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীরা কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই পালন করতে হবে। এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা গেলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ ওই অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিওর চার কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের জন্য পাঠাতে হবে।
এ দিকে শিক্ষকদের দাবি পূরণে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। গতকাল তার ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অভিব্যক্তি জানান। এ ছাড়া শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের সরকারের উদ্যোগের পর ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী এবং জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীম সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন বেসরকারি শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন। শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসা: শরিফুন্নেসা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় : শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পর এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজকের এই মুহূর্তটা শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী ১৫ শতাংশ হারে এই ভাতা নিশ্চিত করতে পেরে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, শিক্ষকেরা আরো বেশি সম্মানের দাবিদার এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের সচেষ্ট থাকা দরকার। উপদেষ্টা বলেন, এই পথ সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক, অভিযোগ সবকিছুই ছিল। কোনো বিতর্কের উত্তর না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রমাগত একটা ন্যায্য, টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ, প্রধান উপদেষ্টার সাথে কাজ করে গেছে, যেন শিক্ষকদের দাবি শোনা হয়, বোঝা হয়। মন্ত্রণালয় মনে করে, ‘এটি কারো একার জয় নয়; এটি যৌথ সাফল্য। শিক্ষকদের আন্দোলন তাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে। আর সবাই মিলে আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি, যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার, শিক্ষার্থীদের কাছে, আসল কাজের জায়গায়। এই সমঝোতা হোক নতুন সূচনা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর গুণগত মানসম্মত শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আমরা একটি মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।’
৭ দফা বাস্তবায়নে সোচ্চার আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন : গতকালের বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের পর বাড়িভাড়া বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিটি সরকার ২০% এর পরিবর্তে ১৫% হিসেবে মেনে নিয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু সরকার চাইলেই শুরুতেই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের কষ্ট এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা র ক্ষতি এড়েয়ে যেতে পারত। নেতৃদ্বয় বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দেশের প্রতিটি জেলা/মহানগরের জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে। সাত দফার মধ্যে সরকার কেবলমাত্র একটি দফা মেনে নিয়েছে। বাকি ছয় দফা অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। ছয় দফার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা দিতে হবে। শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করতে হবে। নন-এমপিও শিক্ষকদের চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ তহবিলের বকেয়া টাকা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের পাওনা বুঝে পায়নি তাদের পাওনাদি নির্বাহী আদেশে পরিশোধ করতে হবে।
বাড়িভাড়া কত বাড়ছে : বাড়িভাড়া সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়লে কোন গ্রেডে কত হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া? তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, এই হারে বাড়িভাড়া বাড়লে অধ্যক্ষের (গ্রেড ৪) ৫০ হাজার টাকা বেতনের বিপরীতে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ৩,৭৫০ টাকা। উপাধ্যক্ষের (গ্রেড ৫) ক্ষেত্রে ৪৩ হাজার টাকার বিপরীতে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ৩,২২৫ টাকা। এ ছাড়াও সহকারী অধ্যাপকের (গ্রেড ৬) ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা বেতনের বিপরীতে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ২,৬৬২.৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা নির্ধারিত)। এর বাইরে সহকারী অধ্যাপকের (গ্রেড ৮) ২৩ হাজার টাকা বেতনের বিপরীতে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ১,৭২৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা); প্রভাষক (গ্রেড ৯) পদের বেতন ২২ হাজার টাকার বিপরীতে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ১,৬৫০ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা) এবং প্রধান শিক্ষক্ষের (গ্রেড ৭) ২৯ হাজার টাকার বিপরীতে এই পরিমাণ ২,১৭৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা) হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষকের (গ্রেড ৮) ২৩ হাজার টাকার বেতনের বিপরীতে বাড়িভাড়া (৭.৫%) ১,৭২৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা); সিনিয়র শিক্ষক (গ্রেড ৯), যাদের বেতন ২২ হাজর টাকা, তাদের ক্ষেত্রে ১,৬৫০ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০) বাড়ি হবে হবে। এর বাইরে সহকারী শিক্ষক (গ্রেড ১০), যাদের বেতন ১৬ হাজর টাকা, তাদের বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ১,২০০ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা); সহকারী শিক্ষক (গ্রেড ১১), যাদের বেতন ১২,৫০০ টাকা, তাদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ হবে ৯৩৭.৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০)। এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর (গ্রেড ১৬) বেতন যেখানে ৯,৩০০ টাকা, তার বিপরীতে বাড়িভাড়া হবে ৬৯৭.৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা)। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড : ১৬), যাদের বেতন- ৯,৩০০ টাকা, তাদের ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া ৬৯৭.৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০)।
এ ছাড়াও ঝাড়ুদার (গ্রেড : ২০) বেতন যেখানে ৮,২৫০ টাকা, তার ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ৬১৮.৭৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা)। অফিস সহায়কের (গ্রেড ২০) বেতন যেখানে ৮,২৫০ টাকা, সেখানে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ৬১৮.৭৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা); পিয়নের (গ্রেড ২০) বেতন যেখানে ৮,২৫০ টাকা, তার ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ৬১৮.৭৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০) এবং আয়ার (গ্রেড ২০) ৮,২৫০ টাকা বেতনের ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া (৭.৫%) হবে ৬১৮.৭৫ টাকা (সর্বনি¤œ ২,০০০ টাকা)।
প্রধান উপদেষ্টার আশা, শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণীকক্ষে ফিরবেন
বাসস জানিয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণীকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সাথে তিনি আশাবাদী যে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। তবে বাস্তবতা হলো, ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গতিশীল হলেও এখনই মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মতো সামর্থ্য অর্থনীতিতে ফেরেনি। তাই সরকারকে বাস্তবতার নিরীখে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।



