নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২ গুলিবিদ্ধ ৩

Printed Edition

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত শনিবার রাতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে একজন নিহত ও উভয়পক্ষের আরো তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহত শিপন মিয়া উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রামের মুন্নাফ মিয়ার ছেলে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে রাতে শিপন মিয়া মারা যান। কর্মচারী ইয়াছিনও (২০) পরে মারা যান। নূর আলম (১৮) ও এমরান মাস্টারকে (৩৮) রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক ও নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বর্তমানে আবার সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার ভয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে রাত ৯টার দিকে কুখ্যাত ডাকাত মুন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওইসময় আচমকা একদল অস্ত্রধারী গুলি করতে করতে হোটেলে ঢুকে। সে সময় শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে মনেকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা ও গুলি চালায়। এতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন।

এমরান মাস্টার ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই এবং শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র লোকজন এরপর থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মনেক ডাকাত ও তার ছেলে শিপনের পুরো এলাকায় একক আধিপত্য ছিল। সেই আধিপত্য নিয়েই থোল্লাকান্দি গ্রামের মাস্টারের ছেলে আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মনেক ডাকাতের ছেলে শিপনকে শনিবার রাতে গুলি করে।