পাকুন্দিয়া ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল

মাত্র ৬ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে সেবা

Printed Edition
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : নয়া দিগন্ত
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : নয়া দিগন্ত

মুহিবুল্লাহ বচ্চন পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র ছয়জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সঙ্কট থাকায় উপজেলাবাসী যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনবল সঙ্কটের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। দ্রুত সঙ্কট নিরসনের দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিন দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্রতিটি বিভাগে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। বহির্বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তারদের সামনে লম্বা লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। বেশির ভাগ কাউন্টারেই ডাক্তার নেই। প্রসূতি মা ও শিশুরা সেবা নিতে এসে চিকিৎসক না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। সিজারিয়ান অপারেশনও দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১০ জন চিকিৎসক। তাদের মধ্যে চারজন জন চিকিৎসক প্রেষণে বদলি হয়ে অন্যত্র বেতনভাতাদি নিচ্ছেন। বর্তমানে মাত্র ছয়জন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।

প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ জন রোগী এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসেন। গাইনি অ্যান্ড অবস, মেডিসিন, সার্জারি, চর্ম ও যৌন, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই হাসপাতালটিতে। এ ছাড়াও ৯ জন সহকারী সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। টেকনেশিয়ানের অভাবে আলট্রাসনোগ্রামসহ বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালটিতে একটি অত্যাধুনিক মেশিনসহ দু’টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে কিন্তু জনবল না থাকায় তাও বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নূর-এ-আলম খান জানান, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১০ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার এ বিষয়গুলো নিয়ে জানানো হয়েছে। চিকিৎসক সঙ্কট নিরসন না হলে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: অভিজিত শর্ম্মা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। শূন্যপদ পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।