লজ্জা এড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ

Printed Edition

জসিম উদ্দিন রানা

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন আর কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি বাংলাদেশের জন্য সম্মানের-আফগানিস্তানের জন্য গৌরবের। আগেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। আজ তাদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার। অপর দিকে টাইগারদের জন্য ম্যাচটি আত্মসম্মান রার। আমিরাতে আবুধাবির শেখ যায়েদ স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে পাঁচ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৮১ রানে সিরিজ হার মিরাজ বাহিনীর। অথচ আত্মাবিশ্বাসী হয়েই ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ৪, ২ ও ৬ উইকেটে জিতে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। সেই তই এখন প্রতিশোধের আগুন জ্বেলে দিয়েছে আফগানদের চোখে। শুরু থেকে তাদের আগ্রাসন, শৃঙ্খলা আর পরিকল্পনা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে আফগান স্পিনার রশিদ খানের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজরা। ফলে সিরিজ নিশ্চিত করতে বেগ পেতে হয়নি রশিদ বাহিনীর।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ। ওপেনিং জুটি স্থিতি পাচ্ছে না, মিডল অর্ডারে নেই জয়ের মানসিকতা। তরুণরা ভুগছে অভিজ্ঞতার অভাবে। বোলাররাও খুব একটা সফল নয়। তাই সিরিজে হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কা এখন বাস্তব রূপ নিচ্ছে। তবু আশার আলো খুঁজছে টিম বাংলাদেশ। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, শেষ ম্যাচে দল নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে বদ্ধপরিকর।

তবে আফগানিস্তানের মনোভাব একেবারেই ভিন্ন। তাদের ল্য শুধু সিরিজ জয় নয়, পূর্ণ প্রতিশোধ। অধিনায়কের ভাষায়, ‘টি-২০তে যা হয়েছিল, তার জবাব দিতে চাই মাঠে পারফরম্যান্স দিয়ে। তবে বাংলাদেশ কিন্তু হেলা ফেলার দল নয়। আমাদের ফোকাস থাকবে নিজেদের ওপর, প্রতিপক্ষের ওপর নয়। অন্য দু’টি ম্যাচের মতোই দেখছি শেষটিকেও।’

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিপে ২১ ম্যাচ খেলে ১১ জয় বাংলাদেশের। আফগানদের জয় ১০ ম্যাচে। আজ জিতলে শুধু বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশই করবে না, ওয়ানডেতে জয় ও হার বিবেচনায় প্রথমবারের মতো টাইগারদের সমান হবে আফগানিস্তান। শেখ যায়েদ স্টেডিয়ামে আজ তাই উত্তেজনার পারদ উপরেই থাকবে। বাংলাদেশ পারবে কি হোয়াইটওয়াশ এড়াতে? নাকি আফগানিস্তান প্রতিশোধের মিষ্টি স্বাদে পূর্ণ করবে তাদের মনোবাসনা। উত্তর মিলবে আজ ম্যাচের পরই। যেভাবেই শেষ হোক, ম্যাচটি দুই দলের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়েই থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে।