পশ্চিমতীরে ১ মাসে ২,৩৫০ বার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল

অঞ্চলটিতে ১৯৮৫টি নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাসহ বেড়েছে সেটেলারদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম

Printed Edition

আলজাজিরা

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীরা গত অক্টোবর মাসে পশ্চিমতীরে মোট দুই হাজার ৩৫০টি হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের উপনিবেশ ও দেয়াল প্রতিরোধ কমিশন। কমিশনের প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলাগুলো ছিল পরিকল্পিত, ধারাবাহিক এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে সংঘটিত।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি সেনারা এক হাজার ৫৮৪টি হামলা চালিয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস, জলপাই গাছ ও কৃষিজসম্পদ নষ্ট, গ্রাম ও শহরে অভিযান এবং নির্বিচার গ্রেফতার। অন্য দিকে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ৭৬৬টি হামলা চালিয়েছে; যার বেশির ভাগই হয়েছে ফিলিস্তিনি জমি দখল, বসতি সম্প্রসারণ এবং কৃষকদের ওপর হামলার মাধ্যমে।

এই হামলাগুলোর বড় অংশ সংঘটিত হয়েছে রামাল্লাহ, নাবলুস এবং হেবরন গভর্নরেটে। রামাল্লাহতে ৫৪২টি, নাবলুসে ৪১২টি এবং হেবরনে ৪০১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলগুলোতে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণের হার বেশি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের উপস্থিতিও ঘন। কমিশনের প্রধান মুয়াইয়াদ শাবান বলেন, এই হামলাগুলো ইসরাইলি দখলদার নীতির অংশ, যার মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে ভয় দেখিয়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে চায়।

তিনি বলেন, বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনি সম্পদের ধ্বংস আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই প্রতিবেদন এমন সময় প্রকাশিত হয়েছে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। পশ্চিমতীরে এই ধরনের সহিংসতা সেই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরাইলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের এই ধারাবাহিক হামলা পশ্চিমতীরের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরো সঙ্কটময় করে তুলেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হস্তক্ষেপ ও জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছে, যাতে এই সহিংসতা বন্ধ করা যায়।