প্রথমবার মশার দেখা মিলল আইসল্যান্ডে

Printed Edition

রয়টার্স

আইসল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মশার উপস্থিতি ধরা পড়েছে, যা দেশটির জন্য একটি ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পতঙ্গপ্রেমী বিয়র্ন হিয়াল্টাসান রেইকিয়াভিকের দক্ষিণ-পশ্চিমে কিয়োস হিমবাহ উপত্যকায় ওয়াইনে ভেজানো ফাঁদে দু’টি স্ত্রী ও একটি পুরুষ মশা ধরেন। পরে আইসল্যান্ডের ইনস্টিটিউট অব নেচারাল হিস্টরি নিশ্চিত করে, এগুলো কিউলিসেটা অ্যানুলেটা প্রজাতির, যা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় টিকে থাকতে সক্ষম।

এই আবিষ্কারের আগে আইসল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকা ছিল পৃথিবীর একমাত্র মশামুক্ত অঞ্চল। দেশটির ঠাণ্ডা জলবায়ু এবং স্থির জলাশয়ের অভাব এত দিন মশার প্রজননকে বাধা দিয়েছে। তবে চলতি বছর মে মাসে আইসল্যান্ডে রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা দেখা গেছে - টানা ১০ দিন ২০ ডিগ্রির বেশি এবং এগ্লিস্তাদির বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন উষ্ণতা দেশটির সংবেদনশীল বাস্তুতন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু সংস্থা বলছে, বায়ুমণ্ডল, সমুদ্র ও স্থলভাগে উষ্ণায়নের পেছনে মানুষের প্রভাবই প্রধান। মশাগুলো কিভাবে আইসল্যান্ডে পৌঁছেছে তা স্পষ্ট নয়। হিয়াল্টাসান ধারণা করছেন, নিকটবর্তী গ্রুন্দারতাঙ্গি সমুদ্রবন্দর থেকে জাহাজ বা কনটেইনারের মাধ্যমে তারা এসেছে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘তিনটি যদি আমার বাগানে চলে আসতে পারে, তাহলে হয়তো আরো আছে।’

এই ঘটনাকে ‘শেষ দুর্গের পতন’ বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মরগুনব্লাদিথ। তবে পতঙ্গবিদ মাথিয়াস আলফ্রেদসন মনে করেন, মশারা সত্যিই আইসল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসতি গড়েছে কি না- তা জানতে আরো পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। আসন্ন বসন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।