সিলেট ব্যুরো
কৃষি শিক্ষায় আলো ছড়াচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। দেশের কৃষি ও কৃষি পণ্য উৎপাদন খাতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্র্যাজুয়েটরা। বিদেশেও শিক্ষা ও গবেষণায় সমানতালে সুনাম কুড়াচ্ছে তারা। ১৯ বছরের যাত্রায় অনেক সফলতা অর্জন করেছে সিলেট অঞ্চলের কৃষি শিক্ষার অগ্রদূত এই প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছর জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ডাটাবেজে স্থান পেয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বৈশ্বিক ডাটাবেজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিকৃবির সাময়িকী ‘জার্নাল অব সিলেট অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিকে তার বৈশ্বিক কৃষি বিজ্ঞানবিষয়ক প্ল্যাটফর্মে একীভূত করেছে। ফলে সিকৃবির গবেষণার জন্য বৃহত্তর আন্তর্জাতিক দৃশ্যমানতা, বিশ্বব্যাপী কৃষি বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অবদানের স্বীকৃতি এবং সমস্ত প্রকাশিত কাজের জন্য যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেডিট নিশ্চিত হবে। এ ডাটাবেজ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনিক আইডি বিডিও প্রদান করেছে।
সিকৃবি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০৬ সালের অক্টোবরে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয় সিলেট কৃষি বিশববিদ্যালয়ের।
২০০৬ সালের ২ নভেম্বর সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেই হিসেবে আজ রোববার (২ নভেম্বর) ২০ বছরে পা রাখছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
শুরুতে তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ছয়টি অনুষদ ও ৪৭টি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে একটি ভেটেরেনারি টিচিং হাসপাতাল। এসব অনুষদের মাধ্যমে কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সক্ষমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও কৃষি বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা দান, গবেষণা কার্য পরিচালনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে প্রায় শতভাগ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে অবস্থান করছে সিকৃবি।
ইউজিসির তথ্য মতে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ ভাগ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি আবাসিক হল রয়েছে।
এ দিকে আজ ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার ও আলোচনা সভা ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য রাখবেন সিকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলিমুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করবেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং সিকৃবির ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার।



