বিশেষ সংবাদদাতা
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত জুলাইতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। এ হিসাবে এক মাসে দেশে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭ কোটি মার্কিন ডলার। হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাইয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানিয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দেন। পরে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ফের বাড়তে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে পাঠানো এ অর্থ সরাসরি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, রেমিট্যান্সে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার উন্নয়নের কারণে এ ধারাবাহিকতা তৈরি হয়েছে। এর আগে গত জুন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার, যা তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অঙ্ক এক অর্থবছরে দেশে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। প্রবাসী আয়ের এমন ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও ডলারের জোগানে স্বস্তি এনে দিয়েছে।



