মাহবুব আলী খানশূর ব্রিটেন প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে। পরে হলে এর দুই পয়সার কোনো মূল্য নেই। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের আপসহীন য্দ্ধু চলবে। কে সাধারণ মানুষ আর কে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, সেটি দেখার বিষয় নয়। যে অপরাধ করবে সে অপরাধী। তার বিচার হতে হবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য সবার অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টায় পূর্ব লন্ডনের হোয়াটচ্যাপেল রোডের হায়াত প্যালেস হোটেলে ওই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ডা: শফিকুর রহমান লন্ডনে যাত্রাবিরতিকালে এই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এর পরই তিনি লন্ডন থেকে লুটন শহরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখানে জুমার নামাজ শেষে একটি সমাবেশে যোগদান করেন। এরপর বার্মিংহ্যাম ও লেস্টার শহরে আরো দুটো সমাবেশে অংশগ্রহণ করার কথা। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, কুড়িপ্রাম-৩ (উলিপুর)-এর জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহীসহ সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গণভোটের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভোটের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, গণভোট আগে হতে হবে। অন্যথায় এটা মূল্যহীন। পরে হলে এর দুই পয়সার মূল্য নেই। আপনারা ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশের জন্য আপনাদের পদক্ষেপ কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশের ভয়ানক সমস্যা। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে এবং সেটি কাজে প্রমাণ করে দেয়া হবে। প্রবাসীদের অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি। প্রবাসীদের অধিকারের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না। প্রবাসীরা যাতে তাদের ভোটের অধিকার পান এ বিষয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরিবেশ অনুকূলে আসায় আমরা প্রবাসীদের প্রত্যেকটি অধিকার নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবপর্যায়ে জোরালোভাবে কথা বলেছি। তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট কথা হচ্ছে, যাদের প্রেরিত অর্থে দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়, তাদের ভোটের বাইরে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
আপনাদের মাঝে হানাহানি দেখা যায়, এমন কেন হয়? এই প্রশ্নের জবাবে হাসি দিয়ে ডা: শফিক বলেন, আমরা হানাহানি করি, আপনারা করিয়েন না। আপনারা ভালো থাকেন। আপনারা মাঝে মাঝে ভুয়া ফটোকার্ড দিয়ে হানাহানি লাগাইয়া দেন। তারপর আমরা যখন প্রতিবাদ করি তখন ডিলিট করা হয়। ডিলিট তো সমাধান নয়। এরই মধ্যে ভুল তথ্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিকদের মাঝে যেমন দায়িত্বশীল সাংবাদিক আছেন তেমনি তাদের কেউ কেউ সমাজকে বিপদে ফেলে দেন।
গুম খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫ সেনা কর্মকর্তার বিচার প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, আমরা যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে। এটা কে করল, সেনাবাহিনীর লোকেরা করল, নাকি অন্য কেউ সেটি ম্যাটার করে না। আমাদের কাছে অপরাধ যে করবে সে একজন অপরাধী। এই কথাগুলো যত জায়গায় বলার দরকার আমরা বলেছি।
জুলাই সনদে জিয়াউর রহমানের নাম কেন থাকবে না? এ প্রশ্নের জবাবে আমিরে জামায়াত বলেন, তার নাম অনেক জায়গায় আছে, সনদ ভালো করে পড়ে দেখুন। সবার কাছে কি সবকিছু চাওয়া যায়? পাওয়া যায়? যেমন ধরেন, জেনারেল ওসমানী, উনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। উনার কত অবদান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে। উনার কথা কেউ স্মরণ করে? তাকে স্বীকার করা উচিত না? আবার আ স ম আব্দুর রব। উনি মুক্তিযুদ্ধের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছেন। তাকে কেউ স্বীকার করে? উনাকে তার প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়া উচিত না? আমাদের অনেকের অনেক কিছু স্বীকৃতি দেয়া হয় না। জামায়াত ক্ষমতায় এলে আমরা সবার প্রাপ্য অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ন করব।
ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় : এর আগে সকাল ১০টায় ডা: শফিকুর রহমান ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে দেশে ব্যবসা করতে পারেন জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষকে এটুকু আশ্বস্ত করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে এমন কোনো কাজ করেনি এবং ভবিষ্যতে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেলে ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার খর্ব হয় এমন কাজও করবে না। জামায়াতে ইসলামী দেশে বিনিয়োগের এমন পরিবেশ তৈরি করতে চায়, যেখানে কোনো ব্যবসায়ীকে তার কাজের জন্য এক পয়সাও কাউকে অন্যায়ভাবে দিতে হবে না। ডা: শফিক বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ হোক। বিদেশীরা দেশে এসে মন খুলে বিনিয়োগ করুক এবং সেই সাথে আমাদের প্রবাসী ব্যবসায়ীরাও তাদের বিনিয়োগ করে সম্মানের সাথে ব্যবসা করুন। ঘুষ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আমরা সুন্দর একটি দেশ গড়তে চাই।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারলের উপস্থাপনায় ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গোলাম মর্তুজা, ক্যাপ্টেন কিবরিয়া, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতেই ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে আমি-ডামি নির্বাচন হয়েছে। সে পদ্ধতি বহাল রেখে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না, জনগণের সরকার গঠিত হতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না, কেন্দ্র দখল দিতে যাবে না, মনোনয়ন বাণিজ্য হবে না। ফলে কালো টাকার ছড়াছড়িও বন্ধ হয়ে যাবে।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী শাহবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘর গেটে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না; জামায়াত মানুষের কল্যাণে নিবেদিত সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী চার দফা কর্মসূচিতে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। তার মধ্যে অন্যতম একটি সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। সামাজিক সেবামূলক যেকোনো কাজ জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে পরিচালনা করে আসছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এ ধারা অব্যাহত রেখে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
শাহবাগ পশ্চিম থানা নায়েবে আমির ডা: মেসবাহ উদ্দিন সায়েমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় আরো বক্তৃতা করেন, ডা: মো: আনোয়ারুল হক, ডা: হাফিজুর রহমান প্রমুখ। শাহবাগ পশ্চিম থানা সেক্রেটারি এম. লোকমান হোসেনের পরিচালনায় এবং ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আলফেসানীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মেডিক্যাল ক্যাম্পে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ঔষধ সরবরাহ করা হয়।
ঢাকা-১৬ আসনে শ্রমিক সমাবেশ : নিজেদের সকল শক্তি-সামর্থ্য, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টা কাজে লাগিয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রামে সবাইকে আপসহীন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্লবী জোন পরিচালক নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কর্নেল (অব:) আব্দুল বাতেন। উপস্থিত ছিলেন ২নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিল পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসানুল বান্না চপল প্রমুখ।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বক্তব্যের প্রতিবাদ : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিভ্রান্তিকর ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ‘একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে’ মর্মে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার এ ধরনের মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায়-তিনি কাউকে খুশি করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার বক্তব্যে কর্তৃত্ববাদী ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সুর ধ্বনিত হচ্ছে। আমি তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বা ‘একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততা’ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক হীনমন্যতা থেকেই বিভিন্ন সময়ে কেউ কেউ করে থাকেন। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে জামায়াতকে টার্গেট করে এ ধরনের প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে। কিন্তু জাতি এখন এসব মিথ্যাচার সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আলালের এ ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী। আমি তাদের নিজেদের অনেক নেতাদের অতীত ভূমিকা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমানে যখন দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য ও পারস্পরিক সহনশীলতার প্রয়োজন, তখন তার এই উসকানিমূলক মন্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষার পরিপন্থী।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, যার নীতি ও আদর্শ ইসলামী মূল্যবোধ, ন্যায়নীতি ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। অতএব, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপ্রসূত।



