ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু, সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য একটি সুষম ও মর্যাদাসম্পন্ন বেতনকাঠামো বাস্তবায়নসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। গতকাল বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি জানান।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতি গড়ার কারিগর সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য একটি সুষম ও মর্যাদাসম্পন্ন বেতনকাঠামো বাস্তবায়ন, পদোন্নতি যুগোপযোগী করা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ, গবেষণার সুযোগ ও ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা, শিক্ষাদানে মনোনিবেশ করার জন্য প্রশাসনিক কাজ কমিয়ে আনতে আমরা বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু ও অবসর সুবিধাসহ সব পাওনা অবিলম্বে পরিশোধের ব্যবস্থা করা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র, বেতন স্কেল প্রবর্তন। গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গবেষণা ভাতা প্রদান, প্রতি বছর ন্যূনতম একটি আন্তর্জাতিক ও একটি জাতীয় পর্যায়ে কনফারেন্স/সেমিনারে অংশগ্রহণে সুযোগসহ আর্থিক প্রণোদনা গবেষণাপত্র ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও শিক্ষকদের সম্মান, সামাজিক মর্যাদা ও কর্মক্ষেত্রে সবধরনের অনিশ্চয়তা দূরীকরণে সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউট্যাবের সভাপও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার ভিত্তি তৈরির মূল দায়িত্ব পালন করেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকবৃন্দ। অথচ এই দুই স্তরের শিক্ষকদের বেতনভাতাদি জাতীয় বেতন স্কেলে নিম্ন স্তরে আটকে আছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ লাভ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বনিম্ন। ইউট্যাব সভাপতি আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন ও অন্যান্য পেশাগত সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে চরম বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজশিক্ষকরা অন্যান্য সমযোগ্যতার সরকারি কর্মকর্তাদের তুলনায় কেবল আর্থিক সুযোগ-সুবিধায়ই পিছিয়ে নন, পদোন্নতি প্রক্রিয়ায়ও তারা চরম বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ দিন একই পদে চাকরি করেও নানা জটিলতার কারণে শিক্ষকরা সময়মতো পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এ অবস্থার উত্তরণে তারা ১২ দফা দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কামরুল আহসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সোহাগ আউয়াল, ইউট্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন প্রমুখ।



