আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার সেবা নবায়নে অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রয়োজন হবে না

Printed Edition

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

এখন থেকে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার সেবা নবায়নে অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রয়োজন হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় থাকা লোকবল পুনঃনিয়োগ দিতে পারবে।

সম্প্রতি অর্থ বিভাগের বাজেট-১১ শাখা থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এখানে আউটসোর্সিং বলতে কোনো সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত দফতরে অস্থায়ী ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগকে বুঝানো হয়ে থাকে। এতদিন এ লোকবলের মেয়াদ বাড়াতে হলে অর্থ বিভাগের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এ পরিপত্রের ফলে এ অনুমোদনের আর প্রয়োজন হবে না।

‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০২৫ স্পষ্টীকরণ’ শীর্ষক পরিপত্রে বলা হয়েছে ‘উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের সুবিধার্থে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের পদ/জনবলের ধরন ও সংখ্যা নির্ধারণের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশক্রমে নিয়োজিত আউটসোর্সিং সেবা নবায়নের ক্ষেত্রে পরবর্তী নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত অর্থ বিভাগের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।’

উল্লেখ্য, সরকারের দৈনন্দিন কাজে গতিশীলতা আনা, স্বল্প সময়ে সেবা গ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং মানসম্পন্ন সেবা ক্রয়ের লক্ষ্যে চলতি বছরের গত ১৫ এপ্রিল ‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০২৫’ জারি করে অর্থ বিভাগ।

ওই নীতিমালার ৭(গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সেবা গ্রহণের মেয়াদ অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে নির্ধারিত হবে এবং সাধারণত সেবা গ্রহণের মেয়াদ দুই বছর হবে, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের সম্মতি সাপেক্ষে মেয়াদ হ্রাস-বৃদ্ধি করা যাবে।’

নতুন পরিপত্রে অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণের বিষয়টি পরবর্তী নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত শিথিল বা রহিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া নীতিমালার অন্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত সেবাকর্মীর মাসিক সেবামূল্য ও প্রণোদনা অর্থ বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সেবা ক্রয়কারী কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত সেবাঘণ্টা, সেবাকর্মীর সেবা সময় হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত সময় সেবাদানে নিয়োজিত থাকার প্রয়োজন হলে অর্থ বিভাগের সম্মতি সাপেক্ষে চুক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত সেবামূল্য প্রদেয় হবে।