সাবেক মন্ত্রী সাবের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৩৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, সন্দেহজনক লেনদেন ২৭৫ কোটি

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় সাড়ে ৩৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২৭৫ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর নামে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো: সাইদুজ্জামান বাদি হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন মামলার বিষয় জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রথম মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১২ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া নিজ নামে ১৯৮৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২১টি ব্যাংক হিসাবে ১২৪ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্য দিকে তার স্ত্রী রেহানা চৌধুরীর নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৬ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিজ নামে ১৯৯৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৩ ব্যাংক হিসাবে ১৫০ কোটি ৮৮ লাখ ৯২ হাজার ৪৫০ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই মামলায় তার স্বামী সাবের হোসেন চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৮ (৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, তার স্ত্রী ও চার সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেেিত ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো: জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। তাদের সন্তানরা হলেন, ছেলে হামদান হোসেন চৌধুরী, আরজ আলম চৌধুরী, মেয়ে রাইমা চৌধুরী ও আলীশা বাবর চৌধুরী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগের মামলায় গত বছরের ৬ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। দুই দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

সাবের হোসেন চৌধুরী মতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিগত সরকারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।