মায়ের ডাকের মানববন্ধন

ক্ষমতায় গেলে গুমের শিকার পরিবারের দায়িত্ব নেবে বিএনপি : এম এ মালেক

Printed Edition
গুম-খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে হাইকোর্টের ফটকের সামনে মায়ের ডাকের মানববন্ধন : নয়া দিগন্ত
গুম-খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে হাইকোর্টের ফটকের সামনে মায়ের ডাকের মানববন্ধন : নয়া দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুম-খুনের শিকার পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর থেকে অসহায় পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন। অথচ এখনো তারা জানতে পারেননি তাদের স্বজনদের সাথে কী হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্ট ভবনের মাজার গেটের সামনে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

এম এ মালেক বলেন, ড. ইউনূস আয়নাঘর আবিষ্কার করে চুপ হয়ে গেলেন কেন সেটা বোধগম্য নয়, তারা কেন নিখোঁজদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। গুমের শিকার ব্যক্তিরা যতদিন পর্যন্ত ফিরে না আসবেন, ততদিন আমি তাদের পরিবারের সন্তানদের পাশে থাকব। আগামীতে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, আমরা সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করব। এ ছাড়া যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, সেসব পরিবারের আমরা পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নেব।

তিনি বলেন, দেশে এখনো ভারতীয় নিয়ম চলমান রয়েছে। সীমান্তে হত্যা থামেনি, এখনো ক্রসফায়ারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনা তেমন সংবাদমাধ্যমে আসছে না। নির্বাচন না হওয়ার জন্য আরেকটা গোষ্ঠী বিশেষ করে ভারতের সাথে আঁতাত করে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বাংলাদেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠা যেন না হয়, তারা সেই পাঁয়তারা করছেন। তবে গণতান্ত্রিক সরকার না হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে না, বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।

মানববন্ধনে মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, গুমের ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির দাবি জানানোর জন্যই আজকের এ আয়োজন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গুমের শিকার পরিবারগুলো আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু সরকারের এক বছর পার হলেও কারো সন্ধানই দিতে পারেনি।

মানববন্ধনে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা বলেন, সরকার একটি গুম সংক্রান্ত কমিশন গঠন করেছে। অথচ গত এক বছরেও তারা জানাতে পারল না তাদের স্বজনদের কী হয়েছে। অথচ এই ঘটনার সাথে জড়িতরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও অনেক তথ্য পাওয়া যায়। সেটি করা হচ্ছে না। অথচ আমরা স্বজন হারিয়ে চরম অবহেলার পাত্র হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। তারা বলেন, গুমের সাথে জড়িতদের বিচার করা না হলে জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের সাথে বেঈমানি করা হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব গুমের শিকারের সাথে জড়িত প্রতিটি বাহিনীকে সংস্কার করে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অভিযুক্ত ২৮ জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।