জেনেভা ক্যাম্পের বুনিয়া সোহেলসহ গ্রেফতার ২৭

রাতভর যৌথ অভিযান

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব-২ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ অভিযানে বিদেশী পিস্তল, গুলি, মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার সোহেল স্থানীয়ভাবে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ‘বুনিয়া সোহেল বাহিনীর ম্যানেজার’ হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে জেনেভা ক্যাম্পে চুয়া সেলিম, পিচ্চি রাজা ও বুনিয়া সোহেল এই তিন গ্যাংয়ের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একাধিক সংঘর্ষ হয়। গত ২১ অক্টোবর সেনাবাহিনী পিচ্চি রাজা বাহিনীর আস্তানা থেকে ৩২টি তাজা ককটেলসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য জাহিদ (২০) নিহত হন। এই ঘটনার পরই রাতে জেনেভা ক্যাম্পে যৌথবাহিনীর ব্যাপক অভিযান চালায়।

বিশেষ অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, পাঁচটি সামুরাই তলোয়ার, ১০টি বড় ছোরা, দুটি চাইনিজ কুড়াল, ১৪টি পেট্রোল বোমা, ১০ ক্যান বিয়ার, ৩৩ পিস লোহার এসএস পাইপ এবং ৩০টি হেলমেট। এসব অস্ত্র মূলত গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া ইতালিতে তৈরি একটি ৭ দশমিক ৬৫ মি.মি. বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড তাজা গুলি ও দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মামলার আসামি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদক দমন অভিযানে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। সেনা, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার : রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি কফিশপে অভিযান পরিচালনা করে দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি আসাদুল ইসলাম আসাদকে (৫০) গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এটিইউ জানায়, আসাদুল ইসলাম আসাদ সোনালী ব্যাংক হতে ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে পরিশোধ করেননি। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। অপর একটি মামলার সূত্র মতে, সে পণ্য সরবরাহের কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। পণ্য ও টাকা ফেরত না পেয়ে আসাদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় তার বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়। তবে তিনি দীর্ঘ দিন হয় আত্মগোপনে ছিলেন জানায় এটিইউ।