নি ত্যো প ন্যা স

ঘটন-অঘটন সুন্দরবন

Printed Edition
ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
ঘটন-অঘটন সুন্দরবন

প্রিন্স আশরাফ

একশ’ চৌদ্দ.

হাকিম মাঝি দাঁড়ের গতি বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘সাব, কুমির না থাকলিও কামোঠ আছে কিন্তুক।’

জুয়েল আবার জিজ্ঞেস করল, ‘কামোঠ কী?’

হাকিম মাঝির হয়ে নাভিদ উত্তর দিলো, ‘কামোঠ কুমিরের চেয়ে ছোট এক ধরনের ভয়ঙ্কর প্রাণী। কুমির ধরলে গোটা মানুষ খেয়ে ফেলে। আর কামোঠে কচ করে হাত পা কেটে নিয়ে যায়। খুব ধারালো দাঁত এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটির।’

‘ঠিক কইয়েছন স্যার। চক্ষের নিমেষেই পা হাওয়া।’ হাকিম মাঝি ফোড়ন কাটে।

পা বাঁচাতে জুয়েল তাড়াতাড়ি নৌকার কিনার হতে পিস্তল সামলে ছইয়ের ভেতরে ঢুকে যায়। স্যারের সাথে জানপরাণ হাতে করে এ কোন অভিযানে নেমেছে সে।

নাভিদ গলা উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘ও মাঝি ভাই, তোমার মান্দার ভাইয়ের নৌকা কতদূর গেল? কোনদিকে গেল?’

ছপছপ শব্দ তুলে নৌকা তখন বাঁকের মুখে। হাকিম মাঝি বাঁক ঘোরানোয় মনোযোগ দিতে দিতে বলল, ‘সাব, বাঁকের ওধারে গিলি বুঝতি পারবানে। (চলবে)