ভারত ঢুকলে দেশের ৫০ লাখ যুবক স্বাধীনতা যুদ্ধ করবে : ডা: তাহের

Printed Edition
নিউ ইয়র্কের অ্যাস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর হলরুমে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে গণসংবর্ধনা : নয়া দিগন্ত
নিউ ইয়র্কের অ্যাস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর হলরুমে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে গণসংবর্ধনা : নয়া দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কারও সাথে কোনো আপোস করা হবে না। আমাদের অনেকে ভয় দেখায় যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, পাশের দেশের লোকেরা ঢুকে পড়বে। আমি বলি, আমি দোয়া করি তারা ঢুকুক। ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে মিথ্যাভাবে চাপানো হয়েছে। তখন আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবো। কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন (কোবা) আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার বাংলাদেশী আমেরিকান অংশগ্রহণ করেন।

ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে। এদের এক ভাগ গেরিলা যুদ্ধে যাবে। ঘোড়া নামলেই লাঠি দিয়ে ধরবে। লাঠি জায়েজ না নাজায়েজ? আমি সবসময় জায়েজ কথাই বলি। ঘোড়া থেকে তারা নামতে পারবে না। বাকি অর্ধেক বিস্তৃত এলাকায় চলে যাবে, পুরো রিজিয়নে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হবে। রাসূল সা:-এর গাজওয়া সম্পর্কিত যে হাদিস আছে, সেটার বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা হবে।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না, বরং সহযোগিতা করবে। আরেক বড় দল আছে তারাও সহযোগিতা করবে না, তারা যুদ্ধ করার মতো সংগঠিতও নয়। তখন সংগঠিত শক্তি কে হবে? আমরা হবো। তখন আমরা হবো খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা। তাহলে একটা সুযোগ তৈরি হবে খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার। বাংলাদেশকে কেউ গ্রাস করতে পারবে না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

জাকাতের অর্থনৈতিক ব্যবহার প্রসঙ্গে ড. তাহের বলেন, অফিসিয়ালি জাকাত আদায় হলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্যবিমোচন সম্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশে বিপুল পরিমাণ জাকাত আদায় হয়, তা বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি হবে।

উদাহরণ টেনে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, একজন যুবককে যদি জাকাত থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয় এবং সেই টাকায় ১০টি বাদামের ব্যবসার কার্ট চালু করা হয়, তবে প্রতিদিন অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিটি কার্টে ২০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টাকা আয় সম্ভব। ফলে মাস শেষে শুধু একজন পরিচালকেরই আয় হবে ৯০ হাজার টাকা। এভাবে জাকাতের টাকা দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে।

এ সময় তিনি প্রবাসীদের অবদানও স্বীকার করেন। জামায়াত নেতা তাহের বলেন, আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রবাসীরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন, মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তা প্রশংসার চেয়েও বড় অবদান। যারা রক্ত দিয়েছেন, কলমে লড়েছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের নাম ইতিহাসে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে লেখা থাকবে।