ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগের ম্যাচটি ছিল ক্লোজ ডোর। হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। কাল অবশ্য থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতিম্যাচ বাং মড স্টেডিয়ামেই হয়েছিল। খেলা দেখানো হয়েছিল সরাসরি। আগের ম্যাচে বাংলাদেশ ০-৩ গোলে হেরেছিল থাইল্যান্ডের কাছে। তবে কাল হারটা আরো বড়। ১-৫ গোলে হার। আর এই বাজে পরাজয়ের জন্য দায়ী কোচ পিটার বাটলারের হাই লাইন ডিফেন্স। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৫৩তে থাকা দলটি কাউন্টার অ্যাটাকে একে একে বাংলাদেশের জালে বল পাঠাতে থাকে। গোলরক্ষক রুপনার মাথার উপর দিয়েও বল জালে গেছে একাধিক বার। এর পরও রূপনা কয়েকটি সেভ এবং থাইল্যান্ডের আরো কয়েকটি মিস না হলে ৯/১০ গোল হতে পারত। ২-০তে পিছিয়ে পড়া আফঈদা খন্দকার প্রান্তির দল বিরতির আগেই স্কোর ১-২ করে। তবে ওই অর্ধেই আরো এক গোল হজম। দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুইবার জল থেকে বল কুড়ান রূপনা চাকমা।
কোচ বাটলার আগের ম্যাচের একাদশ থেকে মিডফিল্ডার মুনকি আক্তারকে বাদ দিয়ে নেন ডিফেন্ডার নবীরন খাতুনকে। বিরতির পর নামানো হয় মিডফিল্ডার স্বপ্না রানীকে। বাংলাদেশ দল ব্যবধান কমানো গোলটি করেছিল মারিয়া মাণ্ডার কর্নারে ছোট শামসুন্নাহারের হেডে। এই ফরোয়ার্ডের হেড পোস্টে লেগে জালে যায়। ২৯ মিনিটের ঘটনা এটি। থাইল্যান্ড দল ১২, ২৩, ৩৪, ৫৪ ও ৫৮ মিনিটে গোল করে। তাদের শেষ গোলটি পেনাল্টি থেকে। ম্যাচ শেষে কোচ জানান, থাইল্যান্ড দল সব দিকেই আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তারা মানের দিক থেকে যেমন অগ্রবর্তী অবস্থানে। ঠিক তেমনি শাররীকভাবেও। আমাদের খেলোয়াড়রা সেই লেভেলে নেই। এ ছাড়া কয়েকটি গোলও উপহার দিয়েছি। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড এবার নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হলেও তারা ১৭ বার ফাইনাল রাউন্ডে খেলে। ১৯৮৩ সালের চ্যাম্পিয়নও। সেখানে র্যাংকিংয়ে ১০৪-এ থাকা বাংলাদেশ এই প্রথম এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে।



