নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানের সাথে ঢাকা সফররত তুরস্কের ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি মিনিস্টার এ বেরিস একিনজির নেতৃত্বে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনসহ চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মানবিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে তুর্কি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং দুই দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর করার বিষয়েও গঠনমূলক মতবিনিময় হয়। ভবিষ্যতে উভয় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা আরো বেগবান হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
কসোভো রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত রিপাবলিক অব কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গতকাল সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতেই আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ ও কসোভোর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি কসোভোর দৃঢ় সমর্থন থাকবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনাকালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে না, পথ দেখায় : নূরুল ইসলাম বুলবুল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, শপথ নেয়া মানেই জান্নাত অর্জন করা নয়, শপথের আলোকে নিজেকে পরিচালিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া জান্নাত লাভ করা যায় না। ইসলাম বিদ্বেষীরা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বলে, জামায়াতে ইসলামী জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে না, জান্নাতের পথ দেখায়। ইসলামের শিক্ষা অর্জন এবং বাস্তবায়নের জন্য জামায়াতে ইসলামী গাইডলাইন হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের হলরুমে রোববার রাতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নতুন সদস্যদের (রুকন) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও মো: শামছুর রহমান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুর নবী মানিক, আবদুস সালাম, ডা: আতিয়ার রহমান, শেখ শরীফ উদ্দিন আহমদ, কামরুল আহসান হাসান, সৈয়দ সিরাজুল হক প্রমুখ।
চট্টগ্রামে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময়
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই বিপ্লবের স্লোগান হচ্ছে একটি বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশ গঠন করা; যেখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, স্বজনপ্রীতি চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজি থাকবে না। সরকার ইতোমধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে। দেশের একটি বৃহৎ দল হিসেবে জামায়াত জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনীনহ তাদের পরামর্শ সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। তাই জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেয়া এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়া ছাড়া নির্বাচন হলে তা হবে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করার নির্বাচন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হলো রাজনৈতিক দলগুলো ও অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের কাছে একটি কমিন্টমেন্ট ও অঙ্গীকার এবং নির্বাচনের পূর্বেই এই কমিন্টমেন্টে আসতে হবে যে, আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই। তিনি বলেন, দু’টি পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধান করা যায়, একটি হলো সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট। জুলাই সনদ যদি আইনি প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত হয়ে না আসে তাহলে এটি স্টেট এভিডেন্স হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী একাডেমি (বিআইএ) মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার ও মোহাম্মদ উল্লাহ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, সাংবাদিক এ কে এম জহুরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল মোস্তফা কাজী, সাংবাদিক আবুল হাসনাত, সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম মোস্তফা, এনামুল হক, কবি আব্দুল গফুর প্রমুখ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর জামায়াতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা: এ কে এম ফজলুল হক, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা: সিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও আমির হোছাইন প্রমুখ।



