যৌথ সফরে চার ইউরোপীয় দেশের নেতারা ইউক্রেনে

৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত

আলজাজিরা
Printed Edition
ইউক্রেনের কিয়েভের স্বাধীনতা স্কয়ারে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ  : ইন্টারনেট
ইউক্রেনের কিয়েভের স্বাধীনতা স্কয়ারে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ : ইন্টারনেট

ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের নেতারা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে আলোচনার জন্য ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। প্রথমবারের মতো চারটি ইউরোপীয় দেশের নেতারা ইউক্রেনে যৌথ সফর করছেন। তারা ইউক্রেনে তিন বছরের সঙ্ঘাতের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার ওপর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন।

গতকাল শনিবার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একসাথে এসে পৌঁছান। পরে তাদের সাথে যোগ দেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। ট্রেন থেকে নেতাদের স্বাগত জানানোর ছবি পোস্ট করে জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, আমাদের অনেক কাজ বাকি আছে, আলোচনা করার জন্য অনেক বিষয় আছে। আমাদের এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে ন্যায্য শান্তির মাধ্যমে। আমাদের অবশ্যই মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য করতে হবে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। মস্কোতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উদযাপনের একদিন পরই ইউরোপীয় ঐক্যের বিশাল প্রতীকী প্রদর্শনীটি দেখা গেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সঙ্ঘাত নিরসনে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পুতিন এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া দেননি।

কিয়েভ থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক জেইন বাসরাভি বলেন, এই চতুর্পক্ষীয় দলের সফর ‘প্রতীকী’ ছিল। সরাসরি বৈঠকও হওয়ার কথা। এ মুখোমুখি বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কিভাবে পাশে রাখা যায় সে বিষয়টাই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

গতকাল সকালে জেলেনস্কির সাথে দেখা করার পর নেতারা যুদ্ধের পরে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে এমন একটি ইউরোপীয় বাহিনী তৈরির পদক্ষেপ সম্পর্কে অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করার জন্য একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করবেন বলে খবরে বলা হয়েছে।