৬ মাসে ১২৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব

সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব এসেছে চীন থেকে

Printed Edition

বিশেষ সংবাদদাতা

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (বিডা) চলতি বছরের ছয় মাসে ১২৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটির পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে চীনা থেকে।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো: আবদুর রহমান খান।

বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে পাওয়া বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ মোট ৪৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭০ কোটি মার্কিন ডলার এবং যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সব থেকে বেশি বিদেশী প্রায় ৩৩ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে চীনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে।

এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে সভায় জানান বিডার প্রতিনিধি।

সভায় বিডার প্রতিনিধি আরো জানান, ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে ২৩১ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রস্তাব থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপান্তরের হার প্রায় ১৮ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে রূপান্তরের এই হার গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের কাছাকাছি বলে সভায় জানানো হয়।

বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমানোর বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বন্দরে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কনটেইনার অনেক দিন থেকে পড়ে আছে। বর্তমান সরকারের সময়ে বন্দরে গতি ফেরাতে কনটেইনার জট কমানোর পর গত দুই মাসে ১০০০ কনটেইনার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে সভায় জানায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত এ সময় নিলাম কার্যক্রম আরো গতিশীল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।

আগামী মাসে আরো ৫০০ কনটেইনার নিলামে তোলার কাজ চলছে এবং নিলামের পণ্য হস্তান্তরের কাজও চলমান আছে বলে এ সময় কর্মকর্তারা বিশেষ দূতকে জানিয়েছেন। বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটির সভায় বাংলাদেশ বিজনেস পোর্টাল (বিবিপি) চালু করার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।

বিডা, বেজা, বেপজা ও বিসিকের পরিষেবাগুলোকে একত্র করতে এই সমন্বিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সফট লঞ্চিং এবং সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ পুরোদমে প্ল্যাটফর্মটি চালু করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।