Every Times Counts এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বর্ণাঢ্য র্যালি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিউরোসার্জারি বিভাগের ডা: সুজন শরীফের সঞ্চালনায় ঢামেকে ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা: শফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মো: আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢামেক হাসপাতালের এন্ডোভাসকুলার ও স্ট্রোক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: শাহেদুর রহমান শিকদার।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে ৮৯ শতাংশ স্ট্রোক ঘটে। প্রতি মিনিটে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ (নিউরন) মারা যায়। তাই স্ট্রোকের রোগীদের জন্য সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের কাছে নেয়া গেলে রোগীকে পুরোপুরি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনা গেলে জীবন সুরক্ষা পায়। থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মো: আসাদুজ্জামান বলেন, এখন রোগীরা বুঝতে পারে না তাদের স্ট্রোক হয়েছে কি না, এ সচেতনতা মানুষের মাঝে তৈরি করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা: মো: শফিকুল ইসলাম বলেন; প্রতি চারজনে একজনের স্ট্রোক হয়, তবে এ স্ট্রোক নব্বই ভাগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এতে করে আমাদের আর চিকিৎসা পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজনই হয় না।
তিনি আরো বলেন সারা দেশে স্ট্রোক সেন্টার হওয়া প্রয়োজন, এবং মানুষের ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশকে স্ট্রোক সেন্টারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্ট্রোক সচেতনতার জন্য সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।



