লালন দর্শন বহুমাত্রিক : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

Printed Edition

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ও কুমারখালী সংবাদদাতা

লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবসে গতকাল শুক্রবার তিন দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই জাতীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তিনি বলেন, লালন দর্শন বহুমাত্রিক। এই প্রথমবারের মতো লালনের তিরোধান অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করতে পারায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিটি মানুষের নজর কেড়েছে। আমি ঢাকায় অবস্থান করলেও মনে ও প্রাণে রয়েছি লালনের মাজারের পাশে আপনাদের সাথেই।

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া লালন মাজার মুক্তে মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, লালন বক্তৃতায় মুখ্য আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান লেখক ও গবেষক প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, বিশিষ্ট কবি, লেখক ও চিন্তক এবং লালন বিশেষজ্ঞ ফরহাদ মজহার, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের স্মরণে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা পারভীন বলেন, জাতীয়ভাবে লালনের তিরোধান অনুষ্ঠান প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়ায় হওয়ায় লালন ভক্ত ও সাধু বাউলদের সম্মান বেড়েছে। সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তিনি আরো বলেন, লালন মাজারে পূর্ণ সেবাই বাউলদের ইলিশ মাছ বিতরণ করা হয়। বর্তমানে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই মাছ শুধু লালনের সাধু বাউলদের জন্য কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা শুরুর অনেক আগেই কিনে ফ্রিজ করে রেখেছিল তিনি বলেন, লালন সাইজী ইলিশ পছন্দ করতেন তাই তিরোধান দিবসে সাধু বাউলদের পূর্ণ সেবাই ইলিশ মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পরে লালন অ্যাকাডেমি শিল্পীদের পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠান শুরু হয়।

এ দিকে লালন তিরোধান অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত ও বাউলরা লালন মাজার এলাকায় গত কয়েক দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছেন।