বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রদ্রিগো পাজ

দুই দশকের বাম শাসনের অবসান

Printed Edition
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রদ্রিগো পাজ
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রদ্রিগো পাজ

রয়টার্স

বলিভিয়ায় প্রায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফে বিজয়ী হয়েছেন মধ্যপন্থী রাজনীতিক রদ্রিগো পাজ। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই সিনেটর ৫৪.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রক্ষণশীল প্রার্থী হোর্হে ‘টুতো’ কিরোগাকে পরাজিত করেন। পাজের বিজয় এমন এক সময় এলো, যখন বলিভিয়া ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে- মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, জ্বালানি ঘাটতি প্রকট এবং প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এই বাস্তবতা ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা জাগিয়েছে।

২০০৬ সাল থেকে বলিভিয়া মূলত মুভমেন্ট ফর স্যোসালিজম (এমএএস) দলের শাসনে ছিল, যারা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে দীর্ঘ দিন একচেটিয়া সমর্থন পেয়ে এসেছে। তবে অগাস্টে প্রথম দফার ভোটে এমএএস প্রার্থীর ভরাডুবি হয়। পাজ তার বিজয় ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বিশ্বের কাছে বলিভিয়াকে খুলে দিতে হবে।’ তিনি সামাজিক কর্মসূচি বজায় রাখার পাশাপাশি বেসরকারি খাত-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নকে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তার এমন অবস্থান এমএএসের অনেক ভোটারকে আকৃষ্ট করেছে, যারা কিরোগার প্রস্তাবিত কৃচ্ছ্রতাসাধন কর্মসূচি নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। তবে পাজের দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। নিম্নকক্ষে তাদের রয়েছে ৪৯টি আসন, উচ্চকক্ষে ১৬টি। ফলে সরকার গঠনে তাকে জোটের ওপর নির্ভর করতে হবে। পাজের রানিংমেট এডমুন্ড লারার জনপ্রিয়তা, বিশেষ করে দুর্নীতি উন্মোচনে তার টিকটক ভিডিও, তরুণ ও শ্রমজীবী ভোটারদের মধ্যে পাজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আগামী ৮ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার সামনে তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে- জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং বিভক্ত পার্লামেন্টে কার্যকর জোট গঠন। পাজ জানিয়েছেন, তিনি জ্বালানি সঙ্কট সমাধানে কাজ করছেন এবং দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যেই ডিজেল ও গ্যাসোলিন সরবরাহে অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদী। তিনি ধাপে ধাপে সার্বজনীন জ্বালানি ভর্তুকি তুলে দেয়ার পক্ষে, তবে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।