২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
অদৃশ্য দৃশ্যাবলী

সংবিধান : সংশোধন না পুনর্লিখন

-

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর, ১৯৭২ সালে দেশের জন্য সংবিধান গৃহীত হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব সংঘটিত হয়, তাকে অনেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবেও অভিহিত করছেন। এই নতুন প্রেক্ষাপট সামনে রেখে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাংবিধান বিষয়ে বিজ্ঞ আইনজীবী ও বোদ্ধা অংশীজনের অভিমত- ’৭২ সালের রচিত সংবিধান ইতোমধ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। সেটি নতুন দিনের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে না। আবার অনেক রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সংবিধান ও সে সময়কার অন্যান্য আইন-কানুনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক পরিষদের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়নের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন আছে। তা ছাড়া বিগত প্রায় ৫২ বছরে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সংশোধনের নামে সংবিধানের যতগুলো ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে তাতে এটিকে জিইয়ে রাখা বা প্রয়োজন পূরণে সক্ষম করে তোলা হয়তো সম্ভব নয়। নতুন সংবিধান রচনার কোনো বিকল্প নেই।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছেন, রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি (গণপরিষদ) করে হলেও সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি। তিনি বলেছেন, তার সংবিধান পুনর্লিখন করতে হবে। এর বাইরে বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করা যাবে না। তিনি মনে করেন, সরকারপ্রধান হিসেবে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ থাকতে পারেন। অধ্যাপক রীয়াজ মনে করেন, সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া এর সংশোধনের উপায় নেই। কারণ, সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ এমনভাবে লেখা যে, তাতে হাতই দেয়া যাবে না। এর মধ্যে এমন বিষয় আছে, যেগুলো না সরালে কোনো কিছুই করা যাবে না। এ কারণে পুনর্লিখনের প্রসঙ্গ আসছে। পুনর্লিখনের পথ হিসেবে গণপরিষদের কথা হয়েছে। যাই হোক, ইতোমধ্যে সরকার সংবিধান ও আইন সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।
এ দিকে টিআইবির প্রস্তাবে একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্ষমতা যাতে একহাতে কেন্দ্রীভূত না হয় সে জন্যই এই ব্যবস্থা। এসব সংস্কার জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সব পথ সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে আর কারো পক্ষে স্বৈরাচারের পথ রোধ করা সম্ভব হবে না।
ড. আলী রীয়াজ আরো উল্লেখ করেন, ঐকমত্যের জায়গাকে গণতন্ত্র মনে করি না। সহনশীলভাবে মতপ্রকাশ এবং সংখ্যালঘুর মতপ্রকাশের নিশ্চয়তা বিধানই হচ্ছে গণতন্ত্র। আমাদের সেই গণতন্ত্র পুনর্গঠন করতে হবে। সে জন্য সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না।
দৈনিক প্রথম আলো একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিল প্রফেসর সলিমুল্লাহ খানের। প্রফেসর সলিমুল্লাহ খান বেসরকারি এক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, আইন শাস্ত্র, ফ্রয়েডিয় মনস্তত্ত্ব, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, ইতিহাস ও সাহিত্যে তার পাণ্ডিত্য রয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বিশেষ করে সংবিধানসহ অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি মত দিয়েছেন। সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ১৯৭২ সালে (আমাদের) সংবিধান লেখা হয়েছিল ভারতের আদর্শ সামনে ধরে। আমাদের নতুন (সংশোধিত বা লিখিত) সংবিধান হবে সরল। তার এক স্থানে তিনি বলেন, সরকারের তিন বিভাগের মধ্যে আইনসভাকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে। এর অধীনে অর্থাৎ আইন সভার যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিচার বিভাগের সদস্য বা বিচারকদেরও আইন সভার অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ বৈধ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন লাভ না করলে কেউ উচ্চ আদালতের বিচারক নিযুক্ত হতে পারেন না। তাদের অনুকরণ করার সময় হয়তো এখনো আসেনি; কিন্তু এর ছায়া হিসেবে বাস্তবে সব ক্ষেত্রেই আমরা তো তাদের অনুসরণ করে থাকি। তাহলে এ ক্ষেত্রে করব না কেন!
তিনি মনে করেন, এককক্ষের জায়গায় দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ভালো হবে। অনেকে মনে করেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য বিধান করলে ভালো হয়। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের মতো। জনগণের অধিকার অলঙ্ঘনীয় রাখতে হবে। যারা মিথ্যা মামলা রুজু করবে তাদেরও শাস্তি বিধান করতে বিধান থাকতে হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এখানে যে স্বৈরতান্ত্রিক ও বংশানুক্রমিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা চলে আসছে, তা থেকে বের হয়ে আসার পথ কী!
তিনি আরো যোগ করেন, সংবিধানে সর্বক্ষমতা হতে হবে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত আইনসভার ওপর। বর্তমান সংবিধান আইনসভাকে রেখেছে পঞ্চম ভাগে, নির্বাহী বিভাগকে চতুর্থ ভাগে রাখা হয়েছে। এমনভাবে অনেকটা অজ্ঞানেই। আমাদের গঠনতন্ত্র সে জন্য নির্বাহী বিভাগকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের শুরুতে রয়েছে কংগ্রেস বা আইন বা আইনসভা, তারপর নির্বাহী, পরে বিচার বিভাগ। সেখানে রাষ্ট্রপতির চেয়েও আইনসভা (সিনেট ও হাউজ অব কমন্স) উপরে। আমাদের এখানে আইনসভার এ গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সবার আগে আইনসভার কর্তৃত্ব তৈরি করতে হবে। আর তা করতে হলে আইনসভার সদস্যদের সত্যি সত্যি নির্বাচিত হতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক জেলা জজ এবং আইন ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইকতেদার আহমেদের চলমান সংবিধান নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সে প্রেক্ষিতে নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তার মত ব্যক্ত করেছেন। এখানে কিয়দংশ উদ্ধৃত করা হলো :
সংবিধান ও অন্যান্য আইনের তুলনায় সংবিধানের মর্যাদা এবং গুরুত্ব প্রশ্নাতীত। পৃথিবীর সর্বত্র সমাজ গতিশীল। গতিশীল সময় ও যুগের চাহিদা মেটাতে আইন ও সংবিধানকে গতিশীল হতে হবে। এতে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়। সংবিধান ও অন্যান্য আইন হলেও সেসব আইনের তুলনায় সংবিধানের অবস্থান অনেক উপরে হতে পারে। সংবিধানের আইন যদি স্থবির হয়, তবে তা আর সময় ও যুগের পরিবর্তনের জন-আকাক্সক্ষা পূরণে সক্ষম হয় না। সে প্রেক্ষিতে জনমত পূরণে আবশ্যকতা দেখা দেয়। সে জন্য জন-আকাক্সক্ষা পূরণে সংবিধানসহ অন্যান্য আইনের সংশোধন বা ক্ষেত্রবিশেষ নতুন সংবিধান বা আইন প্রণয়নের আবশ্যকতা দেখা দেবে।
অভ্যুদয়-পরবর্তী এ যাবৎকাল বাংলাদেশ পাঁচবার অসাংবিধানিক শাসনের কবলে পড়ে। প্রথম ও দ্বিতীয়বারের অসাংবিধানিক শাসক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদ সামরিক ফরমানবলে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনাকালীন সংবিধান স্থগিত করে ধাপে ধাপে আংশিক পুনর্জীবিত করেন। তারা উভয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাকালীন রাজনৈতিক দল গঠনপূর্বক যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতের মাধ্যমে যথাক্রমে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী দ্বারা তাদের অসাংবিধানিক শাসনকে বৈধতা দান করেন।
সংবিধান সংশোধন অথবা পুনর্লিখন মাধ্যমে যে পরিবর্তনের সূচনা করা হোক না কেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য দু’টি পথ খোলা রয়েছে। এর একটি হলো- রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদ যে পথে অগ্রসর হয়ে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে তাদের শাসনকালকে বৈধতা দিয়েছিলেন তার অনুসরণ, যদিও তা সামরিক আইন জারি ছাড়াই সম্ভব। অন্যটি হলো- সংবিধান পুনর্লিখনের মাধ্যমে। শেষোক্তটির ক্ষেত্রে গণপরিষদ গঠনের আবশ্যকতা দেখা দেবে এবং সে ক্ষেত্রে কাদের নিয়ে বা কিভাবে গণপরিষদ গঠিত হবে সেটি একটি জটিল প্রশ্ন। জটিল প্রশ্নটি সুরাহার ক্ষেত্রে আইন কমিশনে সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এর পরিধি বিস্তৃতকরত সংবিধানের সংশোধন বা পুনর্লিখনের প্রাথমিক কাজটি করা যেতে পারে; তবে উভয়ক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে উপনীত হয়ে জাতীয় সংসদ বা গণপরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সাংবিধানিক অনুমোদন বা সংবিধান গৃহীত হওয়ার কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। সুতরাং বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তারা সংবিধান স্থগিত করে ফরমান বা ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নাকি বহাল রেখে রাষ্ট্রের শাসনকাজ পরিচালনা করবেন একান্তভাবে এটি তাদের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে ছাত্র-জনতার বিপ্লব থেকে উদ্ভূত জন-আকাক্সক্ষা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার উৎস হতে পারে।
পতিত সরকারের গত প্রায় ১৬ বছর দেশের সংবিধান নিয়ে যথেচ্ছাচার করা হয়েছে। যদিও বস্তুত কথা হচ্ছে যখন সংবিধান ছিল একটা অর্থহীন পুস্তক। সে জন্যই তা বারবার অমান্য করা হয়েছে।
দেশের সংবিধানে আইন শাসন, শৃঙ্খলা বিধানের পথ-পদ্ধতি স্পষ্টভাবে সন্নিবেশিত রয়েছে। এখন আইন-কানুন ও সংবিধানের প্রতি যে উপেক্ষা ছিল সেটিই মানুষকে হাবুডুবু খাওয়াচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটা সাঁতার না জানা মানুষের মতো, যারা পানিতে পড়ে খড়কুটো ধরেই বাঁচতে চায়। সমাজের একজন মানুষ হিসেবে সবার সেই অবস্থা ছিল। আর তাই, আমার জন্য কঠিন হলেও খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি সংবিধান কোথায়, কিভাবে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং কিভাবে তার ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটিই ঐতিহাসিক সত্য যে, সাংবিধানিক যাত্রা শুরুর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই সংবিধান নিয়ে বড় একটি পদস্খলন ঘটেছিল। ফলে যে গুড বিগিনিং হয়েছিল সেটি মরুপথে হারিয়ে যায়। আফসোসের ব্যাপার, পতিত সরকার উত্তরসূরির কেউ সেই স্খলন মেরামত না করে ব্যত্যয় আরো কয়েক কাঠি এগিয়ে গেছে। আইন-কানুন, বিধিবিধান নিয়ে আরো যথেচ্ছাচার করে, তাদের অগ্রজদের অনেক পেছনে ঠেলে দিয়েছে। এতে আপাতত তাদের গোষ্ঠীস্বার্থ সংরক্ষিত হলেও ভবিষ্যতে দেশের জনগণের ক্ষতি হয়েছে। সংবিধান উপেক্ষা করা এবং নানা ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে সেটিকে এখন যেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যা হোক, স্রষ্টা কিন্তু ইনটেনশন মহৎ হলে অনেক ভুলও ক্ষমা করে দেন। সংবিধান নিয়ে বলাটা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় ক্ষমা সেখানে কিছুতেই নয়।
সংবিধান বা শাসনতন্ত্র আসলে কী। সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রের নির্ধারিত মৌলিক আইন। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার কাঠামো, রূপরেখা, সরকারের গঠনপদ্ধতি, সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতাবণ্টন, সরকারি কার্যক্ষেত্রের পরিধি ও প্রয়োগপদ্ধতি এবং শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণীত হয়ে থাকে। সংবিধান হলো কোনো শাসনব্যবস্থার মূল গ্রন্থ, যাতে স্বায়ত্তশাসিত কোনো রাজনৈতিক সত্তার কর্তব্য নির্ধারণের মৌলিক নিয়ম ও সূত্রগুলো লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো দেশের ক্ষেত্রে এই শব্দ সেই দেশের জাতীয় সংবিধান বোঝায়, যা রাজনৈতিক মৌলিক নিয়ম ও সরকারের পরিকাঠামো, পদ্ধতি, ক্ষমতা ও কর্তব্য প্রতিস্থাপন করে। সর্বোপরি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে।
বিগত সরকার আইনগ্রন্থ তথা সংবিধান নিয়ে দেশের প্রধান আইনগ্রন্থ তথা সংবিধানকে ধ্বংস করে গেছে।
স্মরণ রাখা দরকার যে, পতিত সরকার প্রায় সব ক্ষেত্রে দেশের প্রধান আইনগ্রন্থকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে, অবজ্ঞা করেছে। এতে বিজ্ঞজনদের এই অভিমত ছিল। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অর্থহীন মৃত প্রায় করে দেয়ায় প্রয়াস চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির পর আর কোনো সরকারের রাষ্ট্র মেরামত দুরূহ হয়ে পড়বে।
সংবিধানে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ, এই চেতনার কোনো মূল্য ছিল কি বিগত সরকারের শাসনামলে! যেখানে জনগণের মালিকানার নিয়শ্চয়তা নেই সেখানে সংবিধানের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ারই কথা।
এমন সব অনিয়মের ব্যাপারে আরো কিছু যোগ করা যেতে পারে। সংবিধানের ৪র্থ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা হটিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন সর্বোচ্চ আদালতসহ অন্যান্য আদেশ নিয়ে যেসব অলিখিত আইন-কানুন অনুসরণ করা দরকার ছিল সেগুলো শুধু অভূতপূর্ব এবং অতীতের সব বিধিবিধান এবং ঐতিহ্যকে একেবারেই অবজ্ঞা অবহেলার চরম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এসব কিছুতেই পতিত সরকারকে বিদায় জানানোর ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধাবোধ ছিল না।
ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল