১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

টানা আমদানি নিয়ন্ত্রণ মন্দার কারণ হতে পারে

-

দুই বছর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ ডলার সঙ্কটে পড়ে। ওই সময় সঙ্কট সামাল দিতে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়নি। আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের সরাসরি প্রভাব শুরু হয় মূলত ২০২২-২৩ অর্থবছরে অক্টোবর থেকে। ওই মাসে আমদানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে যা আর ইতিবাচক ধারায় ফিরতে পারেনি। তবে ওই অর্থবছরের নভেম্বরে আমদানি প্রবৃদ্ধির নেতিবাচক ধারা কিছুটা হ্রাস পায়। ডিসেম্বর থেকে আমদানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে পৌঁছায়। বিদায়ী অর্থবছরে দেশে মোট পণ্য আমদানি হয় ৭৫ দশমিক ০৬২ বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ১০১ বিলিয়ন বা ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরও ডলার সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়নি। যার প্রভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও আমদানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ধারায় রয়েছে, যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট আমদানি হয়েছে ৩২ দশমিক ৯৯৫ বিলিয়ন ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪১ দশমিক ১৯৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ছয় মাসে ৮ দশমিক ১৯৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি কমেছে। শতকরা হিসাবে ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
মূলত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতেই আমদানি প্রবৃদ্ধি ব্যাপক হারে ঋণাত্মক হয়েছে। আমদানি কমেছে খাদ্যশস্যে ৪২ শতাংশ, ভোগ্যপণ্যে ১৯ শতাংশ, মধ্যবর্তী পণ্যে ২০ শতাংশ, মূলধনী যন্ত্রপাতিতে ২৩ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্য ৫ শতাংশ। এই ৯ মাসে দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরী পোশাক সম্পর্কিত পণ্যের আমদানি কমেছে ৯.১ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ আমদানি কমেছে কাঁচা তুলার। এ ছাড়া সুতা আমদানি ১০ দশমিক ২ শতাংশ, টেক্সটাইল এবং এর সামগ্রী ৮ দশমিক ২ শতাংশ, ফাইবার ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং ডাইয়িং ও ট্যানিং সামগ্রীর আমদানি ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। কাঁচা তুলা ও সুতা আমদানি কম হওয়ার প্রধান কারণ টেক্সটাইল মিলগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাচ্ছে না। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন কমেছে।

লোহা, ইস্পাত ও অন্যান্য বেস মেটাল আমদানি কমে গেছে। দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় ধীরগতি হওয়ায় এ ধরনের পণ্যের চাহিদা কমেছে। যে কারণে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন কমেছে। ডলার সঙ্কট, ডলারের উচ্চমূল্য ও কিছু পণ্য অবৈধভাবে বাজারে আসার কারণে বড় বড় আমদানিকারকরা আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। ব্যাংকগুলো বেশির ভাগ আমদানিকারকের ঋণের সীমা বাড়াচ্ছে না। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরনো সীমিত যে ডলার পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আগের সমান পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তার কারণে মূলধনী পণ্য ও কাঁচামালের চাহিদাও কমেছে। ছোট ছোট আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়ে আমদানি কমিয়েছেন। অন্যদিকে, রফতানির চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় আমদানিও কমেছে। আমদানি কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ আন্ডার ইনভয়েসিং। কারণ ডলারের মূল্য বাড়লেও শুল্ক হারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এতে একই পণ্য আগের তুলনায় বেশি দাম পড়ছে এবং শুল্কও বেশি দিতে হচ্ছে। বাড়তি শুল্ক এড়িয়ে যেতে আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে।
পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। ফলে এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ডলারের সঙ্কট দেখা দেয়। অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কটে দেশে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। আবার সরকার এলসি খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আমদানি কমাতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, আমদানি কমে যাওয়ায় চলতি ২০২৪ অর্থবছরে দেশের শিল্পোৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৬.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছর ছিল ৮.৩৭ শতাংশ। এর আগের দুই অর্থবছরে এই সেক্টরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৯.৮৬ শতাংশ এবং ১০.২৯ শতাংশ। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের কর্মসংস্থানের ওপরও।

দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৮২ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে যা ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধি থেকে খুব সামান্যই বেশি। বর্ধিত জিডিপিতে, কৃষি ও শিল্প খাতের অবদান যথাক্রমে প্রায় ৬ শতাংশ এবং ৪১.৭ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৪ অর্থবছরের বর্ধিত জিডিপির প্রায় অর্ধেক (৪৯.২ শতাংশ) পরিষেবা খাতের অবদান। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ক্রমবর্ধমান জিডিপিতে প্রধান অবদানকারীদের মধ্যে উৎপাদন উপখাতের অবদান ২৭.২ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা ২০২৩ অর্থবছরে উৎপাদন উপ-খাতের অবদান (৩৬.০ শতাংশ) থেকে যথেষ্ট কম।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ৬.৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে উৎপাদন দ্বারা চালিত হবে বলে বিবিএস পূর্বাভাস দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, উৎপাদন খাতের পরে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য, মোটরযান এবং মোটরসাইকেল মেরামত; জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা; পরিবহন, বাসস্থান এবং খাদ্য পরিষেবা, তথ্য ও যোগাযোগ খাত অবদান রাখবে। প্রকৃতপক্ষে, প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে পুনরুদ্ধার চারটি ক্ষেত্রেই প্রত্যাশিত। তদুপরি, জিডিপিতে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের বিষয়টিও উদ্বেগের। ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের জিডিপিতে মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ১.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি বিবেচনা করা হয়েছিল যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে, কারণ সিপিআই মুদ্রাস্ফীতি সাড়া ২০২৪ সাল জুড়ে প্রায় ১০ শতাংশ ছিল। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবছরে দ্বিতীয়ার্ধে এবং ২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে যা দেশের অর্থনৈতিক মন্দা নির্দেশ করে।
২০২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২,৬৭৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে বার্ষিক ১.২১ শতাংশ বেশি। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার দ্রুত অবমূল্যায়নই মাথাপিছু এই আয় বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। প্রকৃত অর্থে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ২০২২ অর্থবছরের চেয়ে কম। তবে আমাদের আরো খেয়াল রাখা উচিত যে এই গড় হিসাবগুলো দেশের সব মানুষের আয় বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে না বরং দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য অর্থাৎ আয় বণ্টনকে আড়াল করে। উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে দেশে বৈষম্য পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা যেতে পারে কারণ নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য মোট খরচের ঝুড়িতে খাদ্য খরচ অনেক বেশি।

প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান
প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগের প্রবাহ বৃদ্ধি। অথচ গত পাঁচ বছরে (অর্থবছর ২০২০-২৪) মোট বিনিয়োগ-জিডিপি অনুপাত ০.৩৩ শতাংশ কমেছে। সরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে এই শিথিলতা। আর বেসরকারি ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে টাকার হিসাবে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। কিন্তু ডলারের হিসাবে এ খাতে কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি। উল্টো সামান্য নেতিবাচক হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নে বর্তমান ধীরগতির পরিপ্রেক্ষিতে, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট-জিডিপি অনুপাতের প্রাক্কলন ঠিক থাকবে কি না সেটাও একটি প্রশ্ন।
বিবিএস এর জিডিপি অনুমান এবং শ্রমশক্তি জরিপ (এলএফএস) এর তথ্য অনুযায়ী জিডিপির কর্মসংস্থানের স্থিতিস্থাপকতা নিম্নগামী প্রবণতা দেখায়। এটি বোঝায় যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থনীতির সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এই জরিপের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে দেশে বেকার লোকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার; গত ডিসেম্বরে যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে আবার উপযুক্ত কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া, জ্বালানি সঙ্কট, মূলধন ঘাটতিসহ বিভিন্ন কারণে তৈরী পোশাক, বস্ত্র, ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতের কারখানাগুলোর বড় অংশ পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। তার মধ্যে বস্ত্র খাতে নতুন নিয়োগ বন্ধ। শিল্পে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরী পোশাক ও বস্ত্র খাতে। অথচ সংশ্লিষ্ট খাতের মালিকরা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন নিয়োগ তো কল্পনার বাইরে। তাদের মতে, নতুন নিয়োগ তো নয়ই বরং কোথাও কোথাও কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। বিশ্ববাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নানান কারণ যেমন ডলার সঙ্কট, বকেয়া পরিশোধের চাপ ইত্যাদির কারণে আমদানি কমেছে। এতে উৎপাদনও কমেছে। বিনিয়োগ বাড়ছে না। এভাবে বিনিয়োগ আটকে থাকলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। এতে দেশের ব্যাপক কর্মীবাহিনীর মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে।
অর্থনীতিতে সংস্কার না করলে বিনিয়োগ হবে না। বিদেশীরা এ দেশ থেকে চলে যাবে। ব্যাংক খাত, রাজস্ব খাত, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাতে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। না হলে এখনকার মতো অর্থ দেশে না এসে বিদেশে চলে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। এতে সঙ্কট আরো বাড়বে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা দেশের জন্য ভালো হবে না। এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।
পরিশেষে বলতে হয়, অর্থনীতিতে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস, যার অন্যতম কারণ আমদানি নিয়ন্ত্রণ। বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য যে ঋণপত্র খোলা হয়েছে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। মূলধন ঘাটতির কারণে বিদ্যমান ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন বিনিয়োগ অধিকাংশ ব্যবসায়ীর অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। একইভাবে শিল্পের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি কমছে। জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগের হার কমছে। অর্থনীতির এই সঙ্কটময় সময়ে বিনিয়োগ দ্রুতগতিতে বাড়ানো না গেলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে; বাড়বে বেকারের সংখ্যা, কমবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। ফলে অর্থনীতি পড়ে যেতে পারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে। সুতরাং টানা আমদানির লাগাম না টেনে বরং বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়িয়ে সঙ্কট মোকাবেলার চেষ্টা করতে হবে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement