চারদিক কপটতায় মোড়ানো
- সুরঞ্জন ঘোষ
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
পৃথিবী চালাচ্ছেন যে শক্তিমান ব্যক্তিবর্গ, তাদের সুভাসিত নাম রাজনীতিবিদ। এখনকার দুনিয়ায় আগের দিনের সেই রাজা নেই। রাজরাজাদের সিংহাসন দখল করেছেন রাজনীতিবিদ নামের নতুন রাজারা; যারা জনগণের কল্যাণ ও সেবায় নির্ঘুম রাত কাটান! সাধারণ মানুষের জন্য যাদের ভালোবাসার কোনো কমতি নেই। কিন্তু এসব রাজনীতিবিদের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায়- তাদের অনেকের কুলষিত মুখ : এমন কোনো কাজ নেই, যাতে তাদের মুখমণ্ডলে তার ছাপ পড়েনি। ক্ষমতার অপব্যবহার, লুণ্ঠন, হত্যা, প্রতারণা, লাম্পট্য, কপটতায় যেন ঢাকা পড়েছে তাদের মুখ। তাদের ন্যায়, কল্যাণ, উন্নতি, অধিকার, গণতন্ত্র, দেশপ্রেম প্রভৃতি কপট সোগানে মুখর।
চারদিক কপটতায় মোড়ানো। অথচ সত্যি হলো- কপটতা আর রাজনীতি এক নয়। এখানে বুট পরে এসেছেন সামরিক স্বৈরাচার, এক সময় গণরোষে বা সুবিধামতো পোশাক বদলে হয়েছেন গণতান্ত্রিক। যারা দলীয় রাজনীতি করেন, তাদের বেশির ভাগই একই স্বভাবের; ক্ষমতা ও লুণ্ঠন ছাড়া আর কোনো লক্ষ নেই যেন। বাংলাদেশের রাজনীতিলোকের এখন এই হলো বাস্তবতা। এটি পরিণত হয়েছে দূষিত এলাকয়। পরিণামে বিপর্যস্ত হচ্ছে দেশ। এতে জনগণ পীড়িত অসহায় হয়ে উঠেছেন। তাদের অসহায়ত্বই যেন এখনকার রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলের পুঁজি।
আমরা গরিব জনগণ, মূর্খ মানুষ; আমরা রাজনীতির কী বুঝি! তবে আমাদেরও দুটি চোখ আছে, তাতে কিছু দেখতে পাই। আমাদেরও দুটি কান আছে, তাতে শুনতে পাই। দেখেশুনে মনে হয় দুনিয়াটা নানান কিসিমের বস্তুতে ভরে গেছে। যেসব উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি চলছে, তার মধ্যে এক নম্বরে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র এখন আমাদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ, এর জন্য সারা বিশ্ব অস্থির। সবাই দিন-রাত মিছিল করেন গণতন্ত্র চান; দিন নেই রাত নেই রাস্তাঘাট পানশালা স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় উপাসনালয় সবখানে গণতন্ত্রের আলাপ-সালাপ।
রাজা-বাদশাহরা ছিলেন এককালে। সমকালে তাদের স্থান দখন করেছেন রাজনীতিবিদ শ্রেণী। তাদের মধ্যে কেউ আবার মহামান্য, মহামাননীয়। তারা প্রেমময়, আমাদের অর্থাৎ জনগণের জন্য তাদের ভালোবাসা অন্তহীন। আমজনতার জন্য তাদের ঘুম নেই; জনগণের কল্যাণে এমন কাজ নেই, যা তারা করেন না। সব থেকে সেরা এই মহৎ দেশপ্রেম আর জনগণপ্রেম, যার নাম রাজনীতি; এই একটি মাত্র জিনিস রয়েছে, যা শিখতে হয় না; জনগণের নামে রাস্তায় বেরিয়ে গেলে হয়। এ ক্ষেত্রে আমজনতা মানে আমাদের কাজ নানান রঙের সোগান দেয়া- সোগান না দিলে বাঁচা কঠিন।
ক্ষমতা দখলের রাজনীতির লোক দেশে অগণন- তারা শুধু নির্বাচনের মৌসুমে আসরে নামেন, যে দল জনপ্রিয় বা শাসকের মদদপুষ্ট সে দলে জুটে যান। তোয়াজে উপঢৌকনে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। নির্বাচিত হয়ে সুদে-আসলে পুষিয়ে নেন, আর ব্যর্থ হলেও নামজাদা স্থানীয় নেতা বনে যান। তাদের আয়-উন্নতির পথ রুদ্ধ থাকে না। তারা ছাড়াও আর এক শ্রেণীর সার্বক্ষণিক রাজনীতিক রয়েছেন দেশে। তারা বোধ হয় যোগ্যতার তুলনায় অধিক উচ্চাভিলাষী বলে চাকরি করে অর্থোপার্জন অপছন্দ করেন। তারা রাজনীতিকে ব্রত, নেশা বা পেশা হিসেবে বরণ করেন। শহরে থাকেন। দল করেন। দল ভাঙেন। আবার কেউ ভাঙা-গড়ার ঝুঁকি নেন না। আজ এ দল, কাল ও দল করেন ভাও বুঝে। স্বল্পসংখ্যার হলেও আরো কিছু রাজনীতিক আছেন, যাদের কাছে ‘জানের’ চেয়ে মান বড়। তারা কেবল নেতা হতে চান বা থাকতে চান। এ জন্য প্রয়োজন হলে দল ভাঙবেন। দু-চারজন আত্মীয়-বন্ধু দিয়ে নতুন দল গড়েন। তবু মানের অভিমান ছাড়বেন না। আর সব নেতা ও হবু নেতা শহরে থাকবেন- রাজধানী শহর ঢাকায় থাকবেন। এমন কী মফস্বলের লোক একবার জনপ্রতিনিধি হলেও তারা ঢাকায় স্থায়ী আস্তানা গড়বেন; নেতার ভাব বজায় রাখার গরজে। এরা লোভী কিন্তু ধূর্ত। তাই সবাই এক জায়গায় এক শ্রেণীর কাছে ভিড় করে দাঁড়ান না, কারো প্রচার ক্ষেত্র শহরের শিক্ষালয়, কেউ কৃষক দরদি, কেউ বা ক্ষেতমজুরের সাথী, কারো সেবাক্ষেত্র মজুরের সাথী হওয়া। কেউবা গণতন্ত্রের সহায়। আর সাম্যবাদী সমাজতন্ত্রী আদর্শের কোনো দল চীনপন্থী, কোনো দল রুশপন্থী।
পুঁজিবাদীরা সাধারণত সামাজিক ন্যায়বিচার ও সামজবাদী। প্রজা পালন ও পোষণ রাজধর্ম বলে স্বীকৃত থাকলেও সে দায়িত্ব ও কর্তব্য কিঞ্চিৎ মনে রেখেছিলেন রাজারা। সাধারণভাবে শাসনে শোষণে পীড়নে ছিল তাদের আগ্রহ। কেননা, ক্ষমতা ও দর্প-দাপট প্রকাশের তাই ছিল পন্থা। এ মুহূর্তের রাজনৈতিক দলগুলোর নিষ্ক্রিয় আস্ফালন, ঘন ঘন সংহতি কামনা, সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন স্বীকার করেও কথায় কথায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করে নিষ্ক্রিয় থাকার এবং সঙ্ঘবদ্ধ হয়েও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার সার্বক্ষণিক প্রয়াস, চেলাহীন নেতাদের মোর্চা গঠন, আত্ম-প্রত্যয়ের অভাবে শ্রোতা-দর্শকের অনুপস্থিতির আশঙ্কায় কেবল বাজারে বক্তৃতা ফাঁদার আগ্রহ, যথাসময়ে সরকারি কর্মে পরোক্ষে সহযোগিতা করা প্রভৃতির মূল কারণ বোঝা যায় সহজে। তারা ঘরে বসে প্রতিকার প্রার্থনা করেন, গা-পা বাঁচিয়ে প্রভৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন, কিন্তু ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন না। তারা সবাই সবাইকে এগিয়ে দিয়ে, লেলিয়ে দিয়ে নিরাপদে পিছু হটতে চান, সবাই আত্মরক্ষায় পটু, সবাই চালাক, তাই রাস্তা থাকে খালি, মাঠ থাকে শূন্য, আন্দোলন থাকে আস্ফালনে সীমিত।
শহরে আমলা ঠিকাদার সওদাগর মজুদদার কারখানাদার-চোরাচালানদার, পেশাদার আর ছাত্র যুবক শ্রমিকদের তোয়াজে তুষ্ট রেখে রাজত্ব শাসন করা শাসকের লক্ষ্য। সে তোয়াজ তুষ্টি আবার বিদেশী প্রভুর স্বার্থে ও নির্দেশে চালিত হওয়া চাই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শাসনরীতি ছিল একটি বিনা বাধায় ও বিনা নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কিছু লোককে ও লুব্ধ মানুষকে যেমন খুশি তেমন চলতে দেয়া। এর অপর নাম উৎকোচে বশীভূত করার নীতি। এর নাম আসলে দুর্নীতির সুযোগ দেয়া, খুনিকে খুন করতে দেয়া, বাটপাড়কে রাহাজানি করতে দেয়া, জুয়াড়িকে জুয়া খেলার সুযোগ দেয়া, আমলাকে ঘুষ নেয়ার প্রশ্রয় দেয়া, রাজনীতিবিদকে আখের গোছানোর সুযোগ দেয়া। তাই দুুষ্টমাত্র এমন শাননে তুষ্ট। এ নীতির মূল কথা দুর্জনরে রক্ষা করো দুর্বলরে হানো। কিন্তু তাদের এ আপাত সুখ অর্থাৎ ৪০-৫০ হাজার মানুষের পৌষমাস; বাদবাকি সবার সর্বনাশ করেছে। মূল্যস্ফীতির বিপুলতায়, দুুর্নীতি-দুঃশাসনের ব্যাপকতায় ও দুর্বল আইনশৃৃঙ্খলায় এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তার অভাবে। এ সব কিছুর প্রতিকার, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে নির্ভর করে সাহসী সংগ্রামী গণমানবের ওপর।
প্রকৃত-বাস্তবতায় নেতৃত্বের থাকতে হয় দুই গুণ- মনীষা ও চরিত্র তথা অনড় আদর্শ বা নীতিনিষ্ঠা। এ দুটোর একটি না থাকলে নেতৃত্ব স্বল্পকাল স্থায়ী হয়। আর দলের সদস্যদের বা নেতার সহচরদের থাকতে হয় নীতিনিষ্ঠা বা আদর্শ চেতনা। তা হলে শুধু বহুজনহিতে বহুজনসুখে বহুজনের পক্ষে কথা বলার ও কাজ করার যোগ্যতা স্বীকৃত হয়, যে রাজনীতিক বা যে দল জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে নাগরিক সেবায় ও কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে ক্রমে জনসমর্থনে ক্ষমতায় যেতে চায়; তার স্বার্থবুদ্ধি ও শ্রেয়চেতনা সমন্বিত হওয়া চাই।
দেশে সমাজবাদী বা সাম্যবাদী যেসব দল আছে, তাদের বল নেই। কাজেই রাজনীতির ক্ষেত্রে তারা আপাতত অনুল্লেখযোগ্য। দেশের আর যারা ৮০-৯০টি রাজনীতিক দলে বিচ্ছিন্ন এ বিভক্ত হয়ে রয়েছেন, তাদের অনেকের চেতনা অকৃত্রিম হলেও গণমানবের কল্যাণচেতনা বা নিয়মনীতি নিষ্ঠা কিংবা আদর্শবোধ সুষ্ঠু নয়। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, চরিত্র না থাকলে ব্যক্তি মানুষের আর কিছু থাকে না। চরিত্র মানে দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যচেতনা আর বিবেকানুগত্য।
বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় অভাব চরিত্রের। চরিত্র থাকলে অন্য সম্পদ সংগ্রহ কঠিন হয় না। চরিত্র নেই বলে আমাদের ন্যায়-অন্যায় চেতনার অভাব প্রকট। খুবই দুর্বল আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা। তাই নিজ নিজ স্বার্থসিদ্ধির পন্থাই ন্যায়, প্রয়োজন পূরণই আইন। ফলে এখন এখানে চোর, ডাকাত, খুনি, প্রতারক মাত্র শাস্তি এড়ায়, যদি সে রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, কারণ আইনের বা ন্যায়ের গুরুত্ব আমাদের বড়ই দুর্বল। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে দোষী-নির্দোষ সাব্যস্ত হয় দলীয় মাপে। খুনি জালিয়াত চোর চোরাকারবারি শুধু ছাড়া পায় না, শাস্তি মওকুফ পায় না, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও পায় । এখানে জুলুম করার শক্তি ক্ষমতা। এমনি অবস্থায় জীবন-জীবিকা জান-মালের কোনো নিরাপত্তা থাকে না।
আজকের বাংলাদেশের ঢাকা শহরের রাজনীতি হচ্ছে দু’পয়সা সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার পাওয়া, জুলুম করার ক্ষমতা পাওয়া, শাসন শোষণ পীড়নের বৈধতা কব্জা করা, হুকুম-হুমকি হামলা চালানোর ক্ষমতা পাওয়া। এমন প্রেক্ষাপটে এ দেশে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কিংবা উন্নয়ন পরিকল্পনায় গণমানবের কল্যাণে সেøাগানে থাকলেও বাস্তব কর্মসূচিতে ভোগ-উপভোগ ব্যবস্থায় গণমানব থাকে অবহেলিত ও উপেক্ষিত।
ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে কোনো জনগোষ্ঠী পরিচালিত হলে নিয়মনীতি থেকে বঞ্চিত সুনাগরিকও মানবিক গুণ অর্জন করতে পারে। অধিকারের সুনির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে সমস্বার্থে সহিঞ্চুতায় সহযোগিতায় সহাবস্থান করে সুরুচির ও সংস্কৃতির লাবণ্যঋদ্ধ সভ্য জাতিরূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
কাজেই যেকোনো যৌথকর্মে সিদ্ধি ও সাফল্য পেতে নেতা চাই। যে নেতার থাকবে রুচি বুদ্ধি জ্ঞান প্রজ্ঞা সাহস আত্মপ্রত্যয় আদর্শনিষ্ঠা, সুস্পষ্ট ও সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও কর্মসূচি। এক কথায় নেতার থাকবে দৃঢ় চরিত্র ও মনীষা। তার ব্যক্তিত্ব ও কর্মে উদ্বুদ্ধ ও প্রণোদিত করবে জনমানসকে। কেননা, তার কর্ম ও আচরণ দেখে লোকজন বুঝবে, এ ব্যক্তি ক্ষতি স্বাকীরের শক্তি রাখেন, স্বস্বার্থে কাউকে প্রতারিত করবেন না, এ ব্যক্তিকে নিশ্চিতে বিশ^াস করা চলে। মানুষ বুঝবে, এমনি মানুষের উপর আস্থা ও ভরসা রাখা চলে। একে নিশ্চিতে অনুসরণ অনুকরণ ও সমর্থন করা চলে। কেননা এ মানুষ নিজেরও ক্ষতি না করে অন্যের ক্ষতির কারণ হতে পারেন না, এ মানুষ গণহিতবাদী ও সিদ্ধিকামী। এ মানুষ এগিয়ে দিয়ে সঙ্কটকালে সটকে পড়েন না, সর্বক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় পয়লা কদম তার, তিনি সঙ্কটে অটল, সাহসে দৃৃঢ়।
আমাদের কিশোর তরুণ অনেকে দেশের-দশের কাজ তথা জনগণের ও রাষ্ট্রের সেবা করতে চায়, কিন্তু আস্থা রাখার মতো নেতা খুঁজে পায় না বলে নৈরাশ্যে ভোগে। একসময় ভাবে বুদ্ধিমান-শক্তিমানরা বেপরোয়া জোরজুলুম ও অবাধ লুটপাট চালাচ্ছে যখন, তখন আমি একা সৎ ও আদর্শনিষ্ঠ থেকে কী লাভ। সেও তখন ছুুটে যায় খুন জখম রাহাজানির মতো কাজে। নাম লেখায় ভাড়াটে গুণ্ডার তালিকায়। হয়ে উঠে মজুদদার, ঠিকাদার চোরাচালানি ভেজালকারী।
আমাদের সমাজের সব জায়গায় পচন ধরেছে। দেশ-কাল মানুষের হিতকামী বিবেকবান কিছু অক্ষম মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় অস্থির বটে, কিন্তু অন্যরা হয়তো নৈরাশ্যবশে নিষ্ক্রিয় ও উদাসীন। গাইয়ে, বাজিয়ে, আঁকিয়ে, লিখিয়েরাও যেন শ্রান্ত ও দিশেহারা। তবু কিছু মানুষ পথের দিশারি। আলোর মশাল জ্বেলে পথ দেখানোর চেষ্টায় রত। দু-একজন প্রাবন্ধিক ও কবি-গল্পকারও রয়েছেন পচন প্রতিরোধের চেষ্টায়।
লেখক : নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রনেতা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা