‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
‘উন্নয়ন ধারণা’ নিয়ে দেশের হর্তাকর্তারা আজো সেই পুরনো দিনের মতোই গতানুগতিকতার ভেতরই রয়ে গেছেন। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে, উন্নয়ন বলতে এখনো কিছু অবকাঠামো নির্মাণ, কিছু রাস্তাঘাট তৈরি, কিছু নতুন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের মধ্যে তাদের দৃষ্টি সীমাবদ্ধ। তবে একেবারে হালে যোগ হয়েছে কিছু মেগা প্রকল্প। অস্বীকার করা যাবে না, এসব উন্নয়নের অনুষঙ্গ। বিশ্ব এখন উন্নয়নের যে ধারণাকে লালন করছে, সেখানে আরো বেশি কিছু সে ধারণার সাথে যুক্ত রয়েছে। কিন্তু আমরা আজো ওই জায়গায় পৌঁছতে পারিনি বা তা আমাদের বোধ বিবেচনায় ধরা পড়েনি। অথবা স্বেচ্ছায় তাকে উন্নয়নের পরিধি থেকে দূরে রেখেই পথ চলছি। সে জন্য আমাদের উন্নয়নের ধারণা আজো পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। এমন পিছিয়ে থেকেও আমরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি এবং বলে বেড়াই, উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে বা দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এসে উপনীত হয়েছে। এসব বক্তব্যের ব্যাখ্যা অনেকেই এভাবে করেন, যা কিছু বলে কয়ে ও কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রাখা যায় আর কী। প্রকৃতপক্ষে সবাইকে একটা ঘোরের মধ্যে রাখার প্রয়াস হচ্ছে এমন সব বাগাড়ম্বরে।
প্রতি বছর দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। আর নতুন বছরে এও দেখা যায়, গত বছরের বহু প্রকল্পই পুনরায় পরের বছরের বার্ষিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কারণ বিগত বছরে সেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। এভাবে বহু বছরেও সেই কর্মসূচির পুরোটা বাস্তবায়িত হয় না, ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেজন্য যথারীতি প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ ক্রমে বেড়েই চলে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন গৌরী সেন সেই বাড়তি টাকা জোগাবে! আসলে সেই ‘গৌরী সেন’ হচ্ছে এ দেশেরই দুস্থ নিরন্ন জনগণ। এখন আমরা এমন এক উটের পিঠে চড়েছি, যে উট দিকভ্রান্ত। আর আমাদের বিভিন্ন স্তরের নির্বাহীর অমনোযোগিতা, অদূরদর্শিতা ও তাদের যথাযথ তদারকির অভাব এবং নানা কমিশন, অপচয়, অবচয়ই এমন বাড়তি ব্যয়ের কারণ। এ জন্য সব সেবা প্রতিষ্ঠানই তাদের যাবতীয় অদক্ষতাজনিত কারণে সব কিছু দাম বাড়িয়ে মানুষের ঘাড়ে এমন বোঝা চাপিয়ে চলেছে যে ভার বইতে গিয়ে মানুষ নুয়ে পড়েছে। সব দেশেই এখন এই শৈলীই অগ্রাধিকার পায়, মানুষের দুর্দশা আর না বাড়িয়ে কোথায় কোথায় অপচয় তা সাশ্রয় করে ঘাটতি পূরণ করার ব্যবস্থা নেয়া। এখন, এসব নিয়ে কাসুন্দির ঘাঁটাঘাঁটি করে কালক্ষেপণের কোনো উদ্দেশ্য এই মুহূর্তে আমাদের নেই। এই নিবন্ধের উপজীব্য বিষয়ও তা নয়।
এই নিবন্ধের সূচনায় বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়ন ধারণা অর্থাৎ কর্মসূচিতে সাবেকি ধারণাকে বদলে দিয়ে সেখানে সামগ্রিকতার বিষয়টি স্থান করে দেয়া যায়নি। যেকোনো তরী শুধু ঘাটে বেঁধে রেখে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড় বাইলে তরী যেমন এগিয়ে নেয়া যায় না, তেমনি রাষ্ট্রতরীকে শত বাধাবিপত্তির সাথে যুক্ত রেখে তাকে কোনোভাবে সম্মুখে নেয়া যাবে না। এসব ব্যত্যয় বিপত্তিকে প্রথমেই অপসারিত করতে হবে। সে জন্য সঠিক কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং কাজ সম্পন্ন করতে, দক্ষ যোগ্যদেরই দায়িত্ব দেয়ার জন্য বেছে নেয়াই জরুরি।
প্রত্যেক রাষ্ট্রের উন্নয়ন ধারণার প্রথম ধাপটি হচ্ছে, নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের উদ্যোগী হওয়া। এর কোনো দ্বিতীয় বিকল্প নেই, যা আমাদের চিহ্নিত করা আছে। অথচ এই প্রথমপর্বে স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও সেই ধাপটি বাংলাদেশ ভালোভাবে অতিক্রম করতে পারেনি। সেই সাথে উন্নয়নের ধারণাকে আরো সমৃদ্ধ করতে অনেক কিছুকেই যুক্ত করতেও ব্যর্থ হয়েছে। পক্ষান্তরে অন্য সব ছোট বড় দেশেই আরো যেসব বিষয়-অর্থাৎ, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের নীতির অনুসরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি আত্মস্থ করা, বৈষম্যের বেড়াজাল ভেদ করা, তা ছাড়া আজকে পরিবেশের যে ভয়াবহ বিপর্যয় সেটা রোধের ব্যবস্থা করে মানুষের জীবন ক্ষয়ে যাওয়ার পথকে রুদ্ধ করার কোনো আয়োজন লক্ষণীয় নয়। অথচ এসব বিষয় জাতীয় লক্ষ্য হিসাবে দেশের সংবিধানে সন্নিবেশিত রয়েছে। কিন্তু এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো মনোযোগ রয়েছে বলে তেমন ধারণা করার কোনো ভিত্তি নেই। তাই কবির ভাষায় সে জন্য স্মরণ করতে হয় (সংবিধানকে) ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’। আরেক কবির সেখানে (সংবিধানে) রয়েছে কত ‘ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন’। আজ সময়ের বিবর্তনে এখন সংবিধানের আরো কিছু পরিবর্তন পরিমার্জন পরিবর্ধন প্রয়োজন বলে যা অনুভূত হচ্ছে, সেটা এখন ঘরের দুয়ারে এসে টোকা দিচ্ছে। সেই ধ্বনিটি কান-মন খোলা রেখে শুনতে হবে ও বুঝতে হবে। সেটা বোঝা শোনার মধ্যে আগামী দিনে রাষ্ট্রতরী স্বচ্ছন্দে হয়তো এগিয়ে যাওয়ার পথ পাবে।
সংবিধানের যে লক্ষ্য, নীতি, আদর্শসহ অন্যসব মান্য করা পুরোপুরি বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে- যেমন সংবিধানের ২১(১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত রয়েছে, ‘সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিক দায়িত্ব এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। প্রশ্ন হলো, এখন এসব দায়িত্ব কে কিভাবে পালন করছে! যেমন দেশের হর্তাকর্তারা কথায় কথায় বলেন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্রের মূল চেতনা বা তার প্রাণই হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। হ্যাঁ, দেশে নির্বাচন হচ্ছে বটে, কিন্তু এখন সেসব নির্বাচনের আগে যেসব বিশেষণ যুক্ত হয়েছে যেমন- ‘নৈশকালীন নির্বাচন’, ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’ ‘ডিজিটাল নির্বাচন’; সংবিধানে এসব কোনো বিশেষণ কিন্তু নির্বাচনের সাথে যুক্ত নেই। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে আছে ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র... প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ এখন কী তার হাল! বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রশ্ন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। আমাদের সংবিধানে এ সম্পর্কে একটি পৃথক অধ্যায় সংযোজিত রয়েছে বটে। অথচ বাংলাদেশে মানবাধিকারের বিষয়টি সবচেয়ে অবহেলিত ও বিতর্কিত অবস্থায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক বলয়েও এ দেশের ক্রমাবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কোনো শেষ নেই। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে ঠিকই; কিন্তু সেই সংসদীয় ব্যবস্থার আওতায় সে সংসদে এখন যে শৈলীর চর্চা হচ্ছে, সেটা কি সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে চলতে পারে? তা ছাড়া সেই সংসদের যে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনের সাথে যেসব বিশেষণ যুক্ত হয়েছে (যা আগে উল্লেখ করা হয়েছে), সেই ধরনের নির্বাচন কি গণতন্ত্রের আলোকে কোনোভাবেই সিদ্ধ? তেমন নির্বাচনের ফল হচ্ছে, সেখানে কেবল স্বপক্ষ থাকবে বিপক্ষ নয়। বিপক্ষ ছাড়া কি সংসদ চলতে পারে! তাই এমন সংসদে কেবলই শোনা যায়, ‘আহা বেশ বেশ বেশ’। অন্য দেশের মতো আমাদের দেশেও সংসদ কিভাবে চলবে তার একটা কার্যপ্রণালী বিধি সংবিধানের আলোকে তৈরি করা আছে। কিন্তু সেই বিধিকে ধারণ করে সংসদ এখন আর চলে না। সেই বিধি সংসদ কক্ষের বাইরেই অবস্থান করছে। অথচ সেই কার্যপ্রণালী বিধিতে পক্ষ শক্তিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার যাবতীয় ব্যবস্থার বর্ণনা আছে। সে অনুসারে সংসদ যদি চলতে পারত তবে জবাবদিহিতাকে আর নির্বাসনে যেতে হতো না। এখন ফ্রিস্টাইলেই সংসদ চলে। অথচ যেসব দেশে সত্যিকার অর্থে সংসদীয় গণতন্ত্র বজায় রয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রের সব কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হচ্ছে সংসদ। আমাদের এখানে সেই সংসদ ঠিক সেইভাবে সংসদ চলছে না বলেই রাষ্ট্র এই মূহূর্তে এক গভীর খাদের সন্নিকটে এসে দাঁড়িয়েছে। সে জন্য এই সংসদের প্রকৃত চরিত্র খোঁজাটা ‘অন্ধকার কক্ষে কালো বিড়াল খোঁজার মতোই দুষ্কর।’
আমরা বলেছি, রাষ্ট্রের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপটি আজো অতিক্রম করা সম্ভব হয়নি। যদি তাই হতো তবে উন্নয়নের বড় একটি প্রশ্নের নিষ্পত্তি হয়ে যেত।
দেশের সংবিধানে আছে (১৫,ক) ‘রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হইবে... নিম্ন লিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা- অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা।’ এসব ব্যবস্থা কি সবার জন্য করা গেছে? এই জনপদের মানুষ কি আজো অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে না? প্রতিটি ছোট বড় শহরে শত শত নাগরিক কি ফুটপাথে ঘুমিয়ে দিন যাপন করছে না? তাহলে সমন্বিত উন্নয়ন কোথায়, এই ভরা শীতে বস্ত্রের অভাবে মানুষ এখন কতটা কাতর? সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে রয়েছে, ‘নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনমানের বৈষম্য দূর করিবার.... জন্য রাষ্ট্র কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ কিন্তু এখন নানান তথ্য-উপাত্ত বলে, মানুষে মানুষে বৈষম্য ক্রমাগতই বাড়ছে। উন্নয়ন অর্থ কি বিশেষ কোনো শ্রেণীর ফুলেফেঁপে ওঠা? দেশে সেটাই এখন ঘটছে। সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদে রয়েছে, ‘সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন।’ অথচ নানা দিকে এই আলোচনা চলছে মধ্যবিত্ত এখন শেষ হয়ে যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত এখন হতদরিদ্র। উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে এই দুই শ্রেণীর মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
৫১ বছর আগে বর্তমান সরকার-পূর্বসূরিরা দেশের উন্নতি অগ্রগতির কথা ভাবতেন। তার স্বাক্ষর কিন্তু আজকের সংবিধানেই রয়েছে। সেই মহান আইনগ্রন্থ যা দেশের শুধু সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থই নয়; সেটা প্রকৃতপক্ষে দেশকে বিনির্মাণের এক অতুলনীয় দিকনির্দেশিকা। আমরা এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে সংবিধানের ধারণালোকে যা কিছু উল্লেখ করেছি, তা অতি যৎসামান্য। বিজ্ঞজনরা যখন সংবিধানকে সামনে রেখে উন্নয়নের আরো যত অন্ধিসন্ধি খুঁজবেন, তখন তাদের সামনে উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ সে দিকে দৃষ্টি দেয়ার ক্ষেত্রে আজকের উত্তরসূরিরা তাদের পূর্বসূরিদের অবদানকে তেমনভাবে স্বীকার করছেন না। বাংলা ভাষার অভিধানে ‘কুপিতা’ বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু তার ‘অপজিটে’ যে শব্দটি রয়েছে, সেটা নাইবা উচ্চারণ করলাম।
যাক আজকে দুনিয়ায় একেবারে হালে জলবায়ু তথা পরিবেশের পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। গত পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক বলয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার পথ পদ্ধতি খোঁজার জন্য। এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। বিশ্বের পরিবেশজনিত কারণে যে কয়টি দেশ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, সে তালিকার একেবারে উপরের দিকেই রয়েছে বাংলাদেশ। অথচ দেশের বর্তমান প্রশাসন রাজনীতি, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, প্রভাব বিস্তার নিয়ে যতটা পেরেশানিতে রয়েছেন; কিন্তু তার কিয়দংশও উদ্বিগ্ন নয় আসন্ন আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত বিপদ নিয়ে। অথচ ৫১ বছর আগে যখন সংবিধান রচিত হয়; সংবিধানে এই ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে- ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন, বন্য প্রাণীর সংরক্ষণে নিরাপত্তা বিধান করিবেন (১৮ক)।’ কিন্তু কোথায় এসবের বাস্তবায়ন? এখন সব জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। বন সংরক্ষণ, উন্নয়নে বালাই নেই, জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা করা তাগিদ কেউ অনুভব করছে না। অর্ধশতাব্দী আগে যদি সংবিধানের সব দিকনির্দেশনারগুলোর দিকে আমাদের নীতিনির্ধারকরা অর্থাৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব নজর দিতেন তবে দেশের বিধিলিপি ভিন্নভাবে রচিত হতো। তবে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ হওয়া উচিত, কাদের জন্য কতটুকু দায় নিতে হবে। গত ৫১ বছরে কাদের হাতে কতটা সময় রাষ্ট্রতরীর ‘হাল’ ধরা ছিল। তাদের সবাইকে এই দায় বহন করতে হবে। হিসাব করলে দেখা যাবে, প্রায় ২৫ বছর বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কয়েক দফায় ক্ষমতার চর্চা করেছে। তারা বর্তমানে প্রায় টানা ১৫ বছর ক্ষমতাসীন। এরশাদ সরকার প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, বিএনপি কয়েক দফায় প্রায় ১৩ বছরের মতো ক্ষমতায় ছিল। এখন এই তিন শক্তিকেই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তবে যারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন তাদের অবশ্যই দায়ভার বেশি বহন করতে হবে।
ndigantababar@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা