লাদাখ রণাঙ্গনে চীন-পাকিস্তান-নেপাল জোট
- মো: বজলুর রশীদ
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
চীনের সাথে ‘অলটাইম’ বন্ধুত্ব এবং ভারতের সাথে বিরোধের কারণে লাদাখ ইস্যুতে পাকিস্তান কাশ্মিরের বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন। এখানে ১৫ জুন রাতে ও ১৬ তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনের হাতে ২০ জওয়ানকে হারায় এবং আহত হয় শতাধিক। গত ৫০ বছরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এবার চীন ও পাকিস্তান ছাড়াও নেপাল ও ভুটান ভারতের বিরুদ্ধে সীমানা ঠেলাঠেলির অভিযোগ এনেছে। পাকিস্তান সীমান্তবিরোধে চীনকে সমর্থন দিয়েছে এই বিশ্বাসে যে, কাশ্মির ও নদী বিরোধে দেশটি ভারতের বিরুদ্ধে চীনের সমর্থন পাবে। মহারাজা হরি সিং জনগণের কোনো সমর্থন ছাড়াই হঠাৎ করে ১৯৪৭ সালে কাশ্মিরকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করতে পত্র দেন। লাদাখ জম্মু ও কাশ্মিরের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের পার্লামেন্ট এক আইনের বলে লাদাখকে ৩১ অক্টোবর ২০১৯ সালে ইউনিয়ন টেরিটরি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। লাদাখ কাশ্মির অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকা। ভারতের সেনাবাহিনী সেটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। লাদাখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত সুন্দর যে, চোখ ফেরানো যায় না। আকাশ স্ফটিকের মতো পরিষ্কার, উঁচু পর্বতমালা, বৌদ্ধদের মঠ ছাড়া ও নানা উৎসবে মুখর থাকে লাদাখ।
ভারতের উপরিউক্ত পদক্ষেপে পাকিস্তান জোর প্রতিবাদ জানালে ভারতীয় সেনা ও রাজনীতিকরা আওয়াজ তোলেন যে, পাকিস্তানের ‘আজাদ কাশ্মির’ও দখল করতে সেনা অভিযান চালানো হবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত গিলগিট-বাল্টিস্তানও দখল করে নেয়া হবে। এমন করে ভারত মূলত চীনকে প্রতিরোধ করতে চায়। চীন দক্ষিণ এশিয়ায় পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়ে ভারতের কর্তৃত্ব যাতে এ অঞ্চলে খর্ব না করে সেটি ভারতের বড় চিন্তা। চীন এই পথে বহুদূর অগ্রসর হয়েছে। লাদাখে চীন ঢুকে পড়ার আগেই ভারত গালওয়ান উপত্যকায় রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে। এর ফলে নেপাল ও চীনের সাথে সীমান্তবিরোধ জটিলতর হয়েছে। কাশ্মিরের কিছু অংশ (আকসাইকিন) চীনের দখলে, ফলে কাশ্মির বিরোধে চীন সহজেই জড়িয়ে পড়ে।
ভারত কাশ্মিরের পুরো অংশ চায় এবং কাশ্মির সমস্যা নিরসনে কোনো তৃতীয়পক্ষের ওকালতি পছন্দ করছে না। জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবেরও ভারত তোয়াক্কা করছে না। ট্রাম্প দুইবার কাশ্মির বিরোধ মিটমাট করে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানও বিষয়টি সুরাহা করতে চেয়েছিলেন। ভারত তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি কাশ্মিরে লকডাউন ও গণনির্যাতনের সমালোচনা করলে ভারতের মোদি সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে মালয়েশিয়া থেকে পামতেল আমদানি বন্ধ করে দেয়।
চীনের বেল্ট ও রোড ইনিশিয়েটিভের ফ্লাগশিপ প্রজেক্ট ‘সিপিইসির’ ঘোর বিরোধী ভারত। এর বড় কারণ হলো, পাকিস্তানের সিপিইসি গিলগিট-বাল্টিস্তানের ওপর দিয়ে গোয়াদরে পড়েছে। এই প্রকল্প ব্যাহত হয় এমন কিছু ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত চেষ্টা করে আসছে। অধিকৃত কাশ্মিরে নানা অবকাঠামো তৈরি করে দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটানোরও চেষ্টা করছে ভারত। লাদাখের ঘটনায় ভারত সেনা হারানোর কারণে এখন দেশের ভেতরেই মোদি সমালোচনা ও চাপে রয়েছেন। সচরাচর মোদিসহ বিজেপি নেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নরম কথা বলেন না। হিন্দুত্ববাদী নেতারা কাশ্মিরে সব দুর্যোগের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে থাকেন। শুধু মোদি নয়, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধিও বলতেন, ‘পাকিস্তানের কোন কোন কমান্ডো কাশ্মিরে যুদ্ধ করছে তাদের নাম-পরিচয় আমাদের কাছে আছে।’ দ্বিতীয় মেয়াদে মোদির লোকসভা নির্বাচনের সময় পাকিস্তানবিরোধী গরম গরম বক্তব্য নির্বাচনী জলসা ও র্যালিতে প্রাধান্য লাভ করে। পাকিস্তান বিরোধিতা, ভারতে মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল, গো পূজা, গোমূত্র পান, রাম-মন্দির ইস্যু, ‘নয়া ভারত’ কর্মসূচি, ঘর ওয়াপসি আন্দোলন, রুটি-কাপড়া-মকান প্রকল্প, কৃষি প্রকল্প, হিন্দু ভারত প্রকল্প, আত্মনির্ভর ভারত প্রভৃতি হিন্দুদের মনে দারুণ উচ্ছ্বাস ও হিল্লোলের সৃষ্টি করেছে। মোদি উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী মনোভাবে জোয়ারের সৃষ্টি করতে পেরেছেন। এমন একটি উত্তপ্ত সময়ে চীনাদের হাতে লাদাখে চরম মার খাওয়ায় জাতীয়তাবাদী মনোভাবে পুষ্ট হিন্দুরাই মোদির সমালোচনা করতে থাকে। এরই মধ্যে কোভিড-১৯-এর আক্রমণে সে দেশের অর্থনীতি গত ৪০ বছরে সবচেয়ে নিচে নেমে আসে। অথচ এই অবস্থায় চীন ও পাকিস্তানকে মোকাবেলা করার জন্য ভারতকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনতে ও অস্ত্র উৎপাদন করতে হচ্ছে। ইকোনমিক টাইমস জানায়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই সুইগু এবং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মধ্যে ৪ সেপ্টেম্বর, যে বৈঠক হয় সেখানে উত্তর প্রদেশের আমেথিতে রাশিয়ার একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির ফ্যাক্টরিতে জরুরি উৎপাদন শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের অনুরোধে রাশিয়া পাকিস্তানকে ‘কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না’ বলে জানিয়েছে। রাশিয়া-চীন গোপন ও অপ্রকাশিত চুক্তির কারণে ভারতকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার আবেদনও রাশিয়া রাখবে বলে মনে হয় না।
এখন বলা হচ্ছে, লাদাখের ঘটনা হিন্দু জাতীয়তাবাদী মনোভাবের ফসল। ১৯৬২ সালে চীনাদের হাতে পরাজয়ের গ্লানি ভারতীয়রা এখনো ভোলেনি। লাদাখের ঘটনা আলোচনায় নিষ্পন্ন না হয়ে দিন দিন তুষের আগুনের মতো জ্বল জ্বল করছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বলে দেয়,
এখানেই একটি রণাঙ্গন তৈরি হয়ে গেছে। চীন ও ভারত এ সুযোগে ঢিল পাটকেল মারছে। উভয় পক্ষ অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, মাউনটেইন ডিভিশন ও কমান্ডোদের জড়ো করেছে লাদাখে। এর মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভারত-চীন নতুন করে ২৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংঘর্ষ হয়। তাতে ভারতের একজন তিব্বতি এসএফএফ সেনা নিহত এবং চীনের ৩০ জন সেনা আহত হয় বলে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়। ভুটানের দোকলামের ঘটনাও ভারতের ভোলার কথা নয়। ভারত দুশ্চিন্তায় পড়ে যখন ২০১৭ সালে চীনারা একটি রাস্তা দোকলাম পর্যন্ত বাড়াতে চায়। ওখানে তিব্বত, ভুটান ও ভারতের ভূখণ্ড মিশেছে। প্রয়োজনে চীনারা ভারতের কাছাকাছি ‘চিকেন নেকে’ সেনা নিয়ে আসতে পারবে, সেজন্য ভারত চায় না দোকলামে চীনা আধিপত্য কায়েম হোক।
নয়াদিল্লিতে কর্মরত প্রখ্যাত পাকিস্তানি ফ্রি ল্যান্সার সাংবাদিক ইরফান হোসেইন কাশ্মির ও চীন-ভারত ১৯৬২ সালের যুদ্ধ নিয়ে একটি মজার তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। যুদ্ধের চরম সময়ে ভারত কাশ্মির থেকে মাউন্টেন রেজিমেন্টের প্রায় সব সেনা প্রত্যাহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেয়। ইসলামাবাদে চীনা রাষ্ট্রদূত প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের সাথে সাক্ষাৎ করে জানতে চান, পাকিস্তান কেন এই সুযোগ গ্রহণ করে কাশ্মির দখল করল না? আইয়ুব খান এই তথ্যটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠিয়ে দিয়ে ওয়াশিংটন ও লন্ডন থেকে জরুরি মতামত জানতে চান। পরদিনই মতামত পাওয়া যায়, উভয়ে আইয়ুব খানকে অনুরোধ জানায় সেটি না করার জন্য তারা অঙ্গীকার করে যে, লড়াই শেষ হলে তারা জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে চাপ দেবেন জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব মতে কাশ্মিরে ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য। আইয়ুব খান ও তার সহকর্মীরা মনে করলেন, একটি যুদ্ধে জড়ানোর চেয়ে জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ সমাধান উত্তম। কিন্তু তা আর হয়নি। এখন প্রতিশ্রুতির পর ৬০ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। কাশ্মির নিয়ে জাতিসঙ্ঘের কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না সেটি গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরমাণু যুগে ছোটখাটো বোমা হামলাও বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। দুঃখজনক সত্যি হলো, কাশ্মিরের সাথে যে তিনটি দেশ সবচেয়ে বেশি জড়িত সে তিনটি দেশই পরমাণু বোমার অধিকারী। তাদের যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত বড় বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। তখন উপমহাদেশে দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নের যে প্রচেষ্টা চলছে সেগুলো আরো তিমিরে চলে যাবে। নস্যাৎ হয়ে যাবে মানুষের সুখস্বপ্ন। ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধে পাকিস্তান কোনো পক্ষ না হয়ে বিরোধ মীমাংসায় অংশ নিলে উপমহাদেশের পরিস্থিতি ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করত বলে ধারণা। কিন্তু ভারতের এনআরসি, এএসি প্রকল্প, কাশ্মির ও আসামে মুসলিম নির্যাতন ও মুসলিমবিরোধী এজেন্ডার কারণে পাকিস্তান কাছে ঘেঁষছে না। এর মধ্যে পাকিস্তান নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে বিরোধে যেন ‘ঘি ঢেলে দিয়েছে’। পাকিস্তান ও চীন পানিকে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। আসমা খান লোন তার সাম্প্রতিক ‘দ্য গ্রেট গিলগিট গেম’ বইতে লাদাখে ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণ করে ‘কৌশলগত বন্যা’ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছেন।
নেপাল চলমান সীমান্ত সঙ্ঘাত ও উত্তেজনার মধ্যে লিপুলেখ সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। ভারতের বিরুদ্ধে নেপালের সেনা মোতায়েন কোনো সামান্য বিষয় নয়। নেপাল গত জুন মাসে পার্লামেন্টে নয়া মানচিত্র বিল পাস করে যেখানে ভারতের উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরা এবং কালাপানি অঞ্চলকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে। ভারতের দখলে থাকা প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে নেপাল তার নয়া মানচিত্রে ‘নিজেদের’ বলে দাবি করেছে। চীনও লিপুলেখ সীমান্তের কাছে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। একটি স্থায়ী সামরিক ছাউনি নির্মাণ এবং কৈলাশে মানস সরোবরের কাছে একটি লঞ্চ প্যাড প্রস্তুত করাসহ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এসব প্রস্তুতি দেখে মনে হয় নেপালি সামরিক কর্মকাণ্ডে চীনের সমর্থন আছে।
চীন ও ভারত যদি কোনো যুদ্ধ শুরু করে পাকিস্তান কি আবার ‘মুরব্বিদের দোয়া’ চাইবে? এবার আগেভাগেই পরের সিদ্ধান্ত আগে চলে এসেছে। পাকিস্তান ও চীন সামরিক কমিশন গঠনের কাজ এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। লাদাখ নিয়ে কোনো সংঘর্ষ হলে যুদ্ধ হঠাৎ চার দিকে আগুন ধরিয়ে দেবে। আফগান, নেপাল, পাকিস্তান সীমান্ত ছাড়াও যুদ্ধ ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরাম এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। চীন একাই ভারতকে অরুণাচল, হিমাচল, সিকিম ও উত্তরাখণ্ডে ঘিরে রেখেছে। লাদাখে চীনের পদক্ষেপে মনে হয় না কোনো জায়গা সে ভারতকে ছেড়ে দেবে, আর ভারতই বা কেন নিজের সীমান্ত এলাকা ছেড়ে দেবে? জানা যায়, পণ্ডিত নেহরু চীনের দাবি মতে উত্তর লাদাখ বা আকসাই চীন এলাকা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নেহরু এলাকার দাবি ছেড়ে দেয়ার পর জানান যে, ‘আকসাই চীন জায়গাটি অনুর্বর, ওখানে ঘাসের একটি পাতাও জন্মায় না।’ তাই ‘শুধু শুধু জায়গা পাহারা দিয় কী লাভ?’ ভারতীয় সমর বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, হিমালয়ের ওই এলাকাটি ভূকৌশলগত দিক দিয়ে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। লাদাখের এই বিষয়টি নিয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে নয়া দিগন্তে ‘সিয়াচেন কি দ্বিতীয় কাশ্মির’ নিবন্ধে বিস্তারিত লিখেছিলাম। মাও দে জংও সীমান্ত এলাকা নিয়ে ভারতের সাথে বেশি দেনদরবার করেননি। মাও ও নেহরুর সময়কাল আর নেই। এখন ভূরাজনৈতিক দুর্যোগের মহামারী চলছে। সুচাগ্র মেদিনীর জন্যও কোনো পক্ষই ছাড় দেবে না।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা বিশারদ জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের ‘সমন্বিত পদক্ষেপের’ আশঙ্কা রয়েছে। তা হলে ভারত প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ফ্রন্ট নির্ধারণ করে রণনীতি সাজাবে। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতি বর্তমানে সামান্য উত্তপ্ত।
ভারতের আন্তর্জাতিক শক্তিশালী মর্যাদা লাভের উচ্চাভিলাষ রয়েছে। ভারত দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে এটি আঞ্চলিক দেশগুলোর সংযোগস্থলে। ভারত অনেক দিন ধরেই ‘পরাশক্তি’ হওয়ার কথা ভাবছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চেঙ্গিস খান, আলেকজান্ডারের দিন এখন নেই। পরাশক্তি হতে হলে দেশের ভেতর গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করতে হবে। ভারতের বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির ধারাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা এবং অর্থনীতির ভিতকে সৃদৃঢ় করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র শুধু অস্ত্রের বলে শক্তিশালী নয়, ডলারের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চীনের বিরুদ্ধে সে কোল্ড ওয়ার শুরু করেছে। ভারতকেও তার অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির প্রবাহকে গতিশীল রাখতে হবে। হ
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা