স্মরণ : শফিকুল গনি স্বপন
- ২৩ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
শফিকুল গনি স্বপন জাতীয়তাবাদী ও প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ছিলেন। যিনি ২০০৯ সালের ২৩ আগস্ট চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছেন। তার বাচনভঙ্গি ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আত্মসম্মানবোধ ছিল অত্যন্ত প্রখর। ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আজকের নীলফামারী জেলার সদরে এ দেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, মরহুম মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাস থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে কালো পতাকা উড়ানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি রাজনীতির সাথে বাল্যজীবন থেকেই ছিলেন সংশ্লিষ্ট। সে সময়ই তিনি স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সংস্পর্শে আসেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মে মাসে স্বপন পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে বন্দী ছিলেন। স্বাধীনতার পর পিতার সাথে তিনিও হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। যাদু মিয়া কারামুক্ত হলে পুত্র স্বপন তার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে যাদু মিয়া জিয়াউর রহমানের পাশে ছিলেন। যাদু মিয়া মৃত্যুবরণ করলে স্বপন পিতার শূন্য আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ’৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর ও নীলফামারীর দু’টি আসন থেকে নির্বাচিত হন এবং প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয়তাবাদী শক্তির চরম দুর্দিনে তিনি বেগম জিয়ার আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে উত্তরাঞ্চলে দলকে সুসংগঠিত করেছিলেন।
আমৃত্যু বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন। সাপ্তাহিক বঙ্গব্যাপী ও উইকলি ফ্রাইডে প্রকাশ করেছিলেন যা অল্প সময়েই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এ দেশে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী চেতনা বিস্তারে এই দু’টি সাপ্তাহিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।হ
মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা