২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ শাবান ১৪৪৬
`

জনগণের জন্য ক্ষতিকর এমন বাহিনী প্রত্যাশিত নয়

সুশাসন
-


২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের বিপুল বিজয় হলেও নির্বাচন-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিসহ হত্যা, চাঁদবাজি, গুম, অপহরণ প্রভৃতি ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সে সময় অপরাধের ব্যাপকতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শৃঙ্খলাবাহিনী ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামক একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এ যৌথ অভিযানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে প্রতিরক্ষাবাহিনী, তৎকালীন বিডিআর, পুলিশ বাহিনী ও আনসার। এ যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও একাধিক গুরুতর অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের অনেক নেতাকর্মী কথিত ক্রসফায়ারে প্রাণ হারায়। তবে কথিত ক্রসফায়ারে প্রাণ হারানো সংখ্যার দিক থেকে বিরোধী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তদের সংখ্যা ছিল বেশি ।

এ যৌথ অভিযানটি তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের মূল্যায়নে সফল বলে বিবেচিত হলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশ, ১৯৭৯-এ সংশোধনী এনে র‌্যাব (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) গঠন করা হয়। র‌্যাব গঠনের পূর্বে অপারেশন ক্লিন হার্ট কার্যক্রমে যৌথ অভিযানের ছত্রছায়ায় প্রতিরক্ষাবাহিনীসহ অপর যেসব বেসামরিক বাহিনী অংশগ্রহণ করে তাদের দায়মুক্তি প্রদানপূর্বক যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন, ২০০৩ প্রণয়ন করা হয়।
র‌্যাবকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রাত্যহিক দায়িত্বের অতিরিক্ত অপরাধ ও অপরাধ কার্যক্রমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি এবং সরকারের নির্দেশনায় যেকোনো অপরাধের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রাত্যহিক দায়িত্ব হিসেবে যেসব দায়িত্ব পালন করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার, সশস্ত্র দলবদ্ধ অপরাধীদের গ্রেফতার, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় অর্পিত দায়িত্ব। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ওপর প্রদত্ত প্রাত্যহিক দায়িত্ব প্রতিপালনে র‌্যাবের পক্ষে কোনো অন্তরায় নেই।

র‌্যাবকে মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেয়া হলেও রুজুর ক্ষমতা দেয়া হয়নি এবং মামলা রুজুর ক্ষেত্রে র‌্যাবকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দ্বারস্থ হতে হয়। মামলা তদন্তকালীন র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ অনুযায়ী পুলিশের একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা যে ক্ষমতা ভোগ করেন সমরূপ ক্ষমতা ভোগ করলেও আর্মড পুলিশ অধ্যাদেশ-এর কোথাও অপ্রচ্ছন্নভাবে সশস্ত্র দলবদ্ধ সন্ত্রাসী ব্যতীত র‌্যাবকে অপর কোনো ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়নি; কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় সারা দেশে সর্বত্র র‌্যাব প্রায়ই এমন সব অপরাধীকে গ্রেফতার করে থাকে যারা কোনোভাবেই সশস্ত্র দলবদ্ধ অপরাধী নয়। তা ছাড়া আইনের বিধান অনুযায়ী যেকোনো অপরাধীকে গ্রেফতার-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার সময় ব্যতিরেকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের সম্মুখে উপস্থাপনের বিধান থাকলেও এ বিধানটি যে সচরাচর উপেক্ষিত হয় এ বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় নেই।

মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনে পুলিশের ব্যর্থতার বিষয় বিবেচনায় নিয়েই র‌্যাব গঠন করা হয়। গঠন-পরবর্তী প্রাথমিক পর্যায়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম বিশেষত চাঁদাবাজি দমনে র‌্যাব ব্যাপক সফলতা পেলেও পরবর্তী সময়ে এ বাহিনীটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা শুরু হলে বাহিনীটি সুনাম, গৌরব ও ঐতিহ্য হারাতে থাকে।
সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য সমন্বয়ে র‌্যাব গঠন করা হয়। র‌্যাবে এসব বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা প্রেষণে নিয়োগ লাভ করে থাকেন এবং একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর পুনরায় নিজ নিজ বাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন। অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষকের অভিমত- বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সমন্বয়ে বিশেষায়িত বা সম্ভ্রান্ত বাহিনী গঠন করা হলে এবং ওই বাহিনীতে কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিভিন্ন বাহিনী থেকে প্রেষণে আনা হলে সাময়িক সময়ের জন্য আসার কারণে তারা নিজ বিভাগে কাজ করার ক্ষেত্রে যেভাবে আন্তরিক থাকেন এখানে সেভাবে তাদের আন্তরিক হতে দেখা যায় না।

সামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যরা নিজ নিজ বাহিনীতে কর্মরত থাকার সময় নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতি যেভাবে অবিচল থাকেন যেকোনো কারণেই হোক তাদের যখন প্রেষণে যেকোনো বেসামরিক কার্য পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে অপর কোনো বিভাগে পাঠানো হয় তখন দেখা যায় তারা তাদের আগের সেই নীতি- নৈতিকতা ও আদর্শ ধরে রাখতে পারেন না। তাই সেনাবাহিনীসহ প্রতিরক্ষাবাহিনীকে কলুষমুক্ত রাখতে হলে তাদের প্রতিরক্ষাবাহিনীবহির্ভূত প্রেষণে পদায়ন যত সীমিত করা যায় তত বেশি তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক।
র‌্যাবে কর্মরত বা কর্মরত ছিলেন এমন কিছু সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি এবং অপহরণের পর চাঁদা না পেয়ে গুমের যে অভিযোগ উঠেছে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও মারাত্মকভাবে সেনাবাহিনীসহ প্রতিরক্ষাবাহিনীর মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে। এসব কর্মকর্তার কথিত কার্যকলাপ সত্য হয়ে থাকলে এদের মানুষ বলার অবকাশ আছে কি না তা ভেবে দেখার বিষয়।

অভিযোগ রয়েছে- র‌্যাবে সেনাকর্মকর্তাসহ প্রতিরক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পদায়নের ক্ষেত্রে সেনা সদর দফতর অথবা অন্যান্য বাহিনীর সদর দফতরের পরিবর্তে সরকারের শীর্ষ নির্বাহীর কার্যালয় থেকে অধিযাচন পত্র দেয়া হয়। এ বিষয়টি সত্য হয়ে থাকলে এবং এভাবে র‌্যাবে সেনাকর্মকর্তাসহ প্রতিরক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রেষণে পদায়ন হয়ে থাকলে কখনো এসব কর্মকর্তা দ্বারা আন্তরিকতা, বিশ্বস্ততা ও সততার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা যাবে না।
চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে র‌্যাব গঠন পরবর্তী বাহিনীটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে ওই জোট সফলতা পেয়েছিল। তাই ওই জোটের পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় কখনো র‌্যাবের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বক্তব্য আসেনি। যদিও তখন অতীতের ক্ষমতাসীনরা র‌্যাবের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। পরিহাসের বিষয়- র‌্যাব বিলুপ্তির জোরালো দাবি যে দলটির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে সে দলটির শাসনামলে র‌্যাব গঠিত হয়েছিল এবং এটিও নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বর্তমানে যারা ক্ষমতাসীন তারা ক্ষমতা হারানো পরবর্তী র‌্যাব বহাল থাকলে তাদের কাছ থেকেও র‌্যাব-বিলুপ্তি বিষয়ে বর্তমান বিরোধী দলের অনুরূপ বক্তব্য আসবে।

এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে বলা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনটি আওয়ামী শাসনামলে প্রণীত হলেও এর অপপ্রয়োগের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্র্মীরা। বিশেষ ক্ষমতা আইন বা ওই আইনের তফসিলে উল্লিখিত আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে ছয় মাসাধিকাল পর্যন্ত তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা নেই। এ ধরনের নিবর্তনমূলক বিধান কোনো গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে থাকা অনাকাক্সিক্ষত বিবেচিত হলেও দুঃখজনকভাবে এ বিধানটি সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় ১৯৭৩ সালে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং এর অপপ্রয়োগে অসংখ্য ব্যক্তিকে অমানুষিক যাতনা ও নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। এ ধরনের আইন বহাল থাকলে তা যত স্বচ্ছভাবেই একটি বাহিনী গঠন করা হোক না কেন ক্ষমতার আধিক্যে সে বাহিনীকে স্বেচ্ছাচারিতার পথে নিয়ে যায়। যদিও বলা হয়ে থাকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতিরেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষে কোনো ব্যক্তিকে নিবর্তনমূলক আইনে আটক সম্ভব নয়; কিন্তু যখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কোনো ব্যক্তিকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেয়া হয় তখন আটকাদেশ প্রদানকারী ব্যক্তি এবং এটি কার্যকরণে শৃঙ্খলাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা সম্পৃক্ত তারা কতটুকু রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সে প্রশ্নটি এসে যায়।

পুলিশ যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে সফল এমন দাবি করার কোনো অবকাশ নেই। পুলিশের প্রতি জনমানুষের আস্থা ক্রমহ্রাসমান। র‌্যাবের অনুরূপ পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ঘটনাসহ অপহরণপূর্বক চাঁদাবাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জনৈক উপ কমিশনারের নির্দেশনায় গভীর রাতে গুলশানের বাসা থেকে জনৈক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মহানগর ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে এনে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর সদস্য সাজিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক কোটি টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করে। এ চাঁদার টাকাটি চেকের মাধ্যমে প্রদান করার কারণে ব্যাংকের সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত চিত্রে ঘটনাটির সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ উপ কমিশনার তৎকালীন সরকারের শীর্ষ নির্বাহীর একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার ছত্রছায়ায় লালিত বিধায় তাকে পুলিশের এক বিভাগ থেকে অপর বিভাগে সমপদে বদলি ব্যতীত তার বিরুদ্ধে জনমনে আস্থা সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও পুলিশের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন ধরনের অভিযোগ রয়েছে; কিন্তু এদের ক’জনকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানপূর্বক পুলিশ বাহিনীকে কলুষমুক্ত করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে সে প্রশ্নটির উত্তর কার কাছ থেকে পাওয়া যাবে। তাই র‌্যাব বিলুপ্ত করলেই পুলিশের দ্বারা জনআশা পূরণ হবে এমনটি বিশ্বাস করার কোনো অবকাশ আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।

আমাদের দেশে ইতঃপূর্বে গণবিরোধী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে জাতীয় রক্ষীবাহিনীকে বিলুপ্ত করে এর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ করা হয়েছিল। তা ছাড়া বিডিআর-এর সৈনিকরা কর্মকর্তা নিধনের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হলে বাহিনীটি সংস্কারের মাধ্যমে নাম, পোশাক, নিয়োগবিধি, কর্ম পরিকল্পনা প্রভৃতিতে পরিবর্তন আনা হয়। সুতরাং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও তার দলের নেতাদের পক্ষ থেকে র‌্যাব বিলুপ্তি এবং অন্যান্য দলের মধ্য থেকে র‌্যাবের সংস্কারের যে দাবি উঠেছে উভয় দাবিই যৌক্তিক, অতীতের ঘটনাপ্রবাহ এমনই ধারণা দেয়। সম্প্রতি গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন সরকারের বরাবর প্রদত্ত প্রতিবেদনে র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করে।
পুলিশের বিকল্প হিসেবে পুলিশের অন্তর্ভুক্তিসহ পুলিশ বাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে বাহিনীপ্রধান করে বিশেষায়িত বা সম্ভ্রান্ত বাহিনী হিসেবে র‌্যাব গঠন করা হলেও এ কথাটি অনস্বীকার্র্য যে, সে একই পুলিশের বিকল্প হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে কার্যকর ফল লাভে র‌্যাব অথবা র‌্যাবের মতো সম্ভ্রান্ত বা বিশেষায়িত বাহিনীর বর্তমানেও প্রয়োজন আছে কি না তা বিবেচনার দাবি রাখে। র‌্যাবের কিছু কর্মকর্তার দুর্বৃত্তায়নের জন্য বাহিনীটির প্রতি যে কালিমা আরোপ করা হচ্ছে সে কালিমা থেকে বাহিনীটিতে কর্মরত প্রতিরক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যসহ অপরাপর শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরাও মুক্ত নন। তাই র‌্যাব বিলুপ্তির মাধ্যমে দেশের শৃঙ্খলাবাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে শক্তিশালীকরণসহ দেশের ও জনগণের সেবায় মনোনিবেশই উত্তম।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail : [email protected]

 

 


আরো সংবাদ



premium cement