২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

ছাত্র অ-রাজনীতি

দেশ জাতি রাষ্ট্র
-

গত কিছু দিনে বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে যা ঘটেছে বা যা ঘটছে, তাতে নাগরিক সাধারণ রীতিমতো বিচলিত। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশিত হয়েছে। এই সেদিন ছাত্ররা যে গৌরবময় বিপ্লবের সূচনা করেছে তার রেশ কাটতে না কাটতেই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় কার্যক্রম সবাইকে বিব্রত করছে, যা ঘটেছে তা কোনোক্রমেই ছাত্ররাজনীতি পদবাচ্য নয়। সেটি অ-ছাত্ররাজনীতি। স্বৈরাচারী হাসিনা আমলের স্টাইলে ছাত্ররাজনীতি এই সময়ে কোনো মতেই কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কুয়েটের অঘটন, ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, একাডেমিক বিষয়ে ছাত্র নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক মারামারি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। যেখানে ছাত্র নেতৃত্বের ক্রমাগত প্রতিশ্রুতিশীল হওয়ার কথা সেখানে ঘটছে উল্টোটি। এ কেমন কথা!

সর্বশেষ ঘটনায় দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষে বন্ধ ঘোষিত হয়েছে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়-কুয়েট। সেখানে সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি পুনর্বার নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারবে না। সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, গত মঙ্গলবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দ্বন্দ্বে শতাধিক ছাত্র আহত হন। পরে উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখে সাধারণ ছাত্ররা। কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে অনেক আগে থেকে। ঘটনার দিন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল লিফলেট বিতরণ করে। সাধারণ ছাত্ররা তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এটিকে ভালো চোখে দেখেনি। তারা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে রয়েছে। হামলা ও সংঘর্ষ নিয়ে পরস্পর দোষারোপের ঘটনা ঘটছে। সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল বলছে ঘটনার সাথে তারা জড়িত নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব ঘটনার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করছে। গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। রামদা হাতে তার দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েটে এখনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ দিকে গত কয়েক মাস ধরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্যাম্পাসগুলো। সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্কের আশঙ্কা বিরাজ করছে। সেই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও একটি শক্ত ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। এই ত্রিপক্ষীয় টানাপড়েনের অবস্থান, ছাত্ররাজনীতিতে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থান ছাত্ররাজনীতিকে ত্রিশঙ্কু করে তুলছে। বিপ্লবের পরবর্তী পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জনপ্রিয়তায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে ছাত্রশিবির আদর্শিক সুনামের কারণে কোনো কোনো ক্যাম্পাসে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ছাত্রদল সাধারণভাবে জনপ্রিয় হলেও বর্তমানে নিজেদের অবস্থান সংহত করতে পারছে না। এ দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন এবং শিবির এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাইছে। সঙ্গত কারণেই ছাত্রদল নির্বাচনের পরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে। নির্বাচনে যেহেতু বিএনপির নিরঙ্কুশ জয়ের আশা একরকম নিশ্চিত, সে কারণে ছাত্রদল ছাত্র সংসদ নির্বাচন পেছানোর চেষ্টায় আছে। এ ছাড়া পারস্পরিক নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, আদর্শিক দূরত্ব ও আগামী নির্বাচন বিষয়ে দলীয় ধারায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও দূরত্ব রয়েছে।

একটি গণ-অভ্যুত্থান বা গণবিপ্লব রাষ্ট্রে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে। কখনো কখনো এ অস্থিরতা অরাজকতার দিকে চলে যায়। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের দিকে তাকালেও ওই একই বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। বিপ্লবের পরপরই অতি দ্রুত ছাত্রদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। সে ক্ষেত্রে শীর্ষ ছাত্রনেতৃত্ব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়-দায়িত্ব ছিল। এই ত্রিপক্ষ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ছাত্ররা অধিকতরভাবে হয়েছে রাজনীতিমুখর। এভাবে রণক্ষেত্র হয়েছে ঢাকা কলেজ ও তার পার্শ¦বর্তী এলাকা। পুরান ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও শামসুল হক কলেজ পরস্পর শক্তি প্রদর্শনীর নগ্ন মহড়া দেখিয়েছে। মানুষ বলে, কাজ নেই তো খই ভাজ! ছাত্রদের আন্দোলনের পর ক্লাস নেই কর্মসূচি নেই তাদের একটা কিছু তো করতে হবে। তাই তারিখ দিয়ে মারামারি করে।

জনগণের মতো ছাত্রদেরও দাবি-দাওয়ার প্লাবনে পেয়ে বসল। তারা পরীক্ষা ছাড়াই পাস চায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাই মেনে নিলো। ছাত্ররা আশকারা পেলো। তারা সাত কলেজের নামে ঢাকা শহর অচল করল। তারা তিতুমীর কলেজকে বিশ^বিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি জানাল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক দাবির কাছে মাথানত করেছে। ছাত্ররা দেখতে পেয়েছে, শক্তি প্রয়োগ করলে আন্দোলন করলে সব কিছুই আদায় করা সম্ভব। সুতরাং ছাত্ররাজনীতির বিপদাপদের সাথে সাথে এ ধরনের দাবি-দাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কার্যত অস্থির করে তুলেছে।

এ ছাড়া নানা ধরনের দাবি নিয়ে ছাত্ররা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অচল করে তুলছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে কোটা ব্যবস্থা রয়েছে। আগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল, খেলোয়াড় কোটা ছিল, পোষ্য কোটাও ছিল। বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত পিয়ন থেকে প্রফেসর পর্যন্ত প্রসারিত এই কোটা। একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল পোষ্যকোটা প্রযোজ্য হয়। এখন সেটি নিয়েও জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলন চলছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ছাত্ররাজনীতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করছে। সব মিলিয়ে অবস্থা ভালো নয়। এসব তৎপরতাকে আর যাই হোক ছাত্ররাজনীতি বলা যায় না।

সন্দেহ নেই, ছাত্ররাজনীতির একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় আমাদের রয়েছে। কিন্তু এখন যে অবস্থায় নিপতিত হয়েছে তা সেই গৌরব ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে না। উপর্যুক্ত আলোচনা তার সাক্ষ্য। কুয়েটের ঘটনা তার প্রমাণ। এগুলো প্রমাণ করে যে বদলায়নি কিছু। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে ছাত্ররা এখন তার প্রমাণ দিতে পারছে না। বিশেষ করে নানা স্বার্থ সুবিধা ও আদর্শের নামে বিভ্রান্ত হয়েছে ছাত্রসমাজ। এই অবস্থা কোনোক্রমেই চলতে দেয়া যায় না। এর একটি সুন্দর সমাধান প্রয়োজন। সমাধানটির পথও বাতলিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক কার্যক্রম।

ছাত্ররাজনীতির নামে ছাত্রলীগ বিগত প্রায় দুই দশকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে তাণ্ডব ছড়িয়েছে তাতে সাধারণ ছাত্রসমাজের ছাত্ররাজনীতির প্রতি নিস্পৃহ দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে। বুয়েটের আবরারের মৃত্যু তাদেরকে ক্রোধান্বিত করেছে। ছাত্ররা আর ছাত্ররাজনীতি চায় না। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জনমত জরিপের ব্যবস্থা থাকত তাহলে পরে এর প্রমাণ মিলত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঠিক পরবর্তী সময়ে দাবি তুলেছিল লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হোক। দেশের সচেতন নাগরিক সাধারণ সঙ্গতভাবেই এই দাবির সাথে একাত্ম। দুরারোগ্য যদি হয় ব্যাধি, যদি উপশম হয় অপারেশনে তা করতেই হবে। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের মানে এই নয় যে, ছাত্ররা রাজনীতি করবে না। এরা রাজনীতি করবে কিন্তু দলের লেজুড়বৃত্তি নয়। এখন যেমন রাজনৈতিক দলের অনুমোদনক্রমে ছাত্রসংগঠন বিশ^বিদ্যালয়ে বা অন্যত্র কাজ করে, সেটি হওয়া সঙ্গত নয়। ছাত্ররাজনীতি হবে স্বকীয়, স্বাধীন ও পৃথক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রাজনীতির সাথে তাদের আদর্শিক সম্পর্ক থাকবে। ক্ষমতার আরোহণ ও অবআরোহণে ছাত্রদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। কিছু কিছু রাজনীতিবিদ ও সচেতন ব্যক্তি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে নন। তাদের কথায়ও যুক্তি আছে। কিন্তু এখন ছাত্ররাজনীতি যে অবস্থায় নিপতিত হয়েছে তাতে ব্যাধির অপসারণে অপারেশন অবধারিত।

এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় আমরা অতিক্রম করছি। ভবিষ্যতে একটি নির্বাচিত দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসবে। এখনকার যে অবস্থা আমরা দেখলাম, রাজনীতির কারণেই রাজনৈতিক সরকার ছাত্রদেরকে অধিকতরভাবে রাজনীতিসম্পৃক্ত করবে। তাই যদি হয় আর আমাদের পূর্বকথিত ত্রি-শক্তির লড়াই যদি অব্যাহত থাকে তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা হবে ভয়াবহ। উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ভাষায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে তিনি বলেন,‘আওয়ামী আমলে লীগের সাথে অন্য যেকোনো দল/পক্ষের মারামারি লাগলে সেখানে পুলিশ-প্রশাসন নির্লজ্জভাবে লীগের পক্ষে থাকত। ফলে খুব দ্রুতই অপর পক্ষ রণে ভঙ্গ দিতো। কিন্তু বর্তমানে পুলিশ-প্রশাসন বিভক্ত, কোনো রাজনৈতিক দলের একক দৌরাত্ম্য নেই আপাতত, ডেডিকেটেড মারমুখী কর্মীসংখ্যা কাছাকাছি পরিমাণের, সব মিলিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যদি এই মুহূর্তে মুখোমুখি হয়, নিশ্চিতভাবে বলা যায়- কোনো পক্ষই সহজে পেছাবে না। উভয়ই নিজের অস্তিত্বের লড়াই জ্ঞান করে মারামারি করবে। হয়তো, ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ হতাহত ও লাশ দেখতে হবে এবার। অত্যন্ত ফ্রাস্ট্রেটিং লাগে এসব দেখে। ভয় জিনিসটা কখনো আমি ফিল করিনি কোনো ব্যাপারে, জেদের কারণে নাকি আমার মাথায় সমস্যা জানি না, যেকোনো হুমকিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি সবসময়। কিন্তু নিজের ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিকারের ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে, সবচেয়ে বেশি হতাশ লাগে। এখানে যে পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সে তো আমার ভাই, ছয় মাস আগেও একসাথে টিয়ার গ্যাস রাবার বুলেট খেয়েছি। এখন এসে তাদের মধ্যে হওয়া গ্যাঞ্জাম কোনোভাবেই বিন্দুমাত্র সুখকর কিছু হতেই পারে না। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির যেভাবে নিজ নিজ অফিসিয়াল প্যাডে একে অন্যের নাম উল্লেখ করে দায় আরোপ ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, এটি খুব খারাপ ভবিষ্যৎই ইঙ্গিত করছে সামনে। আমার মনে হয়, এদের প্যারেন্ট সংগঠনের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা অতি জরুরি ও একান্ত অপরিহার্য। আল্লাহ সবাইকে হিফাজত করুক, সঠিক জ্ঞান-বুঝ দিক। আমীন।’

আসিফ নজরুলের এসব কথার সাথে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। তার উচ্চারিত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রতিটি সচেতন মানুষের। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ছাত্ররাজনীতি তথা লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলে এ বিষয়ে প্রথমত ছাত্রনেতৃত্ব ও পরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে কথা বলতে পারে। মনে রাখতে হবে, কঠিন সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার মধ্যেই রয়েছে যথার্থ সার্থকতা।

লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement