মিডিয়ার খোলসে আওয়ামী কলুষিত মন
অন্য দৃষ্টি- জসিম উদ্দিন
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন দেশের গণমাধ্যমের পাঠক দর্শক শ্রোতার মনোভাব যাচাইয়ের জন্য একটি জরিপ চালিয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে পরিচালিত এই জরিপে বাংলাদেশের মিডিয়ার প্রতি মানুষের ক্ষোভের জায়গাটি গুরুত্বের সাথে যাচাই করা না হলেও পরোক্ষভাবে তা উঠে এসেছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৭৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মুদ্রিত সংবাদপত্র পড়েন না। ৪৬ শতাংশ পত্রিকার খবরের প্রয়োজন বোধ করেন না।
এই পরিসংখ্যান দেখে বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর অংশকে অসচেতন কিংবা উদাসীন ভাবার সুযোগ কম। জরিপে জানা যাচ্ছে, বিকল্প মাধ্যম মুঠোফোনে ৬০ শতাংশ মানুষ খবর জেনে নিচ্ছেন। ৩১ দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষ ফেসবুক ও ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষ ইউটিউবকে সংবাদের বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম মনে করে। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ম্যাসেঞ্জার ও টেলিগ্রামকে সংবাদ জানার মাধ্যম হিসেবে তারা গ্রহণ করছেন। ল্যাপটপ কম্পিউটারে আরো কিছু মানুষ খবরের চাহিদা মেটাচ্ছেন। সুতরাং বিবিএসের এই জরিপেও প্রমাণ মিলছে ছাপা পত্রিকা কম পাঠ করলেও দেশের মানুষ খবর জানতে উদাসীন বা অনাগ্রহী নন।
ভার্চুয়াল মিডিয়ার দাপটে ছাপা পত্রিকা প্রচারসংখ্যা সঙ্কুচিত হয়েছে, তবে একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকা অনলাইন ও ইইউটিউব সংস্করণ আরো বেশি করে জায়গা করে নিচ্ছে। পরিবর্তিত বাস্তবতার সাথে খাপখাইয়ে নেয়ার মাধ্যমে ছাপা মাধ্যমের মিডিয়া নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছে। বিকল্প মাধ্যম কাজে লাগিয়ে তাদের অবস্থান আরো বেশি শক্তিশালী করছে। বাংলাদেশে মূল ধারার মিডিয়া (ছাপা পত্রিকা) বৈশ্বিক প্রবণতার তুলনায় তুলনামূলক অনেক বেশি পাঠক হারিয়েছে এর অর্থ হলো বিগত তিন দশকে মুদ্রিত পত্রিকার আশানুরূপ বিস্তার ঘটেনি। যদিও এই সময় দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো মিডিয়ার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে ছাপা পত্রিকার পাঠক সংখ্যা কম। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা যায়, পাকিস্তানের গ্রামে ৩৬ শতাংশ মানুষ, শহরে ৬০ শতাংশ মানুষ সংবাদপত্র পড়েন। ২০১৯ সালে পরিচালিত আরেক জরিপের তথ্য মতে, ভারতে ৩০ শতাংশ মানুষ পত্রিকা পড়েন। উন্নয়ন ও সামাজিক অবস্থানের বিভিন্ন সূচকে আমরা এ দেশ দুটো থেকে এগিয়ে গেছি। বিবিএসের জরিপ সঠিক হলে পত্রিকার পাঠক সংখ্যায় দেশ দুটো থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
বাংলাদেশে টিভি দর্শক শ্রোতার সংখ্যা বিবিএসের জরিপে তুলনামূলক বেশি। দেশের ৬৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ টিভি দেখেন। ভারতেও সেটি ৬৪ শতাংশ, পাকিস্তানে এ হার বেশ খানিকটা বেশি- ৭৬ শতাংশ। টিভি দেখার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, কত সময় ধরে তারা সেটের সামনে থাকেন। কোয়ালিটিটিভ জরিপ করা হলে বাংলাদেশে টিভি দর্শক শ্রোতার টিভি সেটের সামনে সময় ব্যয় ও টিভি সেটের সামনে আসার প্রকৃত কারণ বের করা যেত। বাসাবাড়িতে একটি টিভি সেট আছে, তাই অলস সময় পার করতে তারা টিভির সামনে বসছেন, এই শ্রেণীর দর্শক শ্রোতাকে প্রকৃত দর্শক শ্রোতা বলা যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অনিবার্য কিছু খবর রয়েছে যেগুলোর ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ নেই এমন খবর ও কিছু ঘোষণা জানার জন্য মানুষ টিভির সামনে বসেন। টিভি দর্শকের ব্যাপারে সামগ্রিক জরিপ হলে ভিন্ন চিত্র আমাদের সামনে উন্মোচিত হতো। কারণ বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা পত্রিকার চেয়েও বেশি নড়বড়ে, বেশ কিছু টিভি চ্যানেলকে মানুষ রীতিমতো ঘৃণা করে।
বিবিএসের জরিপে জানা গেল, রেডিও শ্রোতা তলানিতে, মাত্র ৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ রেডিও শোনে। জরিপের ফলাফল অনেক সময় জরিপ পরিচালনাকারীদের ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন ঘটে। বিবিএস তার আগের জনবল দিয়ে এই জরিপ চালিয়েছে। এতদিন ফ্যাসিস্ট হাসিনা তাদের পক্ষে তথ্য-উপাত্তকে ব্যবহার করার জন্য এই সেটআপ ব্যবহার করেছে। যারা ধরেই নিচ্ছেন আমাদের মূল ধারার মিডিয়া গড়পড়তা একটি মিডিয়া, বাস্তবে যা নয়। এই মিডিয়া যে অতি পক্ষপাতদুষ্ট তার অসংখ্য নজির রয়েছে। এই মিডিয়া জনস্বার্থের বিপক্ষে গিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সুবিধাভোগীদের লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছিল। কিছু চ্যানেল ফ্যাসিবাদের তাঁবেদারি করতে গিয়ে জনগণের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সাংবাদমাধ্যমের প্রধান কাজ পাঠক দর্শক শ্রোতার কাছে সংবাদ পৌঁছানো। খবরে কোনো রঙ লাগিয়ে দেয়া নয়। মন্তব্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বহু খবর গায়েব করে দিয়েছে। কিছু খবর তারা নিজেদের পছন্দ মতো রঙ মেখে প্রকাশ করেছে। মন্তব্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও খবরকে পাঠকের সামনে বিস্তারিত জানানোর জন্য, কিন্তু আমাদের মিডিয়া সে দায়িত্বও পেশাদারিত্বের সাথে করেনি।
কিছু কিছু মোড় পরিবর্তন করে দেয়া ঘটনায় ন্যক্কারজনক ভূমিকা বাংলাদেশের মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের ঘরে পৌঁছে দেয়। এ ধরনের একটি ছিল ২০১৩ সালে ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে নৃশংসতা। পুলিশ বিডিআর ও ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত করা হয় হেফাজতের নেতাকর্মীদের। বিভিন্ন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য একটি বিশাল সমাবেশকে প্রাণঘাতী অস্ত্রের প্রয়োগ করে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়। রাস্তার লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের গভীরে ওই অভিযান চালান হয়। এক লাখ ৫৫ হাজার গুলি ও গ্রেনেড ব্যবহার করে তারা। রাতভর মুহুর্মুহু আওয়াজে রাজধানী কেঁপেছে। নিরস্ত্র মানুষের একটি জমায়াতে এত বিরাট শক্তিক্ষয় করে সামরিক কায়দায় দমানোর দ্বিতীয় নজির সম্ভবত পৃথিবীতে নেই। মতিঝিল শাপলা চত্বর কেন্দ্র করে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় কারবালার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতে সমবেত হওয়া লাখ লাখ মানুষের একজনকেও পাওয়া গেল না সকালে। পড়ে থাকতে দেখা গেল ছড়ানো ছিটানো কাপড়, জুতা ও ব্যবহার ছোটখাটো জিনিস। বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে, ওই রাতেই পুরো এলাকা পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়া হয়েছে।
সকালে ছাপা পত্রিকা দেখে এ দেশের পাঠকরা আরো বেশি আশ্চর্য হলো। দেখা গেল মূল ধারার সংবাদপত্রে শিরোনাম করা হয়েছে- ‘হেফাজতের তাণ্ডব’। খবরে হাইলাইট করা হয়েছে ফুটপাথ উপড়ে ফেলা, সড়ক বিভাজকের গাছ কর্তন, বিপণিবিতানে হামলা ও কুরআন পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা। কতজন মারা গেছে, কত জন আহত হয়েছে- এগুলো চলে গেছে পত্রিকার ভেতরের পাতায় খবরের নিচের দিকে। ওই সময় হেফাজতের সমাবেশে ‘গণহত্যা’ নিয়ে জনমনে আলোচনা চলছিল। প্রথমে সঠিক খবর পরিবেশন না করে মিডিয়া জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে, ফলোআপ কোনো আলোচনাও পত্রিকায় দেখা যায়নি। শাপলা ম্যাসাকারে কত মানুষ মারা গেছে, সেটি রহস্যের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। অন্য দিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয় হেফাজতে ইসলামকে। তাদের ‘জঙ্গিপনা ও নাশকতা’ পত্রিকায় খবরের বিষয় হলো বহুদিন। যেই ট্যাগ দিয়ে ইসলামী দলগুলোকে কাবু করার কাজে মিডিয়া অত্যন্ত কার্যকর সহযোগী ছিল হাসিনা ফ্যাসিবাদের। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ওই সময় চালানো হেফাজতের ওপর সন্ত্রাসকে উল্টো হেফাজতের তাণ্ডব বলে চাপিয়ে দেয় তারা। এভাবে বাংলাদেশের বড় একটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করার বয়ান তৈরি করেছে আমাদের অসাধু সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেল পত্রিকার এই ধরনের অনৈতিক সাংবাদিকতারই অনুসরণ করেছে। মিডিয়ার খুব সামান্য একটি অংশ যারা সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তারা সরকারি খড়গে পড়ে। ঘটনার রাতে এক প্রশাসনিক আদেশে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়।
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের খড়গের নজির আগে থেকে ছিল। নিজের স্বার্থে যেকোনো মিডিয়া বন্ধ করে দিতে সরকার দুবার ভাববে না- এটি সবার জানা ছিল। শাপলা গণহত্যার অল্প কিছু দিন আগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয় সরকার। সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর নেমে আসে নির্মম বর্বরতা। তবে এই ভয়ে মূল ধারার মিডিয়া হেফাজত ম্যাসাকারের খবর পাশ কাটিয়ে বিপরীত প্রচারণা চালায়নি। বেশির ভাগ মিডিয়া স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়েই এসব জঘন্য অপকর্ম করেছে। মূলত বাংলাদেশের মূল ধারার মিডিয়া কুসংস্কারের মধ্যে বেড়ে উঠে, তাতে ডুবে আছে। মিডিয়ার নেতৃত্ব দেয়া লোকেরা কিংবা যাদের হাতে মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় পরিচয় অপছন্দ করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকারে সোচ্চার হওয়াকে সহ্য করে না। মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও বৃহত্তর ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতীককে কোনো এক অজানা কারণে ঘৃণা করে।
মুসলমানদের বেশির ভাগ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে প্রগতির অন্তরায় হিসেবে গণ্য করে। শাহবাগে উত্থিত দাঙ্গাবাজদের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতে ইসলাম সৃষ্টি হয়েছিল। একদল বিশৃঙ্খল জনতা শাহবাগ থেকে মানুষের ফাঁসি চেয়েছে। একপর্যায়ে পুরো দেশকে তারা জিম্মি করে ফেলে। হাসিনার ফ্যাসিবাদী হওয়ার পাটাতনকে শক্ত করে দিয়েছিল এই তথাকথিত ‘গণজাগরণ মঞ্চ’। আর এই শাহবাগ বাংলাদেশের মিডিয়ার প্রবল পছন্দ। মাত্র কয়েক শ’ থেকে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েতকে লাখ লাখ মানুষের গণজাগরণ বলে সীমাহীন প্রচারণা চালিয়েছে। পত্রিকাগুলো সব ধরনের নিয়ম-কানুন অমান্য করে এই মবকে যার পর নাই উৎসাহ জুগিয়েছে। টিভি স্টেশন দিনের পর দিন লাইভ সম্প্রচার করেছে। সারা দেশ এই সন্ত্রাসী চক্রের কাছে তখন জিম্মি হয়ে যায়। তার জেরে আদালতের রায় বদলে যায়। বিচারকের বদলে রায় আসে শাহবাগের মবের কাছ থেকে। আগের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে বিচারক বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে দেন। সারা দেশে ঘরবাড়ি, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান তীব্র হুমকির মুখে পড়ে, চাঁদাবাজি চলতে থাকে। বহু মানুষের জীবনে নেমে চরম নিরপত্তাহীনতা। অথচ মিডিয়ার দাবি ছিল- শাহবাগ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জাগরণ। তারা এই মবকে মহান করার যাবতীয় চেষ্টা করেছে।
শাহবাগের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হওয়া হেফাজত ইসলাম ছিল বাংলাদেশের মিডিয়াকে চেনার টুল। এরপর মানুষ নিশ্চিত করে জেনে যায়, এই মিডিয়ার বেশির ভাগ ভিন্ন দেশের ইচ্ছা পূরণে একজোট। তার পর থেকে মানুষ দেশীয় মিডিয়া থেকে পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে নেয়। খবরের জন্য খুব কম মানুষ এই মিডিয়ার ওপর নির্ভর করে। দেশের পত্রিকা মানুষ পড়ে কিন্তু বিশ্বাস করে না। অপর দিকে টিভি চ্যানেলগুলো পুরোপুরি ফ্যাসিবাদের ইচ্ছার হাতিয়ার হিসেবে মানুষের কাছে গণ্য হয়েছে। টিভির বিশ্বাসযোগ্যতা পত্রিকার চেয়েও কমে যায়।
শাহবাগ সৃষ্টি হওয়ার আগে থেকে মিডয়ার প্রতি এ দেশের মানুষের অবিশ্বাস-সন্দেহ ছিল। তারা দেখতে পেয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের অন্যায্য প্রীতি। দলটির অন্যায় দুর্নীতি সন্ত্রাস বরাবরই মিডিয়া আড়াল করেছে। অপর দিকে বিরোধীরা যেই অন্যায় দুর্নীতি সন্ত্রাস করেনি তা তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ঘোরতর সব অন্যায়ের মোকাবেলায় বিরোধীরা অসহায় হয়েছে। এর ফল কারো জন্য শুভ হয়নি। অন্যায় করে পার পাওয়ার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগকে দানবে পরিণত করে। যার মাশুল এ দেশের জনগণকে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে উসুল করতে হয়েছে। সেই দানব শেষে এই মিডিয়া ও তার সমর্থকদেরও ক্ষেত্রবিশেষে ছাড়েনি। মূলত বাংলাদেশের মিডিয়া আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। এর বাইরের খোলস মিডিয়া হিসেবে পরিচিত হলেও ভেতরে রয়েছে কুৎসিত আওয়ামী কলুষ। একটি বিকশিত প্রাণবন্ত মিডিয়া তৈরি করতে হলে মিডিয়া কমিশনকে বাংলাদেশে মিডিয়ার মূল রোগটি শনাক্ত করতে হবে। কমিশনের আলাপ-আলোচনায় সেই রোগ শনাক্ত করার চেষ্টা এখনো দেখা যাচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা