সম্প্রসারণবাদের নতুন যুগে যুক্তরাষ্ট্র
- মো: বজলুর রশীদ
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। অতীতের মতো এবারো অনেক নাটকীয়তা দিয়ে তিনি প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু করেছেন। বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মার্কিন সম্প্রসারণবাদ। ট্রাম্পশিবিরের কর্তারা বলছেন, আমেরিকা তার নিজের সম্পদ ফেরত চাইছে, কোনো কিছু দখল বা জোর করছে না। আঞ্চলিক সম্প্রসারণের জন্য তিনি কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন- বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কেনা; পানামা খাল ফিরিয়ে নেয়া; কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করা। এই সবই চ্যালেঞ্জিং এবং বড় ধরনের বৈশ্বিক ইস্যু। তিনি সবচেয়ে বেশি যা চান তা গ্রিনল্যান্ড ও পানামা। তার প্রথম মেয়াদে, এই চুক্তি করার আশা করেছিলেন। কিন্তু ডেনিশ সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এবার গ্রিনল্যান্ড দখলে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও কী উপায় অবলম্বন করতে পারেন, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। একটি সম্ভাবনা হলো গ্রিনল্যান্ড প্রথমে স্বাধীনতার বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করতে পারে, যার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি কেনার প্রস্তাব দিতে পারে।
পানামার ক্ষেত্রে, শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পানামা খাল নিয়ন্ত্রণের অংশীদারিত্বমূলক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করাই শ্রেয় হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর কানাডার ভারী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য-নির্ভরতার পরিপ্রেক্ষিতে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন রাষ্ট্র হয়ে উঠবে কি না, তা আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমেরিকার সম্প্রসারণ এবং এর মাধ্যমে তার নিজস্ব উত্তরাধিকার বাড়ানো ট্রাম্পের জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় রাজনৈতিক পুরস্কার।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। ভৌগোলিকভাবে এটি ইউরোপের চেয়ে আমেরিকার কাছাকাছি; এর রাজধানী নুক কোপেনহেগেনের চেয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির নিকটবর্তী। এসব দেখে মনে হয়ে ট্রাম্প কিছু হিসাব-নিকাশ করেই রাজনীতির ময়দানে কথা ছেড়ে দিয়েছেন। গ্রিনল্যান্ডের মোট আয়তন ২১ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার। ট্রাম্প যদি সফলভাবে গ্রিনল্যান্ড কিনে নেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমি এলাকা তাৎক্ষণিকভাবে ৯.৩৭ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে ১১.৫৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটারে দাঁড়াবে, যা দেশটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশে পরিণত করবে। যদিও কেবল আঞ্চলিক সম্প্রসারণ আমেরিকাকে সেরা করে তুলতে পারে না। এর সাথে সদ্য যোগ হয়েছে গাজা। ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে সেটি ‘পরিষ্কার’ করার প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। সবশেষে গাজা দখলের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সম্প্রসারণের এই পর্যায়ে আরেক পদক্ষেপ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনে অভিযান- যেখান থেকে দেশটি আহরণ করে দুনিয়ার দুর্লভ খনিজ পদার্থ, যার পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। জেলেনস্কির এখন কিছুই করার নেই। বাঁচার জন্য তিনি এই পথে হাঁটলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক শতাব্দী আগের আঞ্চলিক সম্প্রসারণের ঐতিহাসিক নজির রয়েছে। অঞ্চল সম্প্রসারণের জন্য দ্বীপ কেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। ১৮০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের কাছ থেকে লুইজিয়ানা, ১৮৬৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা এবং ১৯১৭ সালে ডেনমার্কের কাছ থেকে ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ কিনে নিয়েছিল। ১৮৬০-এর দশকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্ভাব্য কৌশলগত বিনিয়োগ হিসেবে তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে হ্যারি ট্রুম্যান প্রশাসন গ্রিনল্যান্ড কেনার জন্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি গোপন প্রস্তাব দিলে ডেনমার্ক তা প্রত্যাখ্যান করে।
গ্রিনল্যান্ড, পানামা খাল ও কানাডার মধ্যে মিল হলো যে, এগুলো পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত। এ তিনটি ক্ষেত্রের ওপর বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করার উদ্দেশ্য পশ্চিম গোলার্ধে ট্রাম্পের ক্ষয়িষ্ণু প্রভাব জোরদার করা, এটি স্ফটিকের মতো পরিষ্কার। চীন ও পশ্চিমা পণ্ডিতরা উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড একটি ‘নিউ মনরো ডকট্রিন’ বা ট্রাম্পীয় ‘মনরো ডকট্রিন’-এর অনুরূপ।
এ মতবাদটি প্রায় ২০০ বছর আগ থেকে ১৮২৩ সালে শুরু হয়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেমস মনরো ঘোষণা করেছিলেন, পশ্চিম গোলার্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের একচেটিয়া ক্ষেত্র। কে ভেবেছিল, ২০০ বছরেরও বেশি সময় পরে, একবিংশ শতাব্দীতে শুল্ক এবং আঞ্চলিক অধিগ্রহণের সাথে মনরো ডকট্রিন বৈশ্বিক ক্ষমতার শীর্ষে থাকা একজন প্রেসিডেন্টের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে?
যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান এবং মজুদ সম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো প্রতিরক্ষা কাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বাণিজ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডে অনুপ্রবেশ করেছে এবং ভবিষ্যতে রাশিয়ার সহায়তায় সেখানে তার সামরিক উপস্থিতি প্রসারিত করবে বলে সিদ্ধান্ত রয়েছে। মোটকথা, আর্কটিক সার্কেলের নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন ও রাশিয়ার সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে চান ট্রাম্প। তাদের বিশ্লেষণে আরো বলা হয়েছে- গ্রিনল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘গোলাধীয় প্রতিরক্ষার’ ঐতিহাসিক নীতির উত্তরাধিকার পুনরুদ্ধার করা এবং আর্কটিক অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার আগ্রাসী অগ্রগতি প্রতিহত করতে সহায়ক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সাবেক ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর বব মেনেনডেজের সাথে, ২০২২ সালের প্রথম দিকে পশ্চিম গোলার্ধের সুরক্ষা কৌশল বিল প্রস্তাব করেছিলেন যেখানে উল্লেখ করা হয়, লাতিন আমেরিকায় চীন ও রাশিয়ার প্রভাব মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা স্বার্থের জন্য হুমকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলকে তার বাড়ির উঠোন হিসেবে দেখেছে। তবে চীনও সেখানে তার উপস্থিতি অবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষিত করতে শুরু করেছে। অনেক ল্যাটিন আমেরিকার দেশ প্রধান বাণিজ্য অংশীদার এবং অবকাঠামো বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনকে গ্রহণ করেছে। ২০১৭ সালের মে মাসে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই বছরের নভেম্বরে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে পানামা বিআরআইতে যোগ দেয়। ২০২৪ সালে ব্রাজিলও ‘চীন-ব্রাজিল অভিন্ন ভবিষ্যতের’ ঘোষণা দিয়ে হাত মিলিয়েছে।
গ্রিনল্যান্ড, কানাডা ও পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের আগ্রহ কৌশলগত ও জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ দ্বারা চালিত। তিনি বিশ্বাস করেন, গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণ আর্কটিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদার করবে। গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রহ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ডেনমার্ক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেনসহ ডেনিশ কর্মকর্তারা জোর দিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং এর ভবিষ্যতের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রিনল্যান্ডের জনগণকেই নিতে হবে। ডেনমার্ক ট্রাম্পের উচ্চাকাক্সক্ষা প্রশমিত করতে এবং সঙ্ঘাত এড়াতে তার দলের সাথে ব্যক্তিগত আলোচনাও করেছে। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত নয় এবং দ্বীপটির জনগণকে নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরই নির্ধারণ করতে হবে। ডেনমার্ক নিরাপত্তার কারণে দ্বীপটিতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত থাকলেও তারা যেকোনো ধরনের দখলের বিরুদ্ধে। দেখে মনে হচ্ছে, ডেনমার্ক এই ইস্যুতে তার অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে।
পানামা খাল সম্পর্কে ট্রাম্প যুক্তি দেখান, চীনা প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া উচিত এবং আমেরিকান জাহাজের প্রতি অন্যায্য আচরণ করা হয়েছে তার মোকাবেলা করা উচিত। দ্য ইকোনমিস্ট বলেছে, পানামা খালের চুক্তি ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময় সম্পাদিত হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রক্ষণশীল নেতা ও সাধারণ নাগরিক এ চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে খালটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত আরো রক্ষণশীল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ট্রাম্প শুধু পানামা খালের পুনরুদ্ধারের কথাই বলেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রসঙ্গও তুলেছেন।
এ বিষয়ে ইইউ সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা এসব অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারো জোর দিয়ে বলেন, ইইউ সীমান্তে কোনো হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না এবং সীমান্তের অলঙ্ঘনীয়তার নীতি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডের যেকোনো ধরনের সীমানা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইইউ দৃঢ় থাকবে। সামগ্রিকভাবে, ইইউ এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা তাদের মিত্রদের সমর্থন করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো আগ্রাসী পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখবে। ফ্রান্স সেনা পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
ন্যাটো সদস্যরা সম্মিলিত প্রতিরক্ষার নীতি দ্বারা আবদ্ধ, তারা একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িত হওয়ার পরিবর্তে পরস্পরকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্য শক্তি প্রয়োগ করা গণতন্ত্র, মুক্ত বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মার্কিন প্রস্তাবিত আইনের শাসনের নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ধূলিসাৎ করবে। শক্তিশালী দেশগুলো তাদের প্রভাববলয় সম্প্রসারণের অজুহাত পেয়ে ছোট দেশগুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবে।
ট্রাম্পের চার বছরের শুরু সম্প্রসারণবাদী চিন্তাভাবনা দিয়ে। সমানের বিশ্ব কেমন হবে তা কল্পনা করা কঠিন। ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাককিনলের সাথে মিলে যায়। চুক্তি করে তিনি শুল্ক ৫০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যান। ট্রাম্পও একইভাবে শুল্ককে ব্যবহার করে বিদেশী অর্থে জাতীয় কোষাগার সমৃদ্ধ করার কথা বলছেন। ম্যাককিনলের মতোই ট্রাম্প বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গের মতো বিলিয়নিয়ারদের জন্য বিশেষ আসনের ব্যবস্থা ছিল।
ট্রাম্প ২০২৮ সালে আর নির্বাচন করতে পারবেন না। এর অর্থ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রসারিত করতে এবং নিজের জন্য নাম তৈরি করতে মাত্র চার বছর সময় পাচ্ছেন। ট্রাম্প যদি সফলভাবে গ্রিনল্যান্ড হাত করতে পারেন বা কিনে নেন, বা মাইক্রোনেশিয়া, পালাউ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মতো একটি কমপ্যাক্ট অব ফ্রি অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব দেন, যা গ্রিনল্যান্ডকে সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার অনুমতি দেন তবে অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে, তবে বৈশ্বিক শৃঙ্খলা তুলনামূলকভাবে কম বিঘিœত হবে। ট্রাম্প যে ‘স্বর্ণযুগের’ স্বপ্ন দেখেন, তা হবে প্রকৃতপক্ষে জঙ্গলের আইনে ফিরে যাওয়া।
তার প্রস্থানের পর ট্রাম্পবাদ এবং এর প্রভাব একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করা হবে। ট্রাম্প মহান ছিলেন বলে নয়; বরং গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বলে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা