০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

ভারত কাশ্মির দখল করে রেখেছে

ভারত কাশ্মির দখল করে রেখেছে -

ভারতের জম্মু ও কাশ্মির একটি বিতর্কিত এলাকা, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭ সাল থেকে একটি উত্তপ্ত রাজনৈতিক এবং সামরিক বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু। এই বিরোধের মূল কারণ কাশ্মিরের ভূখণ্ডের প্রতি উভয় দেশের দাবি।
পটভূমি : ১৯৪৭-এর বিভাজন- ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের সময়, জম্মু ও কাশ্মির একটি স্বাধীন দেশ ছিল, যার শাসক ছিলেন হরি সিং। ভারত পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হলেও হরি সিং মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরকে ভারতের সাথে যুক্ত করেন। মহারাজা হরি সিং, পাকিস্তান-সমর্থিত আক্রমণ ঠেকাতে ভারতের কাছে সামরিক সহায়তা চান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু এবং গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন স্পষ্ট করেন, এই সহায়তা কেবল তখনই দেয়া সম্ভব, যদি জম্মু ও কাশ্মির ভারতের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়। এর ফলে, মহারাজা ‘Instrument of Accession’-এ স্বাক্ষর করেন, যা জম্মু ও কাশ্মিরকে ভারতের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করে। ভারতে যোগদানের এই দলিলের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত : কেবল তিনটি বিষয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে- প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও যোগাযোগ। বাকি সব বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মির স্বায়ত্তশাসিত ছিল, যা ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫(এ)-এর মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছিল। কাশ্মির ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল, যা ২০১৯ সালে বাতিল করা হয়।
ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ : ১৯৪৭-৪৮ সালে প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে কাশ্মিরের একটি অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় (আজাদ কাশ্মির ও গিলগিট-বালতিস্তান) এবং বাকিটা ভারতের দখলে রয়ে যায়। ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে পরাজয় ঠেকাতে জাতিসঙ্ঘে যায় এবং কূটকৌশলে গণভোট চায়।
১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতি লাইন (আজকের লাইন অব কন্ট্রোল বা LoC) নির্ধারণ করা হয়, যা ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মধ্যে সীমানা তৈরি করে।
জাতিসঙ্ঘের ভূমিকা : জাতিসঙ্ঘ এই সঙ্কট সমাধানের জন্য গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে কাশ্মিরের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। ভারত তখন রাজি থাকলেও পরে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণভোট থেকে সরে যায়।
পাকিস্তানের অবস্থান : পাকিস্তান কাশ্মিরকে একটি বিরোধপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে দাবি করে এবং ভারতের উপর এটি ‘জবরদখল’ করার অভিযোগ আনে। পাকিস্তান এবং অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কাশ্মিরে ভারতের সামরিক উপস্থিতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাকিস্তানের অবস্থান কাশ্মিরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি গণভোটের উপর ভিত্তি করে।
পাকিস্তানের মূল দাবি : জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবনা- পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবনা (১৯৪৮ ও ১৯৪৯) অনুযায়ী গণভোটের দাবি করে। তাদের মতে, জম্মু ও কাশ্মিরের জনগণকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত যে, তারা ভারত, পাকিস্তান বা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ : পাকিস্তান কাশ্মিরে ভারতের সামরিক উপস্থিতি ও সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা বলে, ভারতের সেনাবাহিনী কাশ্মিরে অত্যাচার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
কাশ্মিরি জনগণের স্বাধীনতার সমর্থন : পাকিস্তান কাশ্মিরি জনগণের ‘স্বাধীনতা আন্দোলন’ সমর্থন করে এবং এটিকে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ হিসেবে তুলে ধরে। তবে ভারত এই আন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং বলে যে, পাকিস্তান এই অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রমে মদদ দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা : পাকিস্তান কাশ্মির ইস্যুটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরে, বিশেষ করে জাতিসঙ্ঘ, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাশ্মিরে ভারতের সামরিক উপস্থিতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের দমননীতি সম্পর্কে অভিযোগ : সামরিক উপস্থিতি- জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতের একটি বড় সামরিক বাহিনী রয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিকীকৃত অঞ্চলগুলোর একটি। স্থানীয় জনগণের মতে, সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ও কার্যক্রম তাদের দৈনন্দিন জীবনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্নকরণ : ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর, কাশ্মিরে দীর্ঘ সময়ের জন্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়। এটি আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় ও দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হয়, যা মানুষের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলে।
গণগ্রেফতার : কাশ্মিরে বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী ও সাধারণ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেককে জম্মু ও কাশ্মির জননিরাপত্তা আইনের (PSA) অধীনে আটক করা হয়েছে, যা বিচার ছাড়াই দীর্ঘ সময়ের জন্য কাউকে আটক করার অনুমতি দেয়। কাশ্মিরে জম্মু ও কাশ্মির জননিরাপত্তা আইন ব্যবহারের বিষয়টি ব্যাপক বিতর্কিত ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত। এই আইনটি প্রাথমিকভাবে ১৯৭৮ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল, কিন্তু কাশ্মিরের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
রাজনৈতিক নিপীড়ন : স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রায়ই চাপে রাখা হয় এবং স্বাধীন মতামত প্রকাশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় জনগণের মনে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রধান অভিযোগসমূহ : বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড- কাশ্মিরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তাবাহিনী প্রায়ই ‘মিলিট্যান্ট’ বা ‘সন্ত্রাসী’ সন্দেহে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হত্যা করেছে, যা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ ছাড়াই ঘটে। স্থানীয় জনগণের দাবি, অনেক সাধারণ নাগরিকও এর শিকার হয়েছে।
গুম : অনেক মানুষকে আটক করার পরে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ধরনের গুমের ঘটনা কাশ্মিরের পরিবারগুলোর মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর মতে, এগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে।
গণধর্ষণ : কাশ্মিরে কিছু ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ১৯৯১ সালের কুনান পোষপোরা গণধর্ষণের ঘটনা অন্যতম, যা আন্তর্জাতিক সমালোচনা কুড়িয়েছিল। নারীদের উপর যৌন সহিংসতাকে প্রায়ই যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
প্যালেট গানের ব্যবহার : প্যালেট গান কাশ্মিরে বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হয়। এই অস্ত্রের কারণে হাজার হাজার মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। শিশুসহ অনেকেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে প্যালেট গানের ব্যাপক ব্যবহার হয়, যা আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রতিবেদন : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘Losing Sight in Kashmir’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে প্যালেট গানের শিকারদের জীবনের ওপর এর প্রভাব তুলে ধরা হয়। সংস্থাটি প্যালেট গান নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ : সংস্থাটি কাশ্মিরে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের বিষয়ে ভারত সরকারকে জবাবদিহির আহ্বান জানিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি করেছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল : জাতিসঙ্ঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো PSA-কে একটি ‘কঠোর আইন’ (Draconian Law) বলে অভিহিত করেছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের লঙ্ঘন হিসেবে দেখেছে। ২০১৮ সালের এক বিস্তারিত রিপোর্টে কাশ্মিরে প্যালেট গানের ব্যবহার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।
স্বাধীনতা কাশ্মিরিদের মৌলিক অধিকার
কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্নটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও জটিল বিষয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মিরি জনগণের মৌলিক অধিকার, স্বায়ত্তশাসন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ইচ্ছার সাথে সম্পর্কিত।
মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা : আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে, জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার (Right to Self-Determination) একটি মৌলিক মানবাধিকার, যা জাতিসঙ্ঘের সনদে উল্লিখিত। এটি বলতে বোঝায়, একটি জনগোষ্ঠী তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। কাশ্মিরি জনগণের জন্য এই অধিকারকে কেন্দ্র করেই স্বাধীনতার দাবি উঠে এসেছে।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময়, কাশ্মিরের জনগণ একটি গণভোটের (Plebiscite) প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল, যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
সংস্কৃতি ও পরিচয় রক্ষার দাবি : কাশ্মিরি জনগণ তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মীয় পরিচয় রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। অনেকের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা তাদের স্বাতন্ত্র ক্ষুণœ করছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ : বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ধর্ষণ ও সামরিক দমননীতির শিকার হয়ে কাশ্মিরি জনগণ স্বাধীনতার দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। তারা মনে করেন, স্বাধীনতা ছাড়া এই নিপীড়ন বন্ধ হবে না।
আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘের অবস্থান : আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার- জাতিসঙ্ঘের ১৯৬৬ সালের আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তি (ICCPR) এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তিতে (ICESCR) আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে কাশ্মির ইস্যুতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব পাস করেছিল, যা আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
উপসংহার : কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবি একটি মৌলিক মানবাধিকারের প্রশ্ন হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে আলোচিত। কাশ্মিরের জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণভোটের প্রতিশ্রুতি আজো বাস্তবায়িত হয়নি এবং কাশ্মির একটি দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে।
আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং ভারত-পাকিস্তানের সহযোগিতা প্রয়োজন। শান্তিপূর্ণ আলোচনাই হতে পারে এই জটিল সমস্যার একমাত্র টেকসই সমাধান।
লেখক : সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, এসআইপিজি, নর্থ-সাউথ ইউনিভর্সিটি


আরো সংবাদ



premium cement