স্মরণ: ড. খসরুজ্জামান চৌধুরী
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কথা সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং এক সময়ের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও সুদক্ষ প্রশাসক ড. খসরুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০১৩ সালের এদিনে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ব্যাটন রুজ শহরের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ তাকে মরণোত্তরভাবে ভূষিত করেছে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে। ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগঠক হিসেবে সাহসী ও অনন্য ভূমিকা রাখায় তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মরহুম খসরুজ্জামান চৌধুরীর জন্ম সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে। তার কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষাজীবনের পর কর্মজীবন ছিল বর্ণাঢ্য ও সমৃদ্ধ। ১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ’৭১-এ কিশোরগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতার পরপরই নিযুক্ত হন ময়মনসিংহের প্রথম জেলা প্রশাসক। তখন ময়মনসিংহ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে খসরুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং লুইসিয়ানার সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স এবং পাবলিক পলিসি বিষয়ে বহু বছর অধ্যাপনা করেছিলেন। মরহুম চৌধুরী ছিলেন বাংলা ও ইংরেজি ভাষার সুলেখক। অর্থনীতি বিষয় ছাড়াও তার লেখা ছোটগল্প, কবিতা, ছড়া, দেশভ্রমণ, কৌতুক প্রভৃতি দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার বইয়ের পাশাপাশি তাহমিনা জামানের সাথে যৌথভাবেও বই বেরিয়েছে। এই নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক এবং বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষটি মৃত্যুর সময় স্ত্রী অধ্যাপিকা তাহমিনা জামান, একমাত্র ছেলে সাঈদ চৌধুরী, একমাত্র মেয়ে সামিনা করিম এবং জামাতা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনী ও অনেক শুভার্থী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, নয়া দিগন্তে মরহুম চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথার অংশবিশেষ এবং ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা