৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

ট্রাম্প পর্ব কেমন হবে

-

ডোনাল্ড ট্রাম্প (৭৮) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো অভিষিক্ত হলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এর আগে ২০১৬ সালেও ট্রাম্প নারী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে আলোচিত হন। আগেরবার তার বিদায়টি ভালো যায়নি। খোদ তার দল রিপাবলিকানরা তাকে কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি ৫০ জন রিপাবলিকান এক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে আমেরিকার সবচেয়ে ‘বেপরোয়া প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ইরেক্টোরাল ও পপুলার ভোটে বিস্ময়কর সংখ্যাধিক্য নিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে কুপোকাত করেন। ইলেক্টোরাল ভোট ট্রাম্প ৫৫.৮ শতাংশ (২৯৫টি) কমলা ৪৭.৫ শতাংশ (২২৬টি) পেয়েছেন। অন্য দিকে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও রিপাবলিকানদের জয়জয়কার। সেখানে ৫২টি রিপাবলিকান এবং ৪৩টি আসন ডেমোক্র্যাটরা লাভ করেছেন।
কাজেই বলা যায়, বিশ্বের এক নম্বর শক্তিশালী দেশের এখন সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তিটি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প আবার ফিরে আসবেন আমেরিকার ক্ষমতার শীর্ষদেশে- এটি ছিল অকল্পনীয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ব্যবসায়ী। গোড়ায় রাজনীতিতে সংশ্রব ছিল না।
ট্রাম্প ‘প্লেøবয়’ বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পছন্দ করেন। সবসময় থাকতে চান আলোচনায়-চরিত্রে। নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বের চলমান দুু’টি যুদ্ধ সম্পর্কে তার অভিমত ছিল- অভিষিক্ত হওয়ার আগেই গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে। আর অভিষিক্ত হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধও বন্ধ করা হবে। তার কথায় সদিচ্ছা থাকার প্রমাণ মেলে ফিলিস্তিনে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায়। আশা করা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও অবসান ঘটবে ট্রাম্পের উদ্যোগে। ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা পুতিনের ভুল সিদ্ধান্ত। এতে রাশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ট্রাম্প সবচেয়ে বড় কথা বলেছেন, বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে, তিনি তা থামাতে উদ্যোগ নেবেন।
স্মরণ করা যেতে পারে, সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ (১৯৩১-২০২২) টাইম ম্যাগাজিনে (২০১৭) এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বব্যাপী রাজনীতিকরণ ও নতুন অস্ত্রপ্রতিযোগিতার মুখে পরমাণু যুদ্ধের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আমেরিকার ক্ষমতা বদলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পরিস্থিতির একটি নিবিড় সম্বন্ধ লক্ষণীয়। জো বাইডেনের যুদ্ধবাজনীতি মার্কিনিরা পছন্দ করেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতি পছন্দ করেনি। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার (পোড়ামাটি নীতি) প্রতিবাদ করেছে আমেরিকার সাধারণ জনগণ। বন্ধ করতে বলেছে ইসরাইলকে অস্ত্র সাহায্য দান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিøংকেনকে ডেমোক্র্যাটদের সভায় ‘দুয়ো দুয়ো’ শুনতে হয়েছে। অবশ্য জো এবং ব্লিøংকেন উভয়েই জাতে ইহুদি বলেই ইসরাইলের নৃশংসতা গায়ে মাখেননি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প কেমন হবেন বিশ্বের জন্য- কেমন হবে তার দ্বিতীয় ইনিংস? একটু দেখার চেষ্টা করা যেতে পারে। ট্রাম্প সম্পর্কে আপাতদৃষ্টিতে এমন ধারণা জন্মে যে, তিনি পাগলাটে স্বভাবের। মোটেও তা নয়, ইতোমধ্যে কানাডাকে ৫১তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, গ্রিনল্যান্ড ক্রয় করার বাসনা পুনর্ব্যক্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাথে সম্পর্ক আলগা করার নীতি (অর্থ বরাদ্দ হ্রাস), ন্যাটোর ব্যাপারেও একই নীতি গ্রহণ (ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে আর্থিক অংশগ্রহণ হ্রাস), পানামা খাল দখলের নির্বাহী আদেশ জারি, জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসা, ইরানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, চীনের ব্যাপারে বিগত সময়ে যে নীতি ট্রাম্প গ্রহণ করেছিলেন এবার ক্ষমতায় এসেও একই অবস্থান ধরে রাখবেন। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশংসিত ট্রাম্প পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সেটেলারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইসরাইলপ্রীতিই প্রমাণ করলেন।
ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে চরম ডানপন্থী ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের ওপর সাবেক বাইডেন প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প অভিবাসনসংক্রান্ত আইনেও পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-খণ্ডে জন্মগ্রহণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটির নাগরিকত্বপ্রাপ্তির যে আইন বা বিধি এতদিন প্রচলিত ছিল, তা বাতিল হতে যাচ্ছে। তার স্থলে নাগরিকত্ব দেয়া হবে যাদের বাবা কিংবা মা অর্থাৎ অন্তত একজন অভিভাবকের মার্কিন নাগরিকত্ব বা দেশটিতে বসবাসের বৈধ অনুমোদন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনসংক্রান্ত আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের এ নির্দেশনা মার্কিন সংবিধানবিরোধী। এ নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সরাসরি লঙ্ঘন।

চীনের সাথে বিরোধে জড়াবে
চীন বিশ্বের একনম্বর অর্থনৈতিক শক্তি। ভয়াবহ করোনার ছোবলে যখন গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থা তখনো চীন তার প্রবৃদ্ধি ৬.১ ধরে রাখতে সমর্থ হয়। চীনকে দুর্বল করতে ট্রাম্প শুল্ক আরোপ বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে। নির্বাচনী সময়ে ট্রাম্প ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি ছিল; কিন্তু চীনও অনুরূপভাবে আমেরিকার পণ্যের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
সম্প্রতি চীন ধীরগতির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করার কথা ভাবছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসায় আবারো চীন কোপানলে পড়তে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, চীনকে একটি প্রযুক্তিগত পরাশক্তিতে পরিণত করা। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ক্ষমতারোহণ এখন তার ওই পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এলেন, তখন তিনি চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন।

জাতিসঙ্ঘের উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসঙ্ঘ বলেছে, ‘উদ্বেগ বোধ করছে ট্রাম্পের বিজয়ে’। এ উদ্বেগের কারণ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বিশ্বের বৃহত্তম এই সংস্থাটির প্রতি তার ও তার প্রশাসনের অসহযোগিতামূলক মনোভাব।
জাতিসঙ্ঘের একজন এশীয় কূটনীতিক বলেছেন, অতীত রেকর্ড যদি পুনর্বিবেচনা করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্টকে নিয়ে জাতিসঙ্ঘের উদ্বেগের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক
বিগত সরকারের আমলে মানবাধিকারসংক্রান্ত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘শীতল’ যাচ্ছিল। পুলিশ ও র্যা বের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসার ব্যাপারে কঠোর নীতি ঘোষণার মাধ্যমে এই শীতলতার প্রকাশ ঘটে। এ ছাড়া শ্রমিকের অধিকারসংক্রান্ত সংস্কারমূলক প্রস্তাবের শর্ত জুড়ে দিয়ে এর আগের জিএসপি-সুবিধা প্রত্যাহার করাও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়।
কিন্তু বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগমনে নতুন পরিস্থিতি দেখা দেয়। সদ্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিয়ম ভঙ্গ করে ইউনূসের সাথে বৈঠক করা কূটনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু সে তো বিগত প্রেসিডেন্টের সময়কার ঘটনা। সে ছিল ডেমোক্র্যাট দলের আমল।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী দাঁড়াবে তা নিয়ে আছে সংশয়। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের ওপর রাতারাতি কোনো প্রভাব না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদি গিয়ে পড়বে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় নভেম্বর মাসেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন বার্তা পাঠান। তিনি বার্তায় বলেন, ‘দু’দেশের অংশীদারত্ব আরো জোরদার করতে ও টেকসই উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করতে উন্মুখ রয়েছে।’
মনে করা হয়, ট্রাম্পের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে তথা রিপাবলিকানদের সাথে ভারতের বোঝাপড়া ভালো। কিন্তু ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে মোদিকে দাওয়াত না করায় ভিন্ন মেসেজও পাওয়া যায়।
ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সাথে বাংলাদেশের বিষয়টি আগে জড়িত ছিল। এখন না। আমেরিকা আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যাপারে নীতির পরিবর্তন এনেছে। আগে ভারতের মুখ দিয়ে ঝাল বুঝতে চাইতো যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্পের বিগত আমলেই এ নীতি পরিত্যক্ত হয়। এশীয় নীতির আলোকে ট্রাম্প চীন, ভারত ও বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক সরাসরি সম্পর্ক রক্ষা করবে বলে ধারণা। বিগত আমলে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমরা এবার এশিয়ার দিকে নজর দিতে চাই।’ সেভাবে তিনি সফর শুরু করেছিলেন; কিন্তু ‘কাতার সঙ্কট’ দেখা দেয়ায় ট্রাম্প সফর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেন। ভূ-রাজনীতির পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব বেড়েছে। আমেরিকা এখন বাংলাদেশকে আলাদা মানচিত্র হিসেবেই গুরুত্ব দেয়।

সর্বশেষ
বিশ্বের ভূ-রাজনীতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমেরিকা একক সুপার পাওয়ার হিসেবে বিশ্বকে শাসন করার যে দীর্ঘ ২৫ বছর মওকা পেয়েছিল, তা বাতিল বলে গণ্য। এখন দৃশ্যপটে রাশিয়া পরিপূর্ণ শক্তি ও কর্তৃত্ব নিয়ে উপস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব ইতোমধ্যে খর্ব হয়েছে। হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি, ইরানের সাথে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি নয়া পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধও যে বেশিদূর গড়াতে পারবে না তাও স্পষ্টতর হচ্ছে। এতে রাশিয়াই সুবিধা পাবে বেশি। চীন অনেক আগেই ইরানের সাথে ২৫ বছরের প্রতিরক্ষাচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার চরম শত্রু ইরান ‘নয়া প্লেয়ার’ হিসেবে আবির্র্ভূত। ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে চীনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, চীনের সাথে কথা বলবেন।
ট্রাম্প চীন ও ভারত সফরের কথাও ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনের আগে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ করারোপ করার কথা বললেও ট্রাম্প ১০ শতাংশ করের কথা ঘোষণা করেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এবারের ট্রাম্প অনেক অভিজ্ঞ, ধীরস্থির, দূরদর্শী এবং মানবিক গুণাবলির অধিকারী এক বিশ্বনেতার চারিত্র্য নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসীন।


আরো সংবাদ



premium cement
আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অসহযোগিতা, ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ গল টেস্টে অজিদের দাপট, স্টার্কের বিশেষ অর্জন পিরোজপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ৫ মাস পর মামুনের লাশ উত্তোলন আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমা গাজীপুরে গিভেন্সী গ্রুপের কারখানায় আগুন, ৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ভুয়া জামিননামায় মুক্তি পেলেন ৪ মাদক আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ বিএনপি নেতার আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তির আবেদন করিনি, মুচলেকা দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি : আমান আযমী আরব আমিরাতে শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে সরিষাবাড়ীতে জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৭ সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননাকারী ব্যক্তি গুলিতে নিহত

সকল