খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন
- ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:১৮, আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:২১
তিন মাসের চুক্তিতে কলেজ মাঠে রাস্তার নির্মাণসামগ্রী রেখে প্রায় এক বছরেও তা না সরানোয় বিপাকে পড়েছে খাগড়াছড়ির ভাইবোন ছড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে কলেজের ভবন নির্মাণসহ শিক্ষার পরিবেশ। আর শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। একটি সহযোগী দৈনিকের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক মেরামতের কাজ পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন। একটি ডিজিটাল প্রজেক্টর, অটোবির একটি ডেক্সটপ টেবিল ও কম্পিউটার অথবা দুই লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার শর্তে তিন মাসের চুক্তিতে ভাইবোন ছড়া কলেজ মাঠটি ভাড়া নেয় আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাস্তা মেরামতের বালু, পাথর, জেনারেটর, বিটুমিন ট্যাংক, কন্ট্রোল রুম, ডিজেল ট্যাংক, টায়ার সোলড, পেলোডার, গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কলেজ মাঠে রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তিন মাসের স্থলে ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও কলেজ মাঠে রাখা ওই নির্মাণসামগ্রীগুলো সরিয়ে না নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কলেজ মাঠ থেকে রাস্তার নির্মাণসামগ্রীগুলো না নেয়ায় সরকারি বরাদ্দে পাওয়া একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ কলেজের শীতকালীন খেলাধুলা ও মাঠভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলো করতে পারছেন না তারা। এতে কলেজের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। তাই নির্মাণসামগ্রীগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান তারা। কলেজের অধ্যক্ষ সুবিনয় চাকমা জানান, তিন মাসের চুক্তি করার পর ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণসামগ্রীগুলো সরিয়ে নেয়নি। এই সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য বারবার বলা হয়েছে। কলেজ মাঠে এই নির্মাণসামগ্রীগুলো থাকার কারণে কলেজে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অসুবিধা হচ্ছে। এজন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ও ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা বলেন, মূলত খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কে চলাচলকারী জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে কলেজ মাঠটি তিন মাসের জন্য চুক্তিতে ভাড়া দেয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক বছরের কাছাকাছি সময়েও কাজটি না করে কলেজ মাঠটি অকেজো করে রেখে দিয়েছে। এ কারণে কলেজ শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। এ ছাড়া সরকারিভাবে পাওয়া কলেজ ভবনও করা যাচ্ছে না।’ দ্রুত এগুলো সরিয়ে না নিলে কলেজের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
কলেজ মাঠে নির্মাণসামগ্রী এক বছর থাকার ফলে খেলাধুলা বন্ধ। এভাবে চলে না। শিক্ষার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত খেলাধুলা। শিক্ষার্থীদের এ থেকে বঞ্চিত করে ভালো কিছু আশা করা যায় না। খেলাধুলা এক বছর বন্ধ থাকা সহজ কথা নয়। এভাবে স্বাস্থ্যবান নাগরিক গড়ে উঠতে পারে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতো আমরাও এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা