০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`
অদৃশ্য-দৃশ্যাবলী

এবার হাতছাড়া হলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

-

সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এতে পক্ষগুলোর মধ্যে ঐক্যের ক্ষতি হতে পারে ভেবে অনেকেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছেন। তবে এমন আলোচনা-পর্যালোচনায় মতপার্থক্য বা দ্বিমত নিয়ে খুব হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জটিল বা সহজ যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনা-পর্যালোচনার অর্থ হচ্ছে, বিষয়টি ইতিবাচক ধারায় আছে। কেননা তর্কবিতর্কের মধ্যে দিয়েই সঠিক পথ-পন্থা ও সম্মিলিত সিদ্ধান্তটা বেরিয়ে আসে। তখন আর কোনো নতুন বিতর্কের অবকাশ থাকে না। তা ছাড়া এমন আলোচনা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছতে পারে। তা থেকে দেশবাসীর মধ্যেও মতামত তৈরি হয়। তবে এটা ঠিক অকারণে কোনো বিতর্ক-বিতণ্ডা অনভিপ্রেত। কেননা এমন কিছু ঘটলে বিভক্তি, বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের বিতর্ক অনেকসময় উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে। বিশেষ করে দেশ ও জাতির কোনো সন্ধিক্ষণে কোনো কুতর্কই সরলভাবে নিতে হয় না, নেয়া উচিত না।
জাতীয় যে বিষয়গুলো নিয়ে এখন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী মহলে এমনকি সাধারণের মধ্যেও প্রাণবন্ত আলোচনা হচ্ছে, তার অন্যতম একটি হলো আগে সংস্কার না নির্বাচন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবপরবর্তী সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার করার প্রয়োজন বলে চিহ্নিত করেছে। এর অনেকগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কতগুলো কমিশন গঠন করে দিয়েছে। এসব কমিশন সংশ্লিষ্ট শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ শেষে তাদের রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করবে। এসব কমিশনের অনেকগুলো রিপোর্ট তৈরির প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে অংশীজনদের যে মতামত এখন বাতাসে ভাসছে, তাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- এই তর্কে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই মনে করেন, সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারো অভিমত, সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সমান্তরালভাবে চলুক। কারো মতে, সামান্য কিছু সংস্কার করেই নির্বাচনে যাওয়া উচিত। আবার কারো মত হচ্ছে, সংসদে বসে আমরা সংস্কার করব। এসব মতামত সম্পর্কে কোনো ফয়সালা দেয়া আমাদের জন্য ঠিক হবে না, তবে আলোচনা হতে পারে।
সবারই জানা, নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। সে কমিশনের কাজের অগ্রগতিও আছে বলে শোনা গেছে। তবে তাদের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। সে কারণে এ বিষয় নিয়ে সবারই সতর্কভাবে কথা বলা উচিত। কেননা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে কোনো নির্বাচনই হয়নি। অথচ বাংলাদেশ নির্বাচনপ্রেমিক এক দেশ। কিন্তু আবার নীরব থাকাও ঠিক হবে না। যা-ই হোক, যারা মনে করেন, প্রথমে সংস্কার করতে হবে, পরে নির্বাচন তাদের কথায় সারবত্তা নেই, এমন ভাবনা সঠিক নয়। কেননা গত তিন তিনটি নির্বাচন নিয়ে যে ক্যারিকেচার হয়েছে, সেসব ছিল অভূতপূর্ব। পতিত লীগ সরকার বিগত দিনে কার্যত নির্বাচনের সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিয়েছিল। অথচ নির্বাচনের নতুন সংজ্ঞা ও নয়া বয়ান দেয়ার বিষয় অর্থহীন। নির্বাচনের সঠিক সংজ্ঞা বহুকাল থেকে স্থিরীকৃত।
যেমন- ওই সব ‘নির্বাচন’ সম্পর্কে পতিত সরকারের বয়ান ছিল, আমাদের নির্বাচন আমাদের মতোই হবে। এমন বচনের ইঙ্গিতটা হচ্ছে- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর মতো নির্বাচনই তারা চান। অথচ ওই সব নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে কেউই নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। সবাই মনে করে, সেগুলো নিছক সিলেকশন ছিল, ইলেকশন নয়। পতিত সরকারের স্বার্থের জন্য অনুকূল ছিল তথাকথিত সেসব ‘নির্বাচন’। তাদের সিলেকশনকেই নির্বাচন কমিশন ইলেকটেড বলে বৈধতা দিয়েছিল। এমন সিলেকশন-ব্যবস্থা জারি রাখতে সবরকম ব্যবস্থা করেছিল লীগ সরকার। অর্থাৎ নির্বাচনী ম্যাকানিজমকে সঠিকভাবে সাজানো হয়েছিল। ওই তিন নির্বাচনকে তিন নামে অভিহিত করা হয়। যেমন- ভোটারবিহীন নির্বাচন, নৈশভোটের নির্বাচন এবং আমি, ডামির নির্বাচন- যেগুলো মূলত ছিল কেবল লোক দেখানো প্রহসন ও ক্ষমতাকে নবায়নের অবৈধ প্রক্রিয়ামাত্র। তথাকথিত ওই সব ক’টি নির্বাচনই ছিল কেবল পতিত লীগের জন্য, জনগণের জন্য নয়। এখন দরকার মানুষের জন্য নির্বাচন। তেমন নির্বাচনের জন্যই কমিশন গঠন, বর্ণিত সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা দূর করে, অংশগ্রহণমূলক নির্র্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ তথা সংস্কার সম্পন্ন করা ভিন্ন দ্বিতীয় বিকল্প নেই। বিশেষ করে ভালো নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে, বহু প্রত্যাশিত নির্বাচন অর্থহীন হবে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নতুন করে চরদখল, বাজারদখল, বালুমহাল দখল পুনর্দখল ঠেকাতে নাস্তানাবুদ। আবার যদি লীগের আমলের মতো করে নির্বাচনের কেন্দ্র দখল, বুথ দখল চলে, তবে সেটি রোখা হবে কিভাবে? ভুলে গেলে চলবে না, আগের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন মানুষ আর গ্রহণ করতে রাজি নয়। সে নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
যারা বলছেন, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একসাথে চালাতে হবে, এই অভিমত নিঃসন্দেহে মন্দের ভালো বলা চলে। আবার কারো কারো মতে কিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে হবে। ‘এমন হাফডান’ বা ‘হাফ হার্টেড’ অর্থাৎ অসম্পূর্ণতা রেখে কোনো সুফল পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচনে গেলে, সমস্যা জটিল হওয়ার আশঙ্কা বেশি। গত ১৫ বছরে নির্বাচনের পথটাকে যতটা কণ্টকাকীর্ণ করা হয়েছে, সে পথ সংস্কার করার আগে নির্বাচনের সড়কে চলতে শুরু করলে বিঘœ ঘটার আশঙ্কা থাকে শতভাগ। নির্বাচনে যেসব আইনকানুন রয়েছে, সেগুলোর পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য কিছু সময় তো দিতেই হবে। তা ছাড়া নির্বাচন সংস্কার সম্পর্কিত যে কমিশন গঠিত হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ আসবে, সেগুলোও বিবেচনায় নেয়া জরুরি। তাই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার জন্যও কিছু সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে। সব চেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, যারা বলছেন আমরা সংসদে গিয়ে সব সংস্কার করব, তাদের এ কথার অর্থ কী, পরিপ্রেক্ষিত কী এমন প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক। যারা এমন কথা বলছেন, তাদের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয়, কে আপনাদের এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারাই নিশ্চিত বিজয়ী হবেন অথবা জনগণ আপনাদের নির্বাচিত করতে বাধ্য হবে। সত্যিকার নির্বাচনে জয়-পরাজয় ঘিরে একটা প্রোবাবিলিটি বা সম্ভাবনা থাকে। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কোনো অ্যাসিউরেন্স (নিশ্চয়তা) থাকলে, সেটি তখন আর ইলেকশন থাকে না। সিলেকশন হয়ে ওঠে, যেমনটা পতিত লীগ করেছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেয়া হয় আপনারা বিজয়ী হবেন এবং সংসদে গিয়ে সংস্কার করবেন, তাহলেও কথা থেকে যায়। তখন সেই সংস্কার হতে পারে একান্ত দলীয় দৃষ্টিকোণভিত্তিক সংস্কার। সেই সংস্কার তখন সর্বজনীন হবে কি না তার নিশ্চয়তা কোথায়। জাতি সেটি নিয়ে সন্তুষ্ট হবে কি? এখানেও অনিশ্চয়তা। বরং নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার কমিশনে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সব দলই মতামত দিয়েছে। সেখানে নির্বাচন বিষয়ে বৃহত্তর ঐক্য তৈরি হবে। সবার কাছে সে সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে।
সম্প্রতি (২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪) সুজনের এক আলোচনা অনুষ্ঠানের বক্তব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন জাতীয় এক দৈনিকে (প্রথম আলো) প্রকাশিত হয়েছে। সে আলোচনার সারকথা এটাই যে, রাজনৈতিক দলগুলো এখন যত কথাই বলুক না কেন, ক্ষমতায় গেলে তারা হয়তো আবার বদলে যেতে পারে। নির্বাচন সংস্কারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, অর্থনৈতিক অপরাধ করেছে, ফৌজদারি অপরাধ করেছে, তাদের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আবার কখনো যেন স্বৈরাচার ফিরে না আসে, সে জন্য সংস্কার অপরিহার্য। অনেকেই ইতোমধ্যে এটি ভুলে গেছেন। কেউ কেউ মনে করেছেন, সংস্কার নির্বাচনের পরে করতে হবে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ যাতে আর ফিরে না আসে, সে জন্য গভীর সংস্কার এ মুহূর্তেই অপরিহার্য। অতীতে সবসময়ই, নির্বাচনের আগে প্রতিটি দল নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে তারা কী কী করবেন তার একটা ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। বাস্তবে দেখা যায়, পরে তারা অনেক কিছুই ভুলে যান, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। যেমন- ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিন তিনটি ‘নির্বাচনে’ আওয়ামী লীগ যেসব নির্বাচনী ওয়াদা করেছিল তার ধারেকাছেও তারা ছিল না। তার দু-একটির উদাহরণ হচ্ছে, ওই তিন নির্বাচনী ইশতেহারে প্রায় একই ধরনের প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এর অর্থ হলো, ওই সব কর্মসূচি তারা আগের মেয়াদে বাস্তবায়ন বা কার্যকর করতে পারেনি অথবা করেনি। যেমন- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি তারা কখনোই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ২০১৮ সালের ইশতেহারে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা হবে এবং সংবিধান হবে রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ দলিল। এসব কি একটা ভাঁওতাবাজি নয়? ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল, তারা নির্বাচন কমিশনকে বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছেন এবং এটি কোনোভাবেই সরকারের মুখাপেক্ষী হবে না। এসব নিয়ে দেশের মানুষের অভিজ্ঞতা কতটা বিপরীত ছিল তা সবার দেখা। এক কথায় বলতে গেলে, ওই সব ছিল ভুয়া অঙ্গীকার, আসলে অর্থহীন প্রলাপ। নির্বাচন কমিশন প্রশ্নে লীগ কতটা হিপোক্র্যাসি করেছে, গোটা দেশ সেটি দেখেছে। মানবাধিকার, আইনের শাসন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা কায়েম ইত্যাদি প্রতিশ্রুতির নামে লীগ সরকার জনগণের সাথে কেবল ভণ্ডামি আর প্রতারণাই করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করা ছিল লীগ সরকারের প্রতিদিন রুটিনমাফিক কাজ। ২০১৮ সালের ইশতেহারে দলটি বলেছিল, প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় ও সাহায্য-সহায়তা লাভের সুযোগ সুবিধা অবারিত করা হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এই বক্তব্য কতটা প্রতারণা ছিল, সেটি বুঝতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
২০০১ এর অক্টোবরের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ঢাকায় বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
যাতে ৩০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার করা হয় যেগুলো ক্ষমতায় গেলে বাস্তবায়নের কথা ছিল। এর মধ্যে ছিল সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০০ করা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। যেমন- ৫০০ আসনের সংসদ করা হয়নি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের সম্পদের হিসাব দেয়া হয়নি, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ করা হয়নি, রাষ্ট্রায়ত্ত রেডিও-টিভির স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়নি, স্থায়ী পে-কমিশন করা হয়নি, গঙ্গার পানিচুক্তি পরিবর্তনের চেষ্টা হয়নি, ইন্টারনেট ভিলেজ হয়নি, সবার জন্য বিদ্যুৎ হয়নি, সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণও হয়নি।
এটাই সত্য যে, গত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই জাতির মৌলিক কোনো সমস্যার সুরাহা করতে পারেনি। বারবার মানুষ সংস্কার নিয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এবার সে সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ হাতছাড়া হলে, সামনে থাকবে কেবলই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement