রাজনীতির খেলা
- মীযানুল করীম
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা যৌক্তিক সংস্কারের কথা বলেছি কিন্তু নির্বাচনের জন্য সরকারকে কোনো সময় বেঁধে দেইনি।’ তিনি জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মতো ভারী কথা বলা পছন্দ করেন; এ জন্য অনেকে ডা: শফিকুর রহমানকে পছন্দ করেন। তার দল জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বৃহত্তম মিত্র সংগঠন। তারা সংস্কারকে ‘যৌক্তিক’ বলে সময় বেঁধে দিয়েছে কিন্তু নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দেয়নি বলেছে। কিন্তু নির্বাচন কখন হতে হবে, তা বলছে না। এ দিকে সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা বলেছেন, সামনের বছর নির্বাচন হবে। এর আগে তারা নাকি সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করবেন।
বিএনপি এতেও সন্তুষ্ট নয়। তারা সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের ঘোষণা চায়। এ কথায় তারা কী বোঝাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। তারা ও আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে, ততই তাদের লাভ। তারা নির্বাচনে ভালো করবে, যদি তাড়াতাড়ি হয়। একবার মনে হয়, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে। আবার তারা সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে মনে হচ্ছে। বিএনপি সরকারের সাথে ব্যালান্স করে চলতে চায়। সরকারের প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টা বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনের জন্য এতজন প্রাণ দেননি। তারা সংস্কারও চায়।’ সংস্কার চায় না বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে উপদেষ্টারা দায়ী করেছেন। তারা বলেছেন, সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে অনেক আগে হতো। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি সংস্কার চায় বলেই অনেক আগে এর প্রস্তাব দিয়েছে। তারেক রহমান ৩১ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই।’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘আগামী বছর নির্বাচন হতেই হবে’। এ দিকে সরকারের উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে চলেছেন পরোক্ষভাবে হলেও। উপদেষ্টারা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার চাইলে অনেক আগে হয়ে যেত। তারা আন্তরিক ছিল না বলেই সংস্কার হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু মৌলিক সংস্কার আনবে।
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের বাকি কাজ সম্পন্ন করবে। সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনের প্রধানরা সরকারের পক্ষের বলে মনে হচ্ছে। তারা সরকারের সাথে সুর মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার চাইলে এত দিনে তা হয়ে যেত। নুরুল হক নুরের মতো উঠতি নেতারা সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেও আন্দোলনের ছাত্রনেতারা ও বিএনপি-জামায়াতের মতো বড় দল তা হতে দিচ্ছে না। নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের একটি প্রধান ব্যর্থতা হলো, জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ এবং তাদের খুনিদের বিচার না করা।’ সরকার বলছে, ‘এটি ঠিক নয়। আমরা ঠিকই স্বৈরশাসকবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারদের বিপুল অর্থ ব্যয় করে সাহায্য করছি।’ সরকারের উপদেষ্টারা শহীদ পরিবারদের সাহায্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। জনগণ এই বাহাস উপভোগ করছে। এভাবেই রাজনীতি জমে উঠছে ক্রমেই। জনগণের জন্য তা উপভোগ্য হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা