২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সিরিয়ায় আগ্রাসন ও গ্রেটার ইসরাইল

-

ইসরাইল আজ থেকে প্রায় ৫৭ বছর আগে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয়। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরাইল গাজা, পশ্চিমতীর, গোলান মালভূমি ও সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। গোলানে ‘বাফার জোন’-এর কিছু অংশ বাকি ছিল, সেটিও সিরিয়ার পতনের সাথে সাথে দখল হলো। ইসরাইল শত শত মারকাবা ট্যাংক দিয়ে বাফার অংশ দখল করে। বাফার এলাকার রক্ষার দায়িত্বে ছিল শান্তিরক্ষী বাহিনী ও রাশিয়া। বাফার এলাকা দখলে একটি গুলিও খরচ হয়নি ইসরাইলের! অক্টোবর ১৯৭৩ সালের যুদ্ধেও গোলান হাইটে ‘সিরিয়া আরব আর্মি’ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। গোলান হাইটের উঁচু স্থানে ইসরাইলি পতাকা ওড়ানো হলেও সিরিয়া কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। দীর্ঘ অর্ধশত বছরে সিরিয়া, জর্দান ও আরব দেশগুলো গোলান মালভূমি ফিরিয়ে আনতে পারেনি। অধিকন্তু ২০১৯ সালে ২৬ মার্চ, গোলান মালভূমিকে ইসরাইলি ভূখণ্ডের স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি ইসরাইলের জন্য বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিজয়। গোলানের উচ্চভূমির নিয়ন্ত্রণ পাওয়ায় ইসরাইলের সামরিক অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ফলে সিরিয়া, লেবানন, জর্দান ও ইরাকের দিকে আর্টিলারি ও আক্রমণের জন্য একটি সুবিধাজনক স্থানের অধিকারী হলো। ৪০ মাইল দূরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং দক্ষিণ সিরিয়া ও সিরিয়ান সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটি মোক্ষম স্থান।
গোলান হলো সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত প্রায় এক হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার (প্রায় এক হাজার বর্গমাইল) আয়তনের এক পাথুরে মালভূমি। গোলান থেকে পানি প্রবাহিত হয় জর্দান নদীতে। ইসরাইলের পানি সংগ্রহের বড় উৎসও এটি। জায়গাটি উর্বর, এখানে নানা ধরনের ফল ও আঙুরের চাষ হয়। পশুপালন করা হয়। মরু অঞ্চলে বাঁচার জন্য পানি ও তেল দরকার। গোলান হাইট এই দু’টিতে ভরপুর।
১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়া গোলানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ১৯৭৪ সালে দুই দেশ অস্ত্রবিরতিতে সই করে। চুক্তির শর্ত মেনে দু’পক্ষকেই মালভূমির ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি লম্বালম্বি এলাকা ছেড়ে নিজ নিজ বাহিনী সরিয়ে নিতে হয়। সেখানে জাতিসঙ্ঘ নিয়োজিত ‘ডিজএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্স’ মোতায়েন করা হয়। ১৯৮১ সালে ইসরাইল গোলান মালভূমিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ এলাকার পরিধি বড় করে এবং বসতি স্থাপন শুরু করে। ওই এলাকায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব কখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেন। ২০২৪ সালের ইসরাইলি আগ্রাসনেও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সমর্থন দিয়েছেন।
ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র নাজি মোস্তফা জানান, আসাদ গোলান হাইটস ফেরত পাওয়ার জন্য কোনো প্রচেষ্টা চালায়নি। তৎকালীন বাদশাহ হাফিজ আল আসাদের ঘনিষ্ঠজনের বিবৃতি ও আলজাজিরার ধারাবাহিক রিপোর্টে অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদ কুনিয়াত্রা প্রদেশের পতনের ঘোষণা দেন। সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষণে থাকা অসামরিকীকৃত এলাকার একটি পরিত্যক্ত শহর কুনিয়াত্রা। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের সময় ইসরাইলি বাহিনী দখল না করা পর্যন্ত কুনিয়াত্রা দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক কেন্দ্র ছিল। ১৯৭৪ সালে ইসরাইলি প্রত্যাহারের পর শহরটি ফেলে রাখা হয়েছিল। সিরিয়ানরা পুনর্বাসন করেনি। ইসরাইলি সেনারা কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই কুনিয়াত্রায় প্রবেশ করে। এখন জানা যাচ্ছে যে, আসলে গোলান হাইটস ইসরাইলের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। ড. মাহমুদ জামে এই দাবি করছেন। তিনি মরহুম মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের বন্ধু ও কাছের লোক। তিনি আরো দাবি করেন- ইসরাইল হাফিজ আল আসাদ ও তার ভাই রিফাতকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চেক দিয়েছিল। সেই চেক সুইচ ব্যাংকে জমা হয়। ইসরাইল দাবি করে, গোলান হাইটস ইহুদিদের প্রমিজড ল্যান্ডের অংশ। তাই সেখান থেকে সরে যাওয়া বা ১৯৬৭ সালের পূর্ব সীমায় ফেরত যাওয়ার কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সে মানবে না। গোলান মালভূমির বদলে বিত্ত ও ক্ষমতা লাভ ছিল হাফিজের উদ্দেশ্য। বাশার আল আসাদও কি বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করেছেন!
এক ব্যক্তির ক্ষমতায়নের জন্য লাখ লাখ মানুষ আত্মাহুতি দিচ্ছে, গোলান হাতছাড়া হচ্ছে। ওবামা আমল থেকেই বলা হচ্ছিল- ‘জানোয়ার আসাদ’কে যেতে হবে। নিকি হেলিও বলেছিলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আসাদকে যেতে হবে’। মিডিয়া তথ্য ফাঁস করেছে যে, বাশার আল আসাদের ক্ষমতায় থাকার বিনিময়ে ইসরাইল গোলান দখল করবে, সেখানে ট্রাম্প ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করবে। মনে করা হয়েছিল, আসাদ যুগ যুগ ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু সিরিয়া এখন এক মহাশ্মশান!
উত্তর সিরিয়ায় তুর্কি সেফ জোন, যা উত্তর সিরিয়া বাফার জোন নামেও পরিচিত, ২০১৯ সালের আগস্টে সিরিয়া-তুর্কি সীমান্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই অসামরিকীকৃত অঞ্চলটির উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং উত্তর ও পূর্ব সিরিয়ার স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনে তুর্কি আক্রমণ প্রতিরোধ করা। জোনটিতে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এবং তুর্কি ও মার্কিন সেনারা যৌথভাবে টহল দিত। তবে ২০১৯ সালের অক্টোবরে তুর্কি অভিযানের পর এটি ভেঙে পড়ে। তুরস্কের সেনারা ইসরাইলি বাহিনীর মতো ৩০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সমালোচকরা বলেছেন, সিরিয়া যুদ্ধের একটি উদ্দেশ্য হলো দেশটিকে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া। এ কাজের জন্য অধিবাসীদের তাড়ানো দরকার। সে কাজ তো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। লোকজন সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছে। শুধু তুরস্কই প্রায় ৪০ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
তুরস্ক চায় ২০ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তু যারা মূলত আরব তাদের বাফার এলাকায় বসবাস করার ব্যবস্থা করতে। এদের ভেতরে কুর্দি কমান্ডো ও সন্ত্রাসীরা রয়েছে; যারা যেকোনো সময় বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। তুরস্কের ভয় হচ্ছে পিকেকে বা ওয়াইপিজি যদি সিরিয়াতে কোনো অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা পায়; তা হবে তুরস্কের অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি। তখন এ সংগঠনটি খুব সহজেই তুরস্কের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি বড় অংশ তাদের দখলে নেবে। তুরস্ক কুর্দিদের ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ মেনে নেবে না, আগেভাগেই তা প্রতিরোধ করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ইসরাইল ও কিছু আরব দেশ অনেক বছর ধরেই সিরিয়ার মধ্যে তুরস্কের সীমান্তঘেঁষে একটি কুর্দি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছে।
এরপর লাভবান হবে ইরান। ২০ লাখ সুন্নি আরবকে সিরিয়ায় রাখা হলে, ইরানের জন্য এক সুবিধাজনক ভূ-আঞ্চলিক লাভ। সিরিয়ার অন্য অংশে ইরান ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধ চালানো অনেক সহজ হবে। সেফ জোন করার জন্য এরদোগান রাশিয়া ও ইরানের সাথে আলোচনা করেছেন। এখন এই দুই দেশও তুরস্কের মিত্র। ইউরোপের সাথে আলোচনার সময়ও তুরস্ক উদ্বাস্তু ইস্যু কাজ করেছে, এখন কুর্দি মিলিশিয়া ইস্যুতেও বিষয়টি কাজে লাগানো হচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘ লেবাননকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, যেন উদ্বাস্তুদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো না হয়। তবে তুরস্কের বেলায় কেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে সেটি জাতিসঙ্ঘ ব্যাখ্যা করেনি। জাতিসঙ্ঘও এক ধরনের রাজনীতির আখড়া সেটি বিশ্ববাসীর অজ্ঞাত নয়। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ব্যাপারে উৎসাহবোধ করত না। ইসরাইলের স্বার্থ দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সচেষ্ট ছিল। সিরিয়ায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় নেমেছে। ইরানকে চাপ দেয়ার জন্যও যুক্তরাষ্ট্র সবসময় চিন্তিত ছিল। আসাদ সরকার বিরোধী মিলিশিয়াদের যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়েছে রাশিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। ইরান ও রাশিয়া তাদের মোকাবেলা করেছে। এখন সরাসরি তুরস্ক নেমে তার অ্যাজেন্ডা পরিপূর্ণ করতে চায়। তাই বলা যায়- সিরিয়ার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। একটি পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে প্রবেশ করছে মাত্র। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়ে ঘরে ফিরবে এমন সোজাসাপ্টা হিসাব করা মুশকিল। সেফ জোন তুরস্কের জন্য ফাঁদও হতে পারে। তুরস্ক এখন অনেক স্থান দখল করেছে। এটি যুদ্ধের কৌশলও হতে পারে। কুর্দিরা ভালো যোদ্ধা। এ দিকে আইএসও রয়েছে। রয়েছে আলকায়েদা। তাই যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেয় বলা মুশকিল। আরব লিগ তুরস্কের বিপক্ষে নেমেছে। ফ্রান্স ও জার্মানি তুরস্ককে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করেছে। এতে তুরস্কের অসুবিধা হবে না, কেননা তুরস্ক নিজেই রফতানিযোগ্য অস্ত্র নির্মাণ করে। কয়েক মাস আগে ইসরাইল তুরস্ককে শিক্ষা দেবে বলেছিল। সেটিও এখন মাঠে আছে। তুর্কিদের ইতোপূর্বে ইসরাইল সব ধরনের সহায়তা দিয়েছিল। সেটি আবার শুরু হয়েছে। তাই আগামীতে সিরিয়ায় তুরস্কের যুদ্ধ আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। আমেরিকা যেকোনো সময় ফিরে এসে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ অভিযান চালাতে পারে।

ইসরাইলের পরিকল্পনা-গোলান হাইটস, দামেস্ক
ইসরাইল সম্প্রতি গোলানে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের বাজেট অনুমোদন করেছে। গোলান উপত্যকায় বর্তমানে ৩১ হাজার ইসরাইলি বসবাস করছে। এ ছাড়া ২৪ হাজার দ্রুজ খ্রিষ্টানও বসবাস করছে। বর্তমানে ইসরাইলি সেনারা সিরিয়ার ১০ কিলোমিটার ভেতরে মোতায়েন রয়েছে। জেরুসালেম পোস্ট জানায়, সিরিয়ার এতটা ভেতরে ইসরাইল আগে কখনোই প্রবেশ করতে পারেনি।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস করেছে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিও অচল করে দেয়া হয়েছে, হোমস এলাকার মিসাইল উৎপাদনকেন্দ্র ও মজুদাগার ধ্বংস করা হয়েছে। সিরিয়ায় ব্যাপক আক্রমণে ইরানি ও রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও সেনাছাউনিগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী ও জায়নিস্ট পার্টির নেতা বেজালেল স্মোট্রিচ দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে চিরতরে কবর দেয়ার জন্য কাজ করছেন, নেতানিয়াহু তাকে সমর্থন করছেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ফ্রান্সে জর্দানকে অন্তর্ভুক্ত করার সংবাদ প্রকাশিত হয়। অথচ জায়নবাদী সত্তা ১৯৯৪ সালে জর্দানের হাশেমি কিংডমের সাথে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ইসরাইল ১৯৭৯ সালে মিসরের সাথেও শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, অর্থাৎ মিসরকেও পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত করা হবে। সিনাই তো একবার দখল করেই নিয়েছিল। গাজা প্রায় শেষ, এখন লেবাননের পালা চলছে। নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এবার ইরানের পালা। প্রতিবাদ ও যুদ্ধ না করে আরব শেখরা যে সুখের ঘুম দিচ্ছে তাদের সবার অবস্থা আসাদের মতোই হবে হয়তো এক দিন। ইসরাইল ধাবিত হচ্ছে গ্রেটার ইসরাইল বানানোর লক্ষ্য নিয়ে, অন্য দিকে মুসলিম বিশ্ব এগোচ্ছে বিভক্তি ও মতানৈক্য সাথী করে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement