মাদরাসায় উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা
- ড. মুহাম্মদ আবদুল আজিজ
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের মাদরাসায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে প্রভাব ফেলছে। ফাজিল ও কামিল ডিগ্রিকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমমানের স্বীকৃতি দেয়া হলেও চাকরির বাজারে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও, অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই সনদের যথার্থ মূল্যায়ন হয় না। এর ফলে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনিশ্চিত কর্মজীবনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণের হারও বেশ কম। দাখিল ও আলিম শেষ করার পর প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাদরাসা শিক্ষা ছেড়ে দেন। এর পেছনে প্রধান কারণ আধুনিক শিক্ষার সাথে মাদরাসার কারিকুলামের অমিল এবং শিক্ষার গুণগত মানের ঘাটতি। অনেক শিক্ষার্থী ফাজিল পর্যায়ে ভর্তি হন না, বরং তারা সাধারণ শিক্ষার ধারায় চলে যান, যা উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞান বিভাগে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত, যা প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাবে তাদের উচ্চশিক্ষার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিচ্ছে। ২০১৬ সালের তথ্যমতে, মাত্র ২৫ শতাংশ মাদরাসায় বিজ্ঞানাগার এবং ১৪ শতাংশ মাদরাসায় কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
দেশের বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য অধিকাংশ মাদরাসা শিক্ষার্থীকেই সাধারণ মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের সাথে তীব্র প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দুর্বলতার দরুন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। বিশাল সংখ্যক মাদরাসা শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খোদ ঢাকা জেলায় মোট ১১৯টি মাদরাসার মধ্যে ৭৬টিতেই বিজ্ঞান বিভাগ নেই।
মাদরাসায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ নেই, সুতরাং এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ। দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যবসায় শিক্ষানুষদে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য অভিন্ন প্রশ্নের আলোকে সব বিভাগের জন্য ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে, যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঘ’ ইউনিট। যার মাধ্যমে স্বল্প সংখ্যক মাদরাসা ছাত্র ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে শিক্ষা লাভের সুযোগ পেলেও তা অত্যন্ত নগণ্য।
অধিকাংশ মাদরাসায় সহশিক্ষা কার্যক্রম- বিতর্ক, সঙ্গীত চর্চা, স্কাউট অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে যথাযথ মনিটরিং এবং দিকনির্দেশনা দেয়ার অভাবে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা এসব দক্ষতা আয়ত্ত করতে ব্যর্থ হয়। সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞান, ইংরেজি, গণিতে মাদরাসা ছাত্রদের দুর্বলতা উচ্চশিক্ষায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
উচ্চশিক্ষা-বিষয়ক তথ্য এবং দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীদের যথাযথ মনিটরিং এবং গাইডলাইন প্রদান না করার কারণে অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ বুঝতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদ্ধতিগত ত্রুটি, প্রশাসনিক দুর্বলতা, পাঠ্যক্রমের গলদ, দক্ষ শিক্ষকের অভাব, যথার্থ শিক্ষণ পদ্ধতির নিশ্চয়তা, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, আধ্যাত্মিক অবক্ষয়, ফান্ডের স্বল্পতা, সংস্কারের প্রতি প্রতিরোধমূলক মনোভাব, ইসলাম ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও শত্রুতা ইত্যাদির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবও বুঝতে হবে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের চাকরি লাভের ক্ষেত্রে এক প্রকার অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৫ শতাংশ মাদরাসা শিক্ষার্থীই হয় বেকার অথবা নামেমাত্র বেতনে চাকরি করে। চাকরির অনিশ্চয়তার কারণে অনেক মাদরাসা শিক্ষার্থীই মাদরাসায় উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী না হয়ে বরং সাধারণ লাইনের উচ্চশিক্ষায় ঝুঁকে পড়ে। বাংলাদেশের চাকরির বাজার মাদরাসা শিক্ষিতদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক।
চাকরিদাতারা জানেন না, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কী পড়েন। মাদরাসা শিক্ষার কারিকুলাম সম্পর্কে না জানার ফলে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর কওমি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে ২৬ হাজার আলেম বের হচ্ছেন। পড়ালেখা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে পদার্পণের উপযুক্ত হচ্ছেন কিন্তু তাদের কর্মক্ষেত্র কী? মাদরাসা শিক্ষা নেয়ার পর জনশক্তি হিসেবে তৈরি হচ্ছে না। মাদরাসার গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ পায়।
মাদরাসার উচ্চশিক্ষায় ইসলামিক এবং সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যর্থ হয়েছে। একটি মানসম্মত স্নাতক (Qualified Graduate) গড়ার জন্য দরকার ছিল সমন্বিত আধুনিক যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন এবং প্রচারণা মূলত সামাজিকভাবে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে। যার কারণে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সমাজে কাক্সিক্ষত মর্যাদা বা স্বীকৃতি থেকে সবসময় বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে শুধু কওমি মাদরাসার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে স্বীকৃতি দিলেও এখনো কওমি মাদরাসার প্রাথমিক থেকে ফাজিল বা স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষার স্বীকৃতি মেলেনি। মাদরাসা শিক্ষার সমর্থনে পর্যাপ্ত গবেষণা বা প্রচার-প্রচারণার অভাবে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে সাধারণ লাইনের শিক্ষার্থীদের মতো সমান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পান না।
মাদরাসার শিক্ষকদের প্রি-সার্ভিস এবং ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণের সুযোগ যৎসামান্য। মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বিএমটিটিআই) যদিও কিছু প্রশিক্ষণ দেয়, তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অতি সামান্য।
মাদরাসা শিক্ষকরা ট্রেডিশনাল বা সনাতন শিক্ষণ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। সনাতন এই শিক্ষণ পদ্ধতি দিয়ে পাঠ্যক্রমে নিত্যনতুন বিষয়ের সংযুক্তি এবং সংস্কারের সাথে খাপ খাওয়ানো অধিকাংশ শিক্ষকের জন্যই অত্যন্ত দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে গ্রাম এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অন্যদিকে মাদরাসার অনেক বর্ষীয়ান শিক্ষক প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিজ্ঞানের অভাবে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের অনলাইন রিসোর্স সম্বন্ধে দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হন।
শিক্ষক প্রশিক্ষণে মাদরাসার শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য রয়েছে। মাদরাসা শিক্ষকরা তিন সপ্তাহের স্বল্পমেয়াদি ট্রেনিং কোর্স পায় এবং প্রায় ১০.৫-১৪ শতাংশ শিক্ষক এই কোর্সের সুযোগ পায়। আর সাধারণ শিক্ষকরা ১০ মাসের অপেক্ষাকৃত অধিক আধুনিক সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে ট্রেনিং কোর্স পায় এবং অধিকাংশ শিক্ষকই এই কোর্সের সুযোগ পায়।
মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কাছে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাদরাসা লাইনে/ইসলামিক উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বিপুল সংখ্যায় সাধারণ লাইনের উচ্চশিক্ষার দিকে ঝুঁকে পড়ে অথবা পড়ালেখা ছেড়ে দেয়।
ইংরেজি ও আরবি ভাষায় যথাযথ দক্ষতা না থাকায় মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক একাডেমিক রিসোর্সের যথাযথ ব্যবহার করতে পারে না। যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরবি ভাষা, তাফসির, ইসলামিক আইনশাস্ত্রের উপর এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিচ্ছে, তবে তা বিশাল সংখ্যক মাদরাসা শিক্ষার্থীর প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। মাদরাসা শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। যেখানে দেশের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষা ও গবেষণা নামের স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং অনুষদ চালু আছে। মাদরাসা স্নাতকদের যোগাযোগ দক্ষতা খুবই দুর্বল।
যদিও ভর্তির ক্ষেত্রে মাদরাসার ছাত্ররা সাধারণ মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ভর্তির ক্ষেত্রে কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বিদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছেয়ে পিছিয়ে পড়েছে। ভর্তির পূর্বশর্ত আইএলটিএস, জিআরই বা জিম্যাট পরীক্ষায় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সামগ্রিকভাবে ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়। এর মূল কারণ হলো ইংরেজি ভাষায় তাদের দুর্বলতা।
এ ছাড়া আরবি ভাষাভাষী বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যেমন- মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিং ফাহাদ আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আরবি ভাষায় দক্ষতার প্রতি জোর দেয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষার ওপরও দখল খুব কমই দেখা যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারেন না।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণা তথ্যমতে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে। এর ফলে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা তার জোগান দিতে পারে না। এ দিকে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কলারশিপের আবেদন করেন। সেখানেও আবার বিভিন্ন মানদণ্ডে পার্শ্ববর্তী দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বাদ পড়ে যান।
কওমি মাদরাসার এক বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর শেষ করার পরও মাদরাসায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি পান না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন যোগাযোগে তারা একপ্রকার অনুপস্থিত বলা চলে। এ অবস্থায় অনেকের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তারা উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। অনেকে জানেই না কোথায় উচ্চশিক্ষার কতটা সুযোগ-সুবিধা আছে বা নেই।
বাংলাদেশের মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, উচ্চশিক্ষার প্রতি সামাজিক এবং পারিবারিক উৎসাহমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতার অভাবে অনেকেই উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষাকে এক অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা বলে আখ্যায়িত করে। এমতাবস্থায় উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মোটিভেশনাল বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজনের বিকল্প নেই। অথচ মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে কওমি মাদরাসায় এরকম উদ্যোগের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় মাদরাসা শিক্ষার বিকাশ ঘটছে। সারা দেশে আরো মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠা, অনুমোদন, পরিচালনা ও পড়াশোনার তদারকির ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। আলিয়া মাদরাসাগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও কওমি মাদরাসাগুলোতে নিজস্ব শিক্ষাক্রমে পাঠদান চলে। এসব ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসংখ্য শিক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি ভাষা ও জ্ঞানের দক্ষতা অর্জনে কতটা সক্ষম হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই।
লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষা-উদ্যোক্তা
ই-মেল : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা