ট্রাম্পের বিজয়ে মার্কিন মুসলিমদের ভূমিকা
- মো: বজলুর রশীদ
- ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে মার্কিন মুসলমানরা ট্রাম্পকে সমর্থন করেন। নির্বাচনের প্রাক-জরিপগুলোতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিজয়ের আভাস দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ডেমোক্র্যাটরা কেবল পরাজয়ের মুখোমুখি হয়নি; বরং এটিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে আমেরিকান-ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এআইপিএসি) মতো শক্তিশালী লবিং গ্রুপগুলো- যা এক অর্থে মার্কিন প্রশাসনকে শ্বাসরোধ করেছিল, মিডিয়া, অর্থ ও রাজনীতিকে একচেটিয়া করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এক প্রকার ইসরাইলের দাস বানিয়েছিল, তারা দেউলিয়া হয়েছে এবং হেরে গেছে।
লক্ষণীয় যে, যুক্তরাষ্ট্রে, ন্যায়বিচার, অধিকার আদায়, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে ওকালতি করা গোষ্ঠীগুলো প্রধানত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাথে জোটবদ্ধ। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সাম্প্রতিক সঙ্ঘাত যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যার ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃহত্তর পশ্চিমা বিশ্ব তাদের পরিচিতি তৈরি করে। যেমন- মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তার অধিকার, এমনকি সবচেয়ে কট্টর মতামতও গ্রহণ ও রক্ষার অধিকার, যতক্ষণ না তারা সহিংসতা উসকে দেয়। সমালোচকরা বলছেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতের কারণে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে অপমাণ করা হয়েছে এবং প্রতিবাদী তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে সাধারণ নাগরিকরা ভীত হয়ে পড়েছেন। জনগণের একটি অংশ এর জন্য ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে দায়ী করছে।
আরো পরিহাসের বিষয় হলো, এসব অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের পর নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বার্তা প্রচার করে যে, রিপাবলিকানরা গণতন্ত্রবিরোধী এবং তরুণদের অবশ্যই গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। কার্যত, অনেকটা স্বৈরাচারী শাসকদের মতোই আমেরিকান যুবকদের চাপ দেয়া হচ্ছে কণ্ঠস্বর দমন করতে, ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নেয়া এড়াতে এবং ইসরাইলকে সমর্থন করতে। তারপরও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য অনেক ভোট পাওয়ার আশা করেছিল। কিন্তু দলটি আমেরিকান যুবকদের মোহভঙ্গের বিষয়টি মেনে নিতে অসমর্থ হয়েছে। তরুণরা এবার দেখেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে নিষ্ক্রিয়, অকার্যকর ও অকেজো করে তুলেছে। পার্টির প্রতিনিধি যারা এআইপিএসিতে নিবন্ধন করেন এবং সেখান থেকে অর্থ পান তাদের ইহুদি ও ইসরাইলের সেবা করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।
ঐতিহাসিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানরা ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকেই সমর্থন করে এসেছে। রিপাবলিকান পার্টির সাথে তাদের যোগাযোগ খুব কম। বর্তমান সময়ে মুসলমানরা গাজার সঙ্ঘাতে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা দেখেছে। তারা দেখেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং তহবিল সরবরাহ করে কিভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করতে ইহুদিবাদ ও ইসরাইলকে সহায়তা করছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করেছে। যদিও মার্কিন মুসলমানরা ট্রাম্পের কঠোর বাগাড়ম্বরের সাথে পরিচিত, তারা একটি অপ্রত্যাশিত বিষয় স্বীকার করে যে, ট্রাম্প যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন। ট্রাম্পের সম্ভাব্য কর্মকাণ্ডের প্রতি এই আংশিক বিশ্বাসের কারণে অনেক মুসলমান তার দিকে ঝুঁকেছে। নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট মিশিগানে মুসলিম ইমামদের সাথে মঞ্চে ট্রাম্পের উপস্থিতি স্পষ্টতই তার পক্ষে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিংক ট্যাংকের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মুসলমান ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন, যেখানে ৭৫-৮০ শতাংশ ইহুদি ভোটার ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন! তাই বলতে হয়, এক অর্থে এবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, এআইপিএসি ও ইহুদিরা হেরেছে।
আমেরিকান মুসলিমদের কাছে এক নম্বর ইস্যু গাজার সঙ্ঘাত বন্ধ করা, দ্বিতীয় ইস্যুটিও যুদ্ধ সংক্রান্ত- বিদেশের মাটিতে যুদ্ধ বন্ধ করা, তৃতীয় হলো চাকরি, বেকারত্ব নিরসন। যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৩৭ লাখ আরব-আমেরিকান রয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই খ্রিষ্টান এবং একই সংখ্যক মুসলিম আমেরিকানও। এসব এলাকা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হলেও এবার ট্রাম্প ৪২-৫০ শতাংশ ভোট পান। ট্রাম্প লক্ষণীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন, তিনি মুসলিম ও আরব ভোটারদের কাছে দরবার করেন এবং গাজার সঙ্ঘাত বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন। এই নির্বাচন মুসলিম আমেরিকান জনগোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করেছে; একদল ডেমোক্র্যাটদের গাজার বিষয়ে একটি বার্তা দিয়েছে অন্যদল ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভীত হয়েছে।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত হামাসকে উদ্দেশ করে সতর্কবাণী উচ্চরণ করেন : গাজায় আটক পণবন্দীদের মুক্তি না দিলে খারাপ পরিণতি ঘটবে। তার ভাষায়, ‘আমি ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে যদি পণবন্দীদের মুক্তি না দেয়া হয় তবে মধ্যপ্রাচ্যে এবং যারা মানবতার বিরুদ্ধে এসব নৃশংসতা ঘটিয়েছে, তাদের সবাইকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ দায়ীদের ভয়াবহভাবে আঘাত করা হবে। তাই এখনই পণবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। এই হুমকি ঠিক হলে গাজার মুসলমানদের সমস্যা নিরসনের পরিবর্তে আরো প্রকট আকার ধারণ করবে এবং আমেরিকান মুসলমানদের আশা ভূলুণ্ঠিত হবে।
পণবন্দীদের বিষয়ে হামাসের বক্তব্য, গাজায় হামলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হলে পণবন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে। অন্যদিকে ইসরাইল বলেছে, হামাসকে পুরোপুরি পরাজিত করার আগে তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না। বাইডেন এই জট খুলতে পারেননি; বরং জাতিসঙ্ঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভেটো দিয়েছেন কয়েকবার। নেতানিয়াহু গাজাকে হামাসবিহীন করতে টন টন বোমা নিক্ষেপ করে প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন, যার অধিকাংশ শিশু ও নারী। লেবাননে হত্যা করা হয়েছে তিন হাজার। ট্রাম্প এই জট খুলতে পারেন কি না বা কিভাবে সমাধান দেবেন সেটি জানুয়ারিতে যখন ক্ষমতায় বসবেন তখন আরো স্পষ্ট হবে।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভা ও যাদের নিয়ে কাজ করবেন তাদের একে একে বাছাই করছেন। ট্রাম্পকে সমর্থনকারী মুসলিম নেতারা মন্ত্রিসভার বাছাইয়ে গভীরভাবে হতাশ। পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণার ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবিউল চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের কারণে জিতেছেন এবং আমরা তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যদের নিয়ে খুশি নই।’ সমালোচকরা বলেছেন, ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নিয়েছেন যিনি ইসরাইলের কট্টর সমর্থক। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে রুবিও বলেছিলেন, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন না এবং তিনি বিশ্বাস করেন ইসরাইলের উচিত হামাসের ‘প্রতিটি উপাদানকে’ ধ্বংস করা। তিনি আরো বলেন, ‘এই মানুষগুলো হিংস্র্র প্রাণী’।
ট্রাম্প আরকানসাসের সাবেক গভর্নর এবং কট্টর ইসরাইলপন্থী রক্ষণশীল মাইক হাকাবিকেও মনোনীত করেছেন, যিনি পশ্চিম তীরে ইসরাইলি দখলদারিত্ব সমর্থন করেন এবং ফিলিস্তিনে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে ‘অকার্যকর’ বলে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া গাজায় হত্যার নিন্দা জানানোর জন্য জাতিসঙ্ঘকে ‘ইহুদিবিদ্বেষের আখড়া’ আখ্যা দেয়া রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে জাতিসঙ্ঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
আমেরিকান মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক রেক্সিনালদো নাজারকো বলেন, ‘মুসলিম ভোটাররা আশা করেছিলেন, ট্রাম্প মন্ত্রিসভায় এমন কর্মকর্তাদের বেছে নেবেন যারা শান্তির লক্ষ্যে কাজ করবে। আমরা খুবই হতাশ।’ এখন তিনি বলছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, এই প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে নব্য-রক্ষণশীল এবং চরম ইসরাইলপন্থী, যুদ্ধপন্থী লোকদের দ্বারা পরিপূর্ণ, যা রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের ব্যর্থতা, শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতা। নাজারকো বলেন, ট্রাম্পকে জয়ী করতে ভোট সমাবেশের পর কমিউনিটি তাদের কণ্ঠস্বর শোনানোর জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে। ক্যাম্পেইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হাসান আবদেল সালাম বলেন, ট্রাম্পের কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা বিস্ময়কর নয়, তবে তিনি যে আশঙ্কা করেছিলেন তার চেয়েও চরম প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় অত্যন্ত সংশয়ের মধ্যে ছিলাম। স্পষ্টতই আমরা এখনো প্রশাসন কোথায় যায় তা দেখার অপেক্ষা করছি।’ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য চেয়ে একটি ইমেইলের জবাব দেয়নি ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন মুসলিম ও আরব সমর্থক বলেছেন, তারা আশা করেছিলেন, ট্রাম্পের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রিচার্ড গ্রেনেল মুসলিম ও আরব আমেরিকানদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে প্রচার কাজে নেতৃত্ব দেয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তাকে এমনকি সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ট্রাম্পের মেয়ে টিফানির লেবাননের শ্বশুর মাসাদ বুলোস আরব-আমেরিকান ও মুসলিম নেতাদের সাথে বারবার বৈঠক করেছেন। তা থেকে সুখকর কিছু আসেনি।
বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের বন্ধু নেতানিয়াহু। পশ্চিম তীর ইহুদি বসবাস, পূর্ব জেরুসালেমে বসতি সম্প্রসারণের মতো কর্মসূচি ট্রাম্প আসায় আবার চাঙ্গা হয়ে উঠছে। মাত্র ক’দিন আগে নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা ট্রাম্পের সাথে নৈশভোজে সাক্ষাৎ করে পরামর্শ করেছেন। নেতানিয়াহুর প্রশাসন এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিবারগুলো হতাশা প্রকাশ করেছে এবং এমনকি তাদের প্রিয়জনদের মুক্তি নিশ্চিত করতে আরো সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। বিক্ষোভও করেছে। এই বিভাজন কিভাবে দূর করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ করা হয়েছে। ট্রাম্প এই সঙ্ঘাতে ইসরাইলের বিজয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন। তবে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জন জটিল। এ জন্য ইসরাইল, হামাস ও অন্যান্য আঞ্চলিক স্টেকহোল্ডারসহ একাধিক পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মুসলমান নেতারা বলছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার ‘খুব ভালো’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দাবি করেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট না হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিদিন কথা বলেছেন, অথচ মুসলিম নেতাদের সাথে কোনো সমাবেশ হয়নি। এর মধ্যে সিরিয়ায় আসাদের পতন হওয়ার সাথে সাথে ইসরাইল গোলান মালভূমির সেফ জোন পুরোটা দখলে নিয়ে সেনা সমাবেশ করেছে ও স্থায়ী সেনা ক্যাম্প করেছে। এতে বাইডেন বা ট্রাম্পের তরফ থেকে ইসরাইলবিরোধী কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের অল্প ক’দিন বাকি। মার্কিন মুসলমানরা এখন আগামীর হিসাব-নিকাশ করছেন।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা