‘কলঙ্কিত ট্রাইব্যুনাল’ থেকে শিক্ষা
- এহসান এ. সিদ্দিক
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত উন্মোচিত হয় যখন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম অভিযুক্ত সদস্যরা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। এটি কেবল আরেকটি বিচারের সূচনা ছিল না- এটি ছিল এমন এক কাব্যিক বিচার যেখানে ট্রাইব্যুনালের স্থপতিরা এখন তার আইনের অধীনে অভিযুক্ত হলেন। তবে অতীতের ট্রাইব্যুনালের ছায়া ছিল অনেক ব্যাপক। দুর্বলভাবে প্রশিক্ষিত, স্পষ্টতই অন্যায্য এবং রাজনৈতিক ইচ্ছার দ্বারা চালিত, আগের বিচারগুলো এক একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছিল। ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের শহীদদের সম্মান জানাতে, এই ট্রাইব্যুনালটিকে অবশ্যই তার ত্রুটিপূর্ণ পূর্বসূরীদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে আর ন্যায্য, স্বচ্ছ ও সর্বজনীনভাবে বিশ্বাসযোগ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
পূর্ববর্তী বিচারে ডিফেন্স টিমের একজন সদস্য হিসেবে আমি এমন এক টিমের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত গর্ব বোধ করি যেটি সফলভাবে ক্রান্তিকালীন বিচারের সবচেয়ে খারাপ উদাহরণগুলোর একটি উন্মোচন করেছে। স্কাইপ ফাঁস এবং ডিফেন্সের একজন সাক্ষীর অপহরণে ট্রাইব্যুনালের যোগসাজশের মতো কেলেঙ্কারি আমাদের প্রচেষ্টাকে প্রায়ই সহায়তা করে। ট্রাইব্যুনালের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম ডিফেন্স দলের সদস্যদেরকে প্রসিকিউশন সরবরাহকৃত নথি ফটোকপি করার জন্য গ্রেফতার এবং অভিযুক্তদের জন্য অবমাননাকর ডাকনাম ব্যবহার করার অনুমতি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
ডিফেন্স টিম অব্যাহত পুলিশি অভিযান ও হয়রানির মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করেছিল। ভবিষ্যতের কোনো ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত হবে না। আমাদের প্রতি অন্যায় আচরণের বিষয়টি প্রকাশ করা সত্ত্বেও আমাদের অনেক ক্লায়েন্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমরা ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগের কাছ থেকে অনেক মূল্য আদায় করেছি। ট্রাইব্যুনাল এবং তৎকালীন আপিল বিভাগ উভয়ের সুনামের মূল্যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
সম্প্রতি গঠিত ট্রাইব্যুনালের সামনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য, অতীত থেকে নিম্নলিখিত পাঠ নেয়ার বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফেয়ার ট্রায়াল স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সমন্বয়
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) অধীনে বিচার শুরু হওয়ার আগে, এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে মিডিয়ার পক্ষপাতিত্ব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আগেই অপরাধী সাব্যস্ত করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সাথে মিডিয়াও নির্দোষ অনুমান করার জন্য সামান্য জায়গা রেখে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিল।
১৯৭৩ সালের আইসিটি আইনের দৃশ্যমান অনেক ঘাটতি ছিল, যা অভিযুক্তদের ন্যূনতম অধিকার প্রদান করে। আইনের ঘাটতিগুলোর বিষয়ে মাইকেল জে বেলফ কিউসি, স্টিভেন কে কিউসি ও ভারতের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সোলি জে সোরাবজির কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। এটি ডিফেন্স কৌঁসুলিদের সুপ্রতিষ্ঠিত যুক্তির সূচনা ছিল যে আইনটি সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার মতো নয়। সমালোচনাগুলো দ্রুত আন্তর্জাতিক আইনি সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসব সমালোচনার কথা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচও উল্লেখ করে।
আইনের উল্লেখযোগ্য ঘাটতিগুলো তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সমালোচনা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ সত্ত্বেও জামায়াত নেতাদের বিচারের আগে আইনের প্রায় কোনো সংস্কারই করা হয়নি। তবে এটি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে এই আইসিটি আইনের অধীনে বিচারের ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতার গুরুতর অভাব হবে। মজার বিষয় হলো- ১৫ বছর আগে ডিফেন্স টিম দ্বারা চিহ্নিত অনেক ত্রুটির সংশোধন এখন করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট অনেক আইনজীবী আত্মগোপনে এবং তাদের অল্প কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা দৃশ্যমান থাকায় আইনের পর্যাপ্ততা নিয়ে বিতর্ক অনেকাংশে অনুপস্থিত। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের ক্ষেত্রে আইনের কার্যকারিতা ও ন্যায্যতাকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ করা এবং আইনি অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকা আর বিশেষভাবে বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমন জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের (জেসিই) মতো বিতর্কিত মতবাদের সমালোচনা ডিফেন্স টিমের জন্য হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আইনের ক্রমবিকাশে দেখা যায়, আইসিসির যৌথ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পরিবর্তন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারে একটি শক্তিশালী আইনি প্রতিরক্ষার সুযোগ এনে দেবে।
একটি ভালো ডিফেন্স ও প্রসিকিউশন টিম স্থাপন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রসিকিউশনের চেয়ে ডিফেন্স টিমগুলো বেশি যোগ্য ও অভিজ্ঞ ছিল। নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আইনি সেবা প্রতিষ্ঠান নাইন বেডফোর্ড রো ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রশিক্ষিত ডিফেন্স টিমের বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ ছিল। এর বিপরীতে পরলোকগত গোলাম আরিফ টিপুর নেতৃত্বে প্রসিকিউশন টিমের আন্তর্জাতিক আইনে দক্ষতার অভাব ছিল। এই ঘাটতিগুলো পূরণ করার জন্য, তুরিন আফরোজকে নিয়োগ করা হয়েছিল কিন্তু পরে পেশাদার অসদাচরণের অভিযোগে ২০২৯ সালে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে পেশাদার অসদাচরণের অভিযোগ আগের প্রসিকিউশন টিমকে ক্রমাগতভাবে জর্জরিত করে রেখেছিল।
মজার বিষয় হলো, বর্তমান অনেক প্রসিকিউশন সদস্য আগের ডিফেন্স টিমের অংশ ছিলেন। নিঃসন্দেহে তারা আগের ট্রায়াল থেকে আর্জিত তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর আত্মপক্ষ সমর্থনকারী প্রধান প্রসিকিউটর মো: তাজুল ইসলাম মালয়েশিয়া ও যুক্তরাজ্যে স্টিফেন কে, কেসি, জন ক্যামেঘ কেসি এবং টবি ক্যাডম্যানের দ্বারা প্রশিক্ষিত ছিলেন। বর্তমান প্রসিকিউটর-প্রশাসনও সেই ডিফেন্স টিমের সদস্য ছিলেন এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ডিফেন্স টিম এখন সংগঠিত হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দুই দিন কোনো নামকরা আইনজীবীকে দেখা যায়নি। এটি উদ্বেগের একটি কারণ। এটা সত্য যে, আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয় আইনজীবীদের অনেকেই কারাগারে, আত্মগোপনে বা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষার জন্য একটি সংগঠিত ডিফেন্স টিম অপরিহার্য। এর আগে প্রতিটি টিমে একজন প্রধান পরামর্শদাতা, একজন অভিজ্ঞ ট্রায়াল আইনজীবী, একজন জুনিয়র অ্যাডভোকেট, একজন তদন্তকারী ও একজন আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ছিলেন। আমাদের তদন্তকারীরা ডকুমেন্টারি প্রমাণ দিতে সক্ষম হন যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার বিনিময়ে প্রসিকিউশনের সাক্ষী ও তাদের পরিবারকে সরকারি চাকরি ও সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাথে লিড কাউন্সিল ক্রস এক্সামিনেশনের পদ্ধতি প্রস্তুত করে। প্রকৃতপক্ষে প্রসিকিউশনের সাক্ষীর জেরা এত ভালো ছিল যে আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আপিল বিভাগকে ক্রস এক্সামিনেশনের নিয়ম পরিবর্তন করতে হয়েছিল। ডিফেন্স টিম আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের কাছ থেকেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লাভ করে। জিওফ্রে রবার্টসন কেসি বিচারের বিষয়ে তার প্রতিবেদনে ডিফেন্স টিমকে ‘সাহসী ও সক্ষম’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
প্রসিকিউশনকে জবাবদিহি করতে এবং ন্যায়বিচার বজায় রাখার জন্য একটি সুসংগঠিত, যোগ্য ডিফেন্স টিম অপরিহার্য। পূর্ববর্তী বিচারের ক্ষেত্রে ডিফেন্স টিম কার্যকরভাবে মামলা উপস্থাপনে দক্ষতা, পরিশ্রম ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব প্রদর্শন করে। বিচার শুরু হওয়ার সাথে সাথে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে প্রতিটি অভিযুক্ত ব্যক্তি শক্তিশালী, প্রজ্ঞাপূর্ণ প্রতিরক্ষা টিমের সম্পূর্ণ সুবিধা এবং ন্যায্যবিচার ও ন্যায্য বিচারিক প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা পাবে।
ডিফেন্স কৌঁসুলিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
ডিফেন্স আইনজীবীদের দায়িত্ব পালনের সময় তাদের নিরাপদ বোধ করতে হবে। আগের শাসনামলে অভিযুক্ত পক্ষের অনেক আইনজীবী হয়রানি ও সহিংসতার সম্মুখীন হন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সি আহসান কবির প্রসিকিউশনের একজন সাক্ষীর দ্বারা আক্রান্ত হন, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৫ সালে মো: তাজুল ইসলামকে পল্টন থানায় আটক করা হয় এবং তার সহযোগী আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান। আর ২০১৩ সালে, বানোয়াট অভিযোগে গ্রেফতার এড়াতে প্রধান প্রতিরক্ষা কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। অন্য একজন আইনজীবীকে ২০১৬ সালে অপহরণ করা হয়েছিল, আট বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে পাওয়া যায়।
ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশনকে এখন বিচার প্রক্রিয়ার মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর আইনি প্রতিনিধিত্ব প্রদানের জন্য ডিফেন্স টিমগুলোর জন্য একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইনজীবীদের কোনোভাবেই যেন তাদের মক্কেলদের রক্ষা করার জন্য উচ্চ মূল্য দিতে না হয়।
নির্বাহী হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ
ডিফেন্স টিমে আমার অবস্থানকালে আমরা সফলভাবে বিচারে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী হস্তক্ষেপ তুলে ধরেছি। মন্ত্রীরা প্রায়ই অভিযুক্ত পক্ষের সাক্ষীদের হুমকি দিতেন এবং এক অনুষ্ঠানে আমি আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সাজেদা চৌধুরী ও মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়ের করি। এর ফলে ট্রাইব্যুনাল তাদের সতর্ক করে। কিন্তু পর্দার আড়ালে, মৃত্যুদণ্ড ত্বরান্বিত করার জন্য নির্বাহী বিভাগের তীব্র চাপ ছিল। স্কাইপ কেলেঙ্কারি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের হস্তক্ষেপের বেশির ভাগই গোপন ছিল।
পূর্ববর্তী বিচারগুলো নির্বাহী বিভাগের নিছক হস্তক্ষেপ নয়, বরং নিয়ন্ত্রণে ছিল। আপিল বিভাগ রায় দেয়ার আগেই জনাব আবদুর রাজ্জাককে জাতীয় পার্টির নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছিলেন যে আবদুল কাদের মোল্লার ভাগ্য সিল করা হয়েছে এবং তার বিষয়ে কিছুই করা যাচ্ছে না। পরে সমস্ত ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর, জনাব মোহসেন রশীদ আমাকে জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান যখন শেখ হাসিনাকে তার জ্ঞাতি ভাই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর না করার জন্য অনুরোধ করতে বলেছিলেন, তখন তিনি তা করেছিলেন। তাকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয় যে, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে রেহাই দেয়া হবে না, এবং সালমান এতে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তিনি ক্ষমতার পৃষ্ঠপোষকতা হারাবেন।
২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের ঘটনাগুলোর বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের তদন্তের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার স্বার্থে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি করা যাবে না। যদি সত্যিকারের ন্যায়বিচার দিতে হয় তাহলে বিগত ট্রাইব্যুনাল থেকে যে শিক্ষা নেয়া হয়েছে তা অবশ্যই নতুন ট্রাইব্যুনালের কার্যপ্রণালীকে জানাতে হবে। পূর্ববর্তী ট্রায়ালের ক্ষেত্রে চিহ্নিত পক্ষপাতিত্ব, নির্বাহী হস্তক্ষেপ এবং পদ্ধতিগত ত্রুটির ছায়া উত্তরাধিকার হিসাবে বর্তমান প্রক্রিয়াকে আচ্ছন্ন করার সুযোগ কোনোভাবেই দেয়া উচিত নয়। তবে শুধুমাত্র ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এমন নয়। অভিযুক্তদের সাবধানে তাদের আইনজীবী নির্বাচন করা উচিত এবং যুক্তিগুলো সমন্বিত করা উচিত যাতে এসব পরস্পরবিরোধী না হয় তা নিশ্চিত করা যায়। অনেক অভিযুক্তের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে যে, একজন অভিযুক্তের যুক্তি ও প্রমাণ অন্য সহঅভিযুক্তের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত ও দুর্বলভাবে সমন্বিত ডিফেন্স টিম অভিযুক্তের মামলাকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইজীবী এবং হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিবন্ধিত কৌঁসুলি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা