সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
প্রখ্যাত সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী। ‘মরুভাস্কর’-এর রচয়িতা এই লেখক ও সাংবাদিকের জন্ম ১৮৯৬ সালে সাতক্ষীরার বাঁশদহ গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু বাঁশদহের মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে। স্থানীয় বাবুলিয়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে বৃত্তিসহ এন্ট্রান্স পাসের পর কলকাতা গিয়ে ভর্তি হন বঙ্গবাসী কলেজে। মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ এবং ইংরেজি ‘দি মুসলমান’ পত্রিকার সম্পাদক মৌলভী মুজীবুর রহমানের সংস্পর্শে এসে তিনি জাতির সেবা করার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন। পরীক্ষার আগেই পড়াশোনা চুকিয়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নেন। একই সাথে যোগ দেন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে। সাংবাদিক জীবনের শুরুতে ১৯০৬ সালে ওয়াজেদ আলী চাকরি নেন ‘দি মুসলমান’ পত্রিকায়। এরপর ১৯০৮ সালে কাজ করেছেন আকরম খাঁর সাপ্তাহিক মোহাম্মদীর সম্পাদকীয় বিভাগে। ১৯২১ সালে দৈনিক সেবকে কর্মরত ছিলেন। একই বছর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক মোহাম্মদীর। ১৯২২-এ দ্বিপাক্ষিক সাম্যবাদী সম্পাদনা করেছেন। ১৯২৬ সালে সাপ্তাহিক খাদেম এবং ’২৮ সালে সাপ্তাহিক সওগাতের সম্পাদকীয় বিভাগে ছিলেন। এর মধ্যে ১৯২৪ সালের দিকে বিয়ে করেন শাহের বানুকে।
তিনি নবযুগ, বুলবুল, সহচর এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার সাথেও সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাস্থ্যহানির দরুন ১৯৩৫ সালে নিজ গ্রামে ফিরে যান। জীবনের বাকি দুই দশক কাটিয়ে দেন সেখানেই।
বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্রাঞ্জল ভাষার প্রবন্ধকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে যে ক’জন ব্যক্তিত্ব খ্যাতিমান হয়েছেন, ওয়াজেদ আলী তাদের একজন। প্রজ্ঞাপূর্ণ প্রতিভাবলে উন্নতমানের জীবনী, সম্পাদকীয়, নকশা প্রভৃতি রচনা করা তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল। দুই শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ লিখলেও জীবদ্দশায় তার বই বেরিয়েছিল খুব কম। তার লেখা ছোট বা মাঝারি আটটি গ্রন্থের হদিস পাওয়া যায়। তার বিষয়বস্তু ছিল ইসলামের আদর্শ-ঐতিহ্য-মূল্যবোধ। শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম ও ভাষা সম্পর্কে তিনি অনেক মূল্যবান প্রবন্ধ লিখে গেছেন।
তার রচনার একটি বড় বৈশিষ্ট্য, সহজ-সাবলীল প্রকাশভঙ্গি। তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে- মরুভাস্কর ১৯৪১, মহামানুষ মুহসীন ১৯৪০, সৈয়দ আহমদ, হজরত মোহাম্মদ ১৯৪৮, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৯, মনিচয়নিকা ১৯৫১, ডন কুইকজোটের গল্প ও স্মার্না-নন্দিনী। বাংলা একাডেমি তার রচনাবলির অংশবিশেষ দুই খণ্ডে প্রকাশ করেছে। আদর্শনিষ্ঠ ওয়াজেদ আলী এতই দৃঢ়চেতা ছিলেন যে, সরকারি চাকরি পেয়েও তা করেননি। বরং সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজসেবাকে জীবনের ব্রতরূপে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন যুক্তিবাদী মানস এবং পরিচ্ছন্ন চিন্তার অধিকারী। ১৯৫৪ সালের ৮ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন মাত্র ৫৮ বছর বয়সে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা