স্মরণ : অধ্যাপক শাহেদ আলী
- মাহমুদ ইউসুফ
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ভাষাসৈনিক, সংস্কৃতিসেবী, রাজনীতিক অধ্যাপক শাহেদ আলী। ১৯২৫ সালে সুনামগঞ্জ জেলার মাহমুদপুর গ্রামে তার জন্ম। সিলেট এমসি কলেজ থেকে ব্যাচেলর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫১ সালে বগুড়া আযিযুল হক কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ঢাকার বাঙলা কলেজ, রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম সিটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৫৪ সালে খেলাফতে রব্বানী পার্টির নমিনেশনে প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সচিব। এরপর ১৯৬২ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সঙ্কলন বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। চল্লিশের দশক থেকেই শাহেদ আলী যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথে। ১৯৪৪-৪৬ সালে মাসিক প্রভাতী এবং ১৯৪৮-৫০ সালে সাপ্তাহিক সৈনিকের সম্পাদক। ১৯৫৫ সালে দৈনিক বুনিয়াদ সম্পাদনা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিশু মাসিক সবুজ পাতার সম্পাদনার দায়িত্বে ১৯৬৩ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত। ১৯৫৬ সালে দৈনিক মিল্লাতের সহকারী সম্পাদক। ১৯৬৩-৬৪ সালে বাংলা একাডেমি পত্রিকার সম্পাদনা বোর্ডের সদস্য। ছিলেন ইসলামী বিশ্বকোষের সম্পাদনা বোর্ডেরও সদস্য। বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভাষা আন্দোলনের সার্বিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। তমদ্দুন মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৪০ সালে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে সওগাতে তার সর্বপ্রথম গল্প প্রকাশিত। তার রচনাবলির মধ্যে রয়েছে গল্পগ্রন্থ জিব্রাইলের ডানা, একই সমতলে, অতীত রাতের কাহিনী, অমর কাহিনী, নতুন জমিনদার, হৃদয় নদী, বিচার, রুহীর প্রথম পাঠ-শিশুসাহিত্য, ছোটদের ইমাম আবু হানিফা, সোনারগাঁয়ের সোনার মানুষ, বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান, তরুণ মুসলিমের ভূমিকা, একমাত্র পথ, তরুণের সমস্যা, তাওহীদ, মুক্তির পথ, বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিস, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা, জীবন নিরবচ্ছিন্ন এবং জীবন দৃষ্টি, সাম্প্রদায়িকতা। তার অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- মক্কার পথ, ইসলামে রাষ্ট্র ও সরকার, আধুনিক বিজ্ঞান ও আধুনিক মানুষ ইতিবৃত্ত প্রভৃতি। অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ফিলিস্তিনে রুশ ভূমিকা, সাম্রাজ্যবাদ ও রাশিয়া প্রভৃতি।
ছোট গল্পের জন্য ১৯৬৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। ভাষা আন্দোলন পদক ১৯৮১ সালে, একুশে পদক ১৯৮৯ সালে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার ১৯৮৬ সালে, কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য পুরস্কার (মরণোত্তর ২০০৩), ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জাসাস স্বর্ণপদক, তমদ্দুন মজলিস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০১ সালের ৬ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা