ইতিবাচক ধারায় দেশের অর্থনীতি
- ড. মো: মিজানুর রহমান
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সেক্টর কেবল নড়বড়ে নয়; বরং ধ্বংস করে ফেলেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। উন্নয়নের নামে প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ কোটি টাকার দেশী-বিদেশী ঋণ, ১২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, পাচারকৃত টাকার মধ্যে স্বৈরাচার হাসিনার সহযোগীরা সরিয়েছে ১৭ বিলিয়ন ডলার এবং ব্যাংক লুটেরা এস আলম একাই সরিয়েছেন ১০ বিলিয়ন ডলার। সোয়া দুই লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ জাতির ঘাড়ে। শেয়ারবাজার ধ্বংস অনেক আগেই হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের মানদণ্ডে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় মুদ্রার মান কমায় মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে কমেছে। মূল্যস্ফীতির হার ১২ শতাংশে উঠেছিল। আর্থিক সূচকে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশ করা জেড-স্কোরে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৭ দশমিক ১। অথচ নেপাল ও ভুটানের মতো ছোট দেশগুলোর নম্বর ২৭। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঋণমান ‘বিবি মাইনাস’ থেকে কমিয়ে ‘বি-প্লাস’ করেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য পরিমাপক মানদণ্ডের বাংলাদেশের জিনি কোঅফিসেনট প্রায় ৫০। ব্যাংক খাতের এ দুরবস্থার কারণে ঋণপত্রের গ্যারান্টি বাবদ প্রায় ৪ শতাংশ কমিশন নিচ্ছে বিদেশী ব্যাংকগুলো। যদিও বাংলাদেশের সম-অর্থনীতির অনেক দেশের ক্ষেত্রে কমিশন ১ শতাংশেরও কম। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা বিতরণকৃত ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ।
অর্থনীতির বর্তমান প্রবাহ
৫ আগস্টের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পরে অন্তর্বর্তী সরকারে আসেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের নেতৃত্বে আরো তিনজন প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ অর্থউপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা। তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে অর্থনীতির কিছু কিছু সেক্টর। অন্য সেক্টরগুলোর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা হচ্ছে।
ইতিবাচক ধারায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি : অন্তর্বর্তী সরকার রাজস্ব আদায় বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ। পতিত সরকারের শেষ দুই মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় বাড়ানোর অংশ হিসেবে কর ছাড়া রাজস্ব ও নন-এনবিআর এই তিন খাত থেকে আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, করবহির্ভূত ও এনবিআরবহির্ভূত খাত থেকে আদায় বাড়ানো সম্ভব হলে এনবিআরের ওপর চাপ কমবে।
বিদেশী ঋণ পরিশোধ : দেশের ক্রমবর্ধমান বিদেশী ঋণ ও বৈশ্বিক সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশী ঋণ পরিশোধ আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে যার পরিমাণ ঋণের সুদ ও মূলে এক দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে ছিল ৮৭০ মিলিয়ন ডলার। অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের মতে, উচ্চ সুদের হার ও বিদেশী ঋণের গ্রেস ও ম্যাচিউরিটি পিরিয়ড কমে আসায় ঋণ পরিশোধের বোঝা বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই বোঝা আরো বাড়বে। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বলছে, ২০৩১ সালের পর ঋণের বোঝা কমবে। অনেক উন্নয়ন প্রকল্প শিগগিরই মুনাফা না দিলে তা জাতির জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গ্যাস সংযোগ পেতে দেরি হওয়ায় বিদেশী ঋণে তৈরি রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি ‘সাদা হাতি’।
ক্ষমতাচ্যুত সরকার যথাযথভাবে অর্থনৈতিক আয়ের প্রাক্কলন না করেই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর স্বার্থে অনেক প্রকল্প গ্রহণ করে। ফলে প্রকল্প খরচ আকাশচুম্বী হয়েছে। এখন সরকারকে সেই ঋণের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বৈশ্বিক ঋণদাতাদের ঋণ বিতরণ আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কমে ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ঋণ পরিশোধে খরচ চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তাদের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের পরিমাণ গত তিন বছরে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। একই সময়ে ঋণের আসল পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে, যদিও এ বৃদ্ধি ৩২ শতাংশে সীমিত ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে : দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে বলেছেন গভর্নর। বিগত সরকারের আমলে প্রতি মাসে রিজার্ভ ১.৩ বিলিয়ন ডলার করে কমে আসছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। সেই সাথে দেশের মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণমুক্ত হওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলে বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং সেক্টরে সুবাতাস : ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটই ছিল খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির মূল কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণ স্থিতির ১২.৫৬ শতাংশ। এই খেলাপি ঋণের বেশির ভাগ অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়। তাদের কারণে ১০টি ব্যাংক এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। ব্যাংকগুলো চরম তারল্য সঙ্কটে পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের তারল্য সঙ্কট কাটানোর লক্ষ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করার বৃথা চেষ্টা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। ১০-১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠিত হয়েছে। বড় খেলাপিদের ব্যাংকের শেয়ারগুলো বিক্রয় করে আমানতকারীর টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবচেয়ে বড় খেলাপি ঋণীদের ঋণ আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া করছে। টাকা ছাপিয়ে নয়; বরং তারল্য সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকিতে ১০টি সবল ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোতে তারল্য সহায়তা হিসেবে ঋণ দেবে।
মূল্যস্ফীতি হ্রাসের লক্ষ্যে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা বন্ধ করেছে। ডলারের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল। এলসির সঙ্কট কেটে যাচ্ছে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদ আরো বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে আমানত আরো বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। আগের তুলনায় রেমিট্যান্সের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মাসে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সময় ১০৭ কোটি ডলার অর্থাৎ ৮০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিপুল অর্থ পাচার হয়ে গেছে যা উদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাথে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে। তারা তাদের দিক থেকে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে, সেসব দেশের নথিপত্র তাদের কাছে প্রেরণ করা হলে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ১২টি দেশে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে প্রতিনিধিদলটির কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট মেটাতে দেশের ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। গভর্নর এ ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা বলেন। এতে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলো ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ বাড়বে; ফলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে। ফ্যাসিবাদী সরকার দায়িত্বে থাকার সময় ব্যাংক লুটপাটের কারণে ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থা হ্রাস পেয়েছিল। ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে মানুষ ভয় পেত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। ইতোমধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোতে ৮০০ কোটি টাকা আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি যে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তার অনুমোদন দিয়েছে, তা সরকার ব্যাংকের তারল্য সঙ্কটে ব্যবহার করতে পারবে। সুতারাং বলা যায়, ব্যাংকিং সেক্টরে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।
পুঁজিবাজারের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না : অর্থনীতির অনেক সেক্টরে ভালো খবর থাকার পরও শেয়ারবাজারের সূচক এখনো নিম্নমুখী। যদিও আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সূচকের সাময়িক উত্থান হয়েছিল। শেয়ারবাজারের এই পতনের কারণগুলো মূলত ব্যাংকিং খাতে উচ্চ সুদের হার, ট্রেজারি রেটও রেকর্ড উচ্চতা, মার্জিন ঋণের বিপরীতে কেনা শেয়ার বিক্রি, একের পর এক শ্রমিক অসন্তোষ ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক বিনিয়োগকারী ব্রোকার ডিলারের কাছ থেকে অর্থ ধার করে শেয়ার কিনত। পরে শেয়ারের দাম কমে গেলে ব্রোকার তা ফোর্সড সেল করে ঋণের টাকাকে রক্ষা করত। কিন্তু ২০১১ সালে যখন শেয়ারের বড় দরপতন শুরু হলে বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদেরকে শেয়ার বিক্রি করতে দেয়া হয়নি। ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া ঋণ একসময় ঋণাত্মক ইক্যুইটি হয়ে পড়ে। তারা এখন শেয়ার বিক্রি করে লোকসান হলেও যতটুকু সম্ভব টাকা তুলে নিচ্ছে। তারা আশঙ্কা করছে, আগে এসব নেগেটিভ ইক্যুইটিতে প্রভিশন মওকুফ করা হলেও এখন থেকে তা করতে দেয়া হবে না। তবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বাজারকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছুটা তাড়াহুড়োও করেছে। এতে আস্থা সঙ্কটে থাকা বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরো কমিয়েছে। যার প্রভাবেও শেয়ারবাজারের পতন হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ধীর কিন্তু টেকসই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে ভালো হতো।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণও আশাব্যঞ্জক নয় : ৫ আগস্টের পরে বাজারে চাঁদাবাজি এবং সরবরাহ লাইনে সমস্যা কমে যাওয়ায় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছিল। পরে এক দিকে মারাত্মক বন্যা হওয়া অন্য দিকে এখন ফসলের কোনো সিজন না থাকায় পণ্যের সরবরাহ কমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে, যদিও তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম। তা ছাড়া পতিত সরকারের সময় দলীয় ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট হয়, যা এখনো ভাঙা সম্ভব হয়নি। অধিকন্তু অনেক বড় ব্যবসায়ী এখনো পলাতক আবার অনেকের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকার কারণে ব্যবসায় কার্যক্রম বন্ধ; এর প্রভাব পড়ছে বাজারে। আশার কথা, শীতের ফসল বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমা শুরু করছে। তার সাথে চাঁদাবাজি শক্তভাবে দমন করতে পারলে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে মূল্যস্ফীতিতেও সুবাতাস বইবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, এক কথায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে ১৫ বছর ধরে তিলে তিলে ধ্বংস করা অর্থনীতি পুরোপুরি মেরামত করতে কিছু সময় তো দিতেই হবে। সুতরাং ধৈর্য ধরা, সব মহল থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা এবং পতিত স্বৈরচারের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার হবে দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পুরোপুরি মেরামত করতে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
ইমেইল : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা