০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ভারতের পানি আগ্রাসন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ

-

বিশ্বসভ্যতার ক্রমোন্নতির সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে নদ-নদীর প্রবাহ এবং সুপেয় পানির সহজলভ্যতার বিষয়টি। নীলনদের তীরে মিসরীয় সভ্যতা, টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস বা দজলা-ফোরাতের তীরে মেসোপটোমিয়া সভ্যতা, সিন্ধু নদের তীরে সিন্ধু সভ্যতা এবং গঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন ভারতীয় ও বাংলার সভ্যতার বাইরে এশিয়া-আফ্রিকার ঐতিহাসিক বিবর্তনের কথা কল্পনা করা যায় না। ঠিক একইভাবে টেমস, ভলগা, দানিউব ও রাইন নদীকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল ইউরোপের গড়ে ওঠার ইতিহাস। হাজার বছর ধরে বয়ে চলা এসব নদ-নদী এখনো যথারীতি বহমান। নদী উপত্যকা ও অববাহিকার কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, ভূপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য এসব নদীর পানি ও নাব্যতার ওপর একচ্ছত্রভাবে নির্ভরশীল। নদ-নদীর পানিপ্রবাহ অবারিত রাখা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ কারণেই ট্রান্সবাউন্ডারি রিভার ওয়াটার শেয়ারিং সম্পর্কিত ডিসপুটগুলো শত শত বছর ধরে রাষ্ট্রগুলোর আন্তঃসম্পর্কের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। নদীর পানি প্রবাহ নিয়ে প্রাচীন ইতিহাসেও অনেক যুদ্ধবিগ্রহের নজির আছে। নগর সভ্যতা ও শিল্প-বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সঙ্ঘাত বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনে যৌথ নদীর পানিকেন্দ্রিক আঞ্চলিক বিরোধ মীমাংসা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

যৌথ নদীর পানিকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কৌশল গ্রহণ করায় আগামী দশকগুলোতে অনেক দেশই পানি সঙ্কটে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। যৌথ নদীর উজানে পানি প্রত্যাহার ও বাঁধ নির্মাণের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বড় বঞ্চনার শিকার সম্ভবত বাংলাদেশ। গঙ্গা ও তিস্তার মতো আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ভারত বাংলাদেশের নদ-নদী ও পানি ব্যবস্থাপনার ওপর বড় ধরনের আগ্রাসন সৃষ্টি করেছে। নদীবাহিত পলি দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ মূলত মানবসৃষ্ট ভূপ্রাকৃতিক ভাগাড়ে পরিণত হবে।

বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। উজানে হিমালয় থেকে নেমে আসা নদীগুলো বঙ্গোপসাগরে মিলে যাওয়ার আগে গঙ্গা বেসিনে লাখ লাখ টন পলিমাটি জমা করে তিলে তিলে হাজার হাজার বছরে এ দেশটিকে গড়ে তুলেছিল। উর্বর মাটি এবং সুপেয় পানিই এ দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। উজানে নদীর প্রবাহ রুদ্ধ করা মানে ঠাণ্ডা মাথায় বাংলাদেশকে হত্যা করা। বিগত পাঁচ দশক ধরে ভারত এ কাজটিই করে চলেছে।

আন্তর্জাতিক নদীর ওপর কোনো দেশের এককভাবে বাঁধ নির্মাণ বা পানি প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক নদী আইনে তা নিষিদ্ধ। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রকল্প সব সময়ই অববাহিকা অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে।

ভাটির দেশ বাংলাদেশের সাথে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা ছাড়াই একতরফভাবে ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণকালে সত্তর দশকের প্রথম দিকে রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল- ভারত ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণ করলেও এটি চালু করতে পাকিস্তানের সাথে চুক্তিতে আসতে হবে, অন্যথায় এটি কখনো চালু হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে ১৯৭১ সালে ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফারাক্কা প্রকল্পের সমাপ্তি ও চালু করতে ভারতকে কোনো বেগ পেতে হয়নি। ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন মুজিব সরকার ১৯৭৫ সালে ২১ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত মাত্র ১০ (অন্য বর্ণনায় ৪১) দিনের জন্য ইন্ডিয়াকে পরীক্ষামূলক ফারাক্কা ব্যারাজ চালুর অনুমতি দেয়। কার্যত বাংলাদেশের সাথে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি ছাড়াই এ দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আটকে দিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য, নৌযোগাযোগ ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের ছাড়পত্র নিশ্চিত করে দেয়। অথচ ১৯৬৫ সালে গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করলেও পাকিস্তান সরকারের কাছে তা চালুর অনুমতি প্রার্থনা করতেও ভারত চরমভাবে ভয় পেয়েছিল। ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে ফিডার ক্যানেল ও হুগলি ভাগীরথী নদীর পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির পর বাংলাদেশের তিস্তার উজানে হুগলি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলকেও ইতোমধ্যে ভয়াবহ পানি বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

একতরফাভাবে ফারাক্কা ব্যারাজ চালুর সাত বছরের মাথায় ভারত পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জলপাইগুড়ির গজলডোবা ব্যারাজ দিয়ে ফিডার ক্যানেলের মাধ্যমে তিস্তার পানি প্রত্যাহার শুরু করে। ডাইভারশন ক্যানেলের মাধ্যমে মহানন্দা নদীতে পানি সরিয়ে নেয়ার কারণে তিস্তা এখন একটি মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে। গজলডোবা বাঁধের আগে তিস্তা অববাহিকায় যেখানে আড়াই হাজার কিউসেক পানি পাওয়া যেত, সেখানে ভারতের পানি প্রত্যাহারের কারণে এখন পানি প্রবাহের পরিমাণ ৪০০ কিউসেকেরও কম। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণের পরিকল্পনা ব্রিটিশ আমল থেকে বিবেচনাধীন থাকলেও অবশেষে ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়ে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ তা শেষ করে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও গজলডোবা ব্যারাজ ও ভারতের পানি প্রত্যাহারের কারণে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই সেচ প্রকল্প এখন আংশিকভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের সাথে অভিন্ন ৫৪টি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ভারত একটি জাতীয় পানিগ্রিড নির্মাণের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তা বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই মরণ ফাঁদ। শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ ভারত ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে এক তরফাভাবে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে নিলে দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়। এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে প্রবাদপ্রতিম জননেতা মওলানা ভাসানী ফারাক্কা ব্যারাজের বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষে লংমার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভাসানীর সেই ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের চেতনা গত চার দশকে বাংলাদেশে আরো গভীর ও মূর্ত হয়েছে। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিক যেমন ভারতের পানি আগ্রাসনে চরম বিক্ষুব্ধ, তেমনি এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বিস্ময়কর নীরবতায় তারা নিদারুণ ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত।

ফারাক্কা বাঁধের চরম ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে জাতীয় জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের ‘ফারাক্কা বাঁধ’ শীর্ষক গানে :

‘শোনো মৃত্যুর তূর্য-নিনাদ
ফারাক্কা বাঁধ ফারাক্কা বাঁধ।
মরণ বার্তা কোটি মানুষের
মরণ বার্তা গণজীবনের
মরণ বার্তা সুখ স্বপনের
হানে বিষাক্ত শায়ক নিষাদ।’

সদ্য বিলুপ্ত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ভারত সরকারের কাছ থেকে না ফারাক্কায়, না তিস্তায় বাংলাদেশের জন্য পানি আদায় করতে পেরেছে! তার পরও কী নির্লজ্জ সেই সরকারপ্রধান, যে হাসিমুখে বলতে পারে- ‘ওরা যা চেয়েছে আমি তা দিয়ে দিয়েছি, চাওয়ার আগে দিয়ে দিয়েছি। আমরা কিছু না পেলেও ওরা আমার কথা মনে রাখবে।’

রোড ট্রানজিট, রেলওয়ে ট্রানজিট, পোর্ট ট্রানজিট এবং রিভার ট্রানজিট শেখ হাসিনা সরকার একতরফাভাবে ভারতকে দেয়ার পরও বাংলাদেশের জন্য এক ফোঁটা পানি আদায় করতে পারেনি। ২০২৪-এর জুলাই ৩৬ বৈষম্যবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে শতসহস্র ছাত্র তরুণ যুবার রক্ত মাড়িয়ে পলাতক স্বৈরাচারকে দিল্লি তাদের কোলে আশ্রয় দিয়েছে। রক্তের স্রোত শুকাতে না শুকাতেই ত্রিপুরার গোমতী নদীর ওপর স্থাপিত ডম্বুর বাঁধ আকস্মিকভাবে মধ্যরাতে খুলে দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। ‘আমরা কিছু না পেলেও ওরা আমার কথা মনে রাখবে’ সত্যিই ভারত তার কথা মনে রেখেছে।

ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা বাঁধ, বরাক অঞ্চলের বাঁধ ও ডম্বুর বাঁধ দিয়ে বছরের পর সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা পলিমাটি ও সুপেয় মিঠা পানির বাংলাদেশকে মরুঅঞ্চলে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বাংলাদেশের আজন্ম দুশমন ভারত। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে হাজার হাজার হেক্টর ফসলিজমি অনাবাদি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।

ভারতের কথিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত-সমালোচিত একটি প্রকল্প। বিশ্বের পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কাগুলো তুলে ধরছেন। বাংলাদেশের সাথে অভিন্ন ৫৪টি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ভারত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও একটি জাতীয় পানিগ্রিড নির্মাণের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, তা বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই মরণ ফাঁদ। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতোই সম্ভবত রাজনৈতিক কারণে দেশের মূল ধারার গণমাধ্যমও ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দায়সারা আচরণ করেছে।

সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় কোটি কোটি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভারতের পানি আগ্রাসনসহ সব আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাধ্য হয়ে ভারত সরকার তাদের চিরাচরিত উচ্চকণ্ঠ নিচু করে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার যেনতেন ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে এটুকুতে ভারতের আগ্রাসী নীতি বদলাবে বলে মনে হয় না। যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যৌথ নদীর পানির হিস্যা কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নেয়া না হয়, তবে বাংলাদেশে সামনে আরো দুঃখ আছে।

গত ৬০ বছরেও ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট, উত্তর চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলের বাসিন্দারা এরূপ আকস্মিক ভয়াবহ বন্যা প্রত্যক্ষ করেনি। বলা যায়, চোখের এক পলকে কোটি মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।

কয়েক সপ্তাহ পর উল্লিখিত অঞ্চলে পানি নেমে যাওয়ার পর দেখা দিয়েছে আরো বড় সমস্যা। রাস্তাঘাট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অসংখ্য মানুষ আশ্রয়হীন। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে রোগব্যাধি। আমন ফসলের মাঠগুলো ধু-ধু বালুচর। ফসলিজমি গড়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট, কোথাও ১০ ফুট উঁচু বালুতে ঢাকা পড়েছে। এসব জমিতে আবার কখন চাষাবাদ করা যাবে, তা কারো জানা নেই। ফলে খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কা করছেন অনেকে।

আগ্রাসী অসংখ্য যৌথ নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করার ব্যবস্থা করেছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর উজানে বাঁধ দেয়ায় বাংলাদেশে ভাটি অঞ্চলের শত শত নদীতে পলি পড়ে নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। ফলে অতিবৃষ্টি অথবা ভারতের ছেড়ে দেয়া পানিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ এ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। এ সমস্যার আশু সমাধান প্রয়োজন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় ১১ জেলায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন। মারা গেছেন ৭৪ জন।

বাংলাদেশকে ভারতীয় সব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোচ্চার হতে হবে। কূটনীতিক পর্যায়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশের পাশে রেখে আন্তর্জাতিক নদীগুলোতে ন্যায্য পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। এটি অবৈধ সীমান্ত হত্যার চেয়েও গুরুতর সমস্যা। এর সমাধানের মধ্যেই আছে এক সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

লেখক : সাংবাদিক
ইমেল : jafardeendunia@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement