১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদার ফিটনেস পরীক্ষা করছে মেডিক্যাল বোর্ড

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা করছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) গত সাড়ে চার বছরে মোট ৪৭৯ দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে কাটিয়েছেন। আমরা ২১ আগস্ট তাকে বাড়িতে ফেরার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছিল।’

খালেদা জিয়াকে কেন এখনো বিদেশে পাঠানো হচ্ছে না, সে বিষয়ে জনতার উদ্বেগের কথা বলেন বিএনপি নেতা।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘কাউকে বিদেশে পরিবহনের জন্য ফ্লাইটের সময় নেতিবাচক চাপ সহ্য করার ক্ষমতাসহ শারীরিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’

অধ্যাপক ডা. জাহিদ উল্লেখ করেন, অবতরণের সময় তার নেতিবাচক চাপ সহ্য করার ক্ষমতাসহ মেডিক্যাল বোর্ড এসব বিষয় মূল্যায়ন করছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এটি কেবল গল্প বলার বিষয় নয় বরং একাডেমিক, পেশাদার এবং বৈজ্ঞানিক বিবেচনার সাথে জড়িত। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় সদস্যের সমন্বয়ে বোর্ড এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া মাত্রই তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে।’

তিনি কিছু জটিল অবস্থার কারণে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা কেবলমাত্র বিশেষজ্ঞ মতামতের মাধ্যমে আধুনিক সুবিধাগুলোতে কার্যকরভাবে সমাধান করা যেতে পারে।

সুস্থতার জন্য খালেদা জিয়া সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন উল্লেখ করে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, তিনি সুস্থতার জন্য জাতির কাছে দোয়া চেয়েছেন।

খালেদা জিয়া নির্জন কারাবাসে যথাযথ চিকিৎসা পাননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি, যা তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার জন্য দায়ী।

বৃহস্পতিবার ভোরে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে একটি প্রাইভেট কেবিনে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ৪৫ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

গত ৮ জুলাই রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ছয় দিন পর খালেদা জিয়াকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার বসিয়ে দেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভিসি মোজাম্মেল হককে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ইসলামী ব্যাংকের সাথে ফরেন করেসপনডেন্ট ব্যাংকগুলোর মতবিনিময় সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা ছাড়লেন জ্যোতি বগুড়ায় আমরা বিএনপি পরিবারের সহায়তা পেল ৩ শহীদ পরিবার শিক্ষাভবনে দুই গ্রুপের উত্তেজনা ও হাতাহাতি কাঁচপুরে ছয় হাজার স্কয়ার ফুটের ক্যালিগ্রাফিতে ঐক্যের ডাক ‘মহানবী সা: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন : আল্লামা আবদুল হাই নদভী এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে ভোটার তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে ডিআরইউর সাবেক সভাপতি আজমল খাদেমের ইন্তেকাল

সকল