১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে : তারেক রহমান

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি, চলমান আছে। আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্তমূলক কথা বা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের ফাঁদে পা দিয়ে। সকল ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

রোববার বিকেলে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ফুটবল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভার সভাপতিত্ব করেন সদ্য কারামুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি উৎপাদন, উন্নয়নের রাজনীতি। বিএনপির চায় দেশের প্রতিটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। সম্ভাবনাগুলোকে বের করে আনতে চাই। আমি ৬ হাজার মাইল দূরে থাকেলও আমার মনটা পড়ে থাকে বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষের ঘের কেদ্রিক বেড়িবাঁধ নিয়ে যে আতঙ্ক, সেই আতঙ্ককে কাটাতে বাধটি শক্ত ও মজবুত করতে চাই। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলার সম্ভবনা আছে, সেগুলো বের করে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার, জনগণের সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল বলেই কৃষকের জন্য খাল খনন করেছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জনগণের সরকারই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এই মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৭ বার ভাষণ দিয়েছিলেন। এবার তার উত্তরসূরি তারেক রহমান আজ এই মাঠে বক্তব্য দিয়েছেন। যিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।

আল্লাহর রহমতের ৭০ বছরে সাজা নিয়ে কারাগারে ছিলাম, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, আমি মুক্ত বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, আমার নেত্রী কোনো দিন পালননি, পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, আমার নেত্রী পালান না, তারেক রহমান আমার পরিবারের খোঁজখবর নিতেন যখন আমি কারাগারে ছিলাম। এজন্য তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আমি মিথ্যা মামলায় সাজা নিয়ে ভয় পাইনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সাথে একই মামলায় কারাগারে থাকা ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদেরকে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করছি। এর বিচার আল্লাহর কাছে দেন, হাসিনার বিচার দাবি করেন।

জনসভার স্থান কলারোয়া ফুটবল মাঠটি কানায় কানায় ভরে উঠে বিএনপির নেতা-কর্মী ও মানুষের আগমনে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনসভায় ভার্চুয়ালি এলে আগতরা হাত উঠিয়ে সালাম ও স্লোগান দিতে থাকেন, তারেক রহমানও তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে থাকেন। নেতা-কর্মীরা হাতে ব্যানার ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা নিয়ে মাঠে আসে, স্লোগানে মুখরিত হয় জনসভার আশপাশ। মাঠ ভরে মানুষের ঢল দেখা যায় রাস্তায় ও অলিগলিতে।

জনসভা চলাকালীন বিভিন্ন নেতা-কর্মী কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিভিন্ন পেশা ও মতের মানুষ হাবিবুর রহমান হাবিবকে ফুলের তোরণ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement